আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দোষারোপের রাজনীতিতে জঙ্গিবাদ বাড়বে

সারা দেশে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলেও ময়মনসিংহে তিন জঙ্গি নেতা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সবার টনক নড়েছে। এর মানে জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে যায়নি। হয়তো আপাতত ঝিমিয়ে ছিল। কিন্তু এর পরের ঘটনাবলী আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের পরস্পরের প্রতি দোষারোপ এই জঙ্গিবাদকে প্রসারিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

সোমবার এটিএন বাংলায় লিড নিউজ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সঞ্চালক জ ই মামুনের প্রশ্নের জবাবে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের ক্ষমতাকে বোঝার বিষয়ে ভুল হয়েছে। সঠিকভাবে এখনো তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা করা যায়নি। সরকার চাপ প্রয়োগ করে তাদের দমিয়ে রেখেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ উচ্ছেদ কখনো করতে পারেনি।

তিনি বলেন, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশেও জঙ্গিবাদ আছে। প্রতিনিয়ত সেসব দেশেও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের দেশে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে তার কিছুই নেই। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা আছে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কয়েকজন জঙ্গিকে ছিনতাই করা হয়। দুই দল একে অপরকে দোষারোপ করছে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। দেশে যত বেশি গণতন্ত্র চর্চা কম হবে, দলের ভেতরে যত বেশি গণতন্ত্রের অভাব হবে জঙ্গিবাদ ততই বৃদ্ধি পাবে।

জঙ্গিবাদ কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়। তার চেয়েও মারাত্দক। এর প্রসারে আমাদের সব কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ধরপাকড় করা হয়েছে। তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু চিন্তার কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আনতে পেরেছে। যারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে তাদের চিন্তার পরিবর্তনে সরকার কী ভূমিকা নিয়েছে? প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি নিয়ে আসতে হবে। জননিরাপত্তা দিতে আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। নইলে এটা থামানো যাবে না। বারবার এটা আসবে।

আন্তর্জাতিক চাপ আছে। এখন হয়তো কিছুটা কম তাই বলে এটা বন্ধ হয়েছে, তা নয়। পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছরে পিলখানার ঘটনার বিচার হয়েছে। অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে মৌলিক পরিবর্তন হয়নি।

কারা এই ঘটনায় জড়িত সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। হয়তো ২৫/৩০ বছর পর আমরা জানতে পারব। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সরকারে যারা একেবারে কাছের তাদের জানার কথা। সবচেয়ে বড় কথা, জনগণ চায় এমন কোনো ঘটনা যেন আর না ঘটে।

 

 

 

 

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।