আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মগ্রন্থ, মানুষ ও প্রকৃতি।।

কবঠ ধর্মগ্রন্থ সমুহ স্বরচিত কাব্যগ্রন্থ ছাড়া আর কিছুই নয়। কবি তার মনের মাধুরি মিশিয়ে যতটুকি ভাবতে পেরেছেন ততটুকুই তিনি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। সে কালে, সাধারন মানুষ থেকে তাদের এই উৎকর্ষতার জন্য তারা নিজেদের আল্লাহতালার প্রতিনিধি দাবি করে বসতেন। সাধারন মানুষ এত কিছু না বুঝেই তাদের যুক্তি ও তর্কের ফাদে আটকে গিয়ে বিলিন হয়ে যেতেন। আল্লাহ আছেন কি নেই সেই বির্তকে যেতে আমি অক্ষম।

আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাই এর জন্য দায়ী। তবে প্রকৃতি আমাদের শিখিয়েছে অনেক। প্রকৃতির এই শিক্ষার মধ্যেই নিহিত আছে, মানুষের কি করনীয়, আর কি করনীয় নয়। সহজাত প্রবৃত্তির বশেই মানুষ পরিচালিত হয়। মানুষ একদিনে আজকের এই জীবন রপ্ত করতে পারেনি তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল বিস্তর সময়।

বজ্রপাত যেমন মানুষের মৃত্যুর কারন ঘটায় ঠিক তেমনি বজ্রপাতের মাধ্যমেই পুর্নগঠিত হয় ওজনের স্তর। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ, জলচ্ছাস, সুনামি বা ভুমিকম্প সব কিছুর পেছনেই রয়েছে পারস্পরিক সর্ম্পকের একটি অদেখা সুতো যা দিয়েই গড়ে উঠেছে এই সৌর জগতের বিনে সুতার মালা। ঐ অদেখা সুতোটাতে আমাদের যত ভয়। যদি হটাৎ করে ছিরে যায় ঐ সুতোটি, তাহলেই ঘটে যাবে মহা প্রলয়, যা থেকে কিছুই নিস্তার পাবে না। তাই আমরা প্রকৃতির অংশ বা আর্শিবাদ।

আমরা সবাই ধর্ম মানি কিন্তু ধর্মের আদেশ নিষেধের কোন তোয়াক্কা করি না। কারন মৃত্যুতো এখনি আমাকে তার আয়েত্তে নিয়ে নিচ্ছে না। জন্মিলে মরিতে হবে তা আমরা সবাই জানি ও বিশ্বাস করি। কিন্তু নিজের জীবনে এটা উপলোদ্ধি করতে চেষ্টা করি না। তা যদি করতে পারতাম তাহলে ধর্মের ভয় না হলেও নিজেকে সংযত করতে স্বচেষ্ট হতাম।

আমাদের দেশের ষোল কোটি মানুষ সবাই একটি না একটি ধর্মের সাথে যুক্ত। তা সত্তেও কেন মানুষে মানুষে এতোটা প্রভেদ। রক্ত মাংশের মানুষগুলির মাঝে এতোটা ফারাক কেন? কারন ধর্ম বা প্রকৃতি থেকে আমরা যা কিছুই শিখি তা কার্যে পরিনত করতে আমরা রাজী নই। শুধু তালগাছটা আমার কি না সেটা নিশ্চিত করতে জীবন লড়িয়ে দেই। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের জীবনের চাকা।

সহজ সরল জীবন ধারনের ইচ্ছা থাকলেও লোভের কাছে প্রতিনিয়ত নিজেকে বির্ষজন দিয়ে। একে অন্যকে ঠকাতে তৎপর হয়ে উঠি। যারা সত্যসত্যই র্ধামিক তারা আর যারা আল্রার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। এই দুই দলের মানুষকেই সাধারনত সৎ জীবনযাপন করতে দেখা যায়। বাকীরা এতোটাই চালাক যে তারা সবার মাথার উপর কাঠাল ভেঙ্গে খেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেন।

এদের সংখ্যাই বাংলাদেশে বেশী হওয়ায়, মুসলমান আর মসজিদ মাদ্রাসায় দেশ ভরে গেলেও মানুষ বা মানবতার স্ফুরন ঘটেনি সেই ভাবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.