আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভুত যত অসুখঃ 'নীল চামড়ার মানুষ', 'ভ্যাম্পায়ার ডিজিজ' ও কম বয়সেই বুড়োদের মত দেখানো!


নীল চামড়ার পরিবার উপরে বামে, ভ্যাম্পায়ার ডিজিজ উপরে ডানে ও প্রোজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশের কিশোর আমির হামজা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে (ছবির নীচে)।



খুব বিব্রতকর রোগ এটি। এলিফ্যান্টাসিস নামের অদ্ভুত এ রোগটি হলে মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে হাতির শরীরের মতো দীর্ঘাকায় হয়ে যায়। মশার মাধ্যমে বিভিন্ন পরজীবী যেমন ওচেরেরিয়া কিংবা ব্রুগিয়া মালাই মানুষের দেহে প্রবেশ করলে এ ধরনের রোগ হয়। ডাক্তারি ভাষায় রোগটিকে ল্যামফাটিক ফিলারিআসিস বলা হয়।

বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ১২০ মিলিয়ন মানুষ কোনো না কোনোভাবে এ রোগের শিকার। শোষক মশা কামড়ানোর মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে থাকে। জীবাণু দীর্ঘদিন শরীরে প্রবেশের পরও এ রোগের লক্ষণ দৃষ্টিগোচর না হতে পারে। এ রোগের ফলে সাধারণত হাত, পা, স্তন, যৌনাঙ্গ প্রভৃতি ফুলে অস্বাভাবিক রকম বড় হয়ে ওঠে।


শিশুর দেহে বৃদ্ধের শরীর
প্রোজেরিয়া নামের এ রোগ সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।

কোনো শিশু প্রোজেরিয়াতে আক্রান্ত হলে তার দেহের কাঠামো, অবয়ব সবটাই খুব অল্প সময়ে দেখতে বুড়োদের মতো হয়ে যায়। সাধারণত শিশুর শরীরের জিনোম কোডের সমস্যা থেকেই এ রোগের উদ্ভব কিন্তু এর ফলে গোটা জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। প্রোজেরিয়া খুব কম মানুষেরই হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৪৮ শিশুর শরীরে এ রোগ বাসা বেঁধেছে বলে গবেষকদের দাবি। সম্প্রতি বাংলাদেশে আমির হামজা নামে বাংলাদেশী এক প্রোজেরিয়া আক্রান্ত কিশোরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

সদ্য শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন আমির। বয়স খুব কম হলেও তাকে দেখতে একদম বুড়ো মানুষের মতো মনে হয়।


নীল চামড়ার মানুষ
বিখ্যাত 'এ্যাভিটার' চলচ্চিত্রে নীল চামড়ার মানুষ দেখেছেন আপনি। কিন্তু বাস্তবেও এমন নীল ত্বকের মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে অতীতে। ১৯৬০ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে একটা গোটা পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়, যাদের প্রত্যেকের চামড়ার রঙ নীল ছিল।

প্রজন্ম ধরে মানুষ এমন 'বস্নু স্কিন ডিসঅর্ডার' বয়ে বেড়ালেই কেবল ত্বক নীল হয়ে যাওয়ার সমস্যা ছাড়া আর বিশেষ কোনো সমস্যা তাদের পোহাতে হয় না।


ভূত-প্রেতের রোগ
বিভিন্ন ভৌতিক মুভি দেখার অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি জানবেন, ভূত-প্রেত সাধারণত সূর্যের আলোর মুখোমুখি হয় না। এমনকি সূর্যের আলোতে পড়লে সেটা তারা সহ্যও করতে পারে না। এমন বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ 'ভ্যাম্পায়ার ডিজিজ' নামে মানুষের এক ধরনের রোগের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা, যেটায় আক্রান্ত হলে মানুষ রোদে যেতে পারে না। হাত-পায়ের কোথাও সামান্য রোদের স্পর্শ লাগলেই সেখানে জলফোসকা পড়ে যায়! এ রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ ভ্যাম্পায়ার হয়ে ওঠে না সত্যি, কিন্তু তারা ভূত-প্রেতের কথিত নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন।




বিভ্রান্তির বাঁকে...
রোগটির নাম 'এলাইস ইন ওনডারল্যান্ড সিনড্রোম'। অদ্ভুত এ রোগটিতে আক্রান্ত মানুষ সময়, দৃশ্যমান বস্তু প্রভৃতির ক্ষেত্রে খুব বিভ্রান্তিতে ভোগে। ডাক্তারি ভাষায় একে মাইক্রোপসিয়া নামে অভিহিত করা হয়। দৃশ্যমান জগতের সবকিছুকে আক্রান্ত ব্যক্তি সেটার প্রকৃত আকারের চেয়ে ছোট দেখতে পান। হয়তো বাসার ছোট পোষা কুকুরটিকে ওনডারল্যান্ড সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ছোট্ট ইঁদুর বলে মনে হবে।




আরো পড়ুনঃ
যে ৬টি কৌশলে জিতে নিতে পারবেন প্রিয় মানুষটির মন
বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী স্মার্টফোন আনছে মজিলা
বইমেলায় তথ্যপ্রযুক্তির ৪টি তথ্যবহুল বই পড়ুন..
মানুষ খেকো মানুষ !।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.