আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকার নো-ম্যানস ল্যান্ড।

ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল ভাষার টানে আজ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করেই দলে দলে মানুষ সীমান্তের এপার-ওপারে দু’দেশের সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত ভাষা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্টে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামার পর ক্ষণিকের জন্য হলেও স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমারেখা। ভারত থেকে আসা হাজার হাজার বাংলাভাষী মানুষ বাংলাদেশীদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন।

ভাষা দিবসের মিলনমেলায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ একে-অপরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এরপর দুই দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষ দিবসটি উদযাপন করেন যৌথভাবে।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা অবনত করতে বাংলাদেশের বাঙালীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীরাও। সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার মানুষ, রাজনৈতিক দল ও সরকারের প্রতিনিধিরাও

নো ম্যানস ল্যান্ডের অস্থায়ী শহীদ বেদিতে সকাল ৯টায় প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও অঞ্চলের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁও পৌরসভার মেয়র জোস্না আড্র, উওর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাপতি রহিমা মণ্ডল ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ব্যানার্জি। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র, ২৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল আলম, উভয় দেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.