আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউক্রেইনে অভিযান চালাতে রুশ পার্লামেন্টে সম্মতি

শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়।

এদিকে ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনারা। রুশ পতাকা উড়েছে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় অন্য দুটি শহরের সরকারি ভবনেও।

ইউক্রেইনে হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া, যার মধ্য দিয়ে দৃশ্যৎ স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে সরাসরি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লো দেশটি।

ইউক্রেইনে অবস্থানরত রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌঘাঁটির নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে সামরিক শক্তি প্রয়োগ দরকার বলে পার্লামেন্ট সদস্যদের বলেন পুতিন।

তিনি বলেন, “ইউক্রেইনে বিশেষ পরিস্থিতি,  রাশিয়ান ফেডারেশনের নাগরিকদের জীবনের ঝুঁকি এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের সেনাদের জীবনের ঝুঁকির কারণে আমি  ইউক্রেইনে সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োজিত করার প্রস্তাব করছি। সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ”

এর আগে ২০০৮ সালে জর্জিয়ায় অভিযান চালানোর জন্যও একই কারণ দেখিয়েছিলেন তিনি।

রুশ পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তের পর দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য। জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা।

চেক প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান স্মরণ করেছেন  ১৯৬৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের অভিযানের কথা।

এদিকে ক্রিমিয়া অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রীও ‘শান্তি-শৃঙ্খলা’ বজায় রাখার স্বার্থে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন।

আর ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে একটি সরকারি ভবনের রুশ পতাকা উড়ানো হয়েছে। সেখানে রুশপন্থী ও কিয়েভপন্থীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইতোমধ্যে ক্রিমিয়ায় সরকারি ভবনগুলো রুশ সেনাদের  নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ক্রিমিয়ার প্রধান বিমানবন্দর।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে সপ্তাহখানেক আগে রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে যান ইউক্রেইনের ক্ষমতাচ্যুৎ প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ, যিনি রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে পার্লামেন্টে এমপিরা তাকে পদচ্যুত করে একটি প্রস্তাব পাস করেন। পরে নতুন অন্তবর্তী সরকারও গঠন করা হয় দেশটিতে।

এরপর গত শুক্রবার রাশিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়ানুকোভিচ নিজেকে ইউক্রেইনের বৈধ প্রেসিডেন্ট দাবি করে ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

গত নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি না গিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।