আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনী অস্থিরতা প্রবৃদ্ধি কমাবে: এডিবি

বুধবার বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ত্রৈমাসিক (ডিসেম্বর পর্যন্ত) প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার আভাস দিলেও সুনির্দিষ্ট কোনো হার উল্লেখ করেনি ম্যানিলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নীকারী সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ভোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কম হবে। ”

এডিবি বলছে, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় ও নির্বাচন পর্যন্ত দীর্ঘ অস্থিরতার কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ২০১৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ- দুই ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জিং অবস্থা থাকলেও বাংলাদেশ ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যাকে ভাল বলেই বিবেচনা করছে সংস্থাটি।

“কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশমুখী রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে। ”

এছাড়া শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিও কমবে, যার প্রভাব পড়বে সামগ্রিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে।

জিডিপি কমে যাওয়ার কথা বললেও কৃষি ও রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় ভালো হবে।

“রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় এখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে রপ্তানির ওপর। ”

এডিবি বলছে, নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরিয়ে আনা, ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

রাজনৈতিক অস্থিরতা আবার ফিরে এলে বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনে তা সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সাভারে কারখানা ভবন ধসে মানবিক বিপর্যয়ের পর নিরাপত্তা ও শ্রমমান বিষয়ে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করাই এখন দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাক শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও নিজেদের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমুলক প্রবেশাধিকার সুবিধা (জিএসপি) প্রত্যাহার করলে সামগ্রিক রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও জানুয়ারিতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ষান্মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি হবে না।

এর আগেই গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত এডিবির ষান্মাসিক প্রতিবেদনেও ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.