আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়াবেটিসে ইনসুলিন কি ভাবে কাজ করে?

ডায়াবেটিক রুগীর শরীর নিজে নিজে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈয়ার করতে পারেনা। যারা টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের শরীর একবারেই ইনসুলিন তৈয়ার করতে পারেনা। ফলে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রুগীরা সিনথেটিক ইনসুলিন ইনজেকশনের উপর নির্ভরশীল। এই সিনথেটিক ইনসুলিন ইনজেকশন শরীরের কোষে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে সাহায্য করে, যা শরীরের জন্য শক্তি উৎপাদন করে। এই সিনথেটিক ইনসুলিন, শরীরের মধ্য সৃষ্ট ইনসুলিনের মতই।

শরীর এই দু' এর মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিক রুগীর শরীর হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈয়ার করতে পারে না অথবা তাদের শরীর-কোষ তা গ্রহণ করতে পারেনা। টাইপ ২ ডায়াবেটিক রুগীরা তাদের ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখে ঔষধ সেবন করেন। কিন্তু ঔষধে তা নিয়ন্ত্রিত না হলে, ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। সাধারণত, ডায়াবেটিক রুগীরা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইনসুলিন গ্রহণ করেন।

কারণ, লিভার রাতের বেলা গ্লুকোজ উৎপাদনে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠে এবং উৎপাদিত গ্লুকোজ রক্ত-প্রবাহে মিশে যায়। ইনসুলিনের প্রাথমিক কাজ হল, রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখা। খাবার গ্রহণ করার পর, খাবারের গ্লুকোজ ও পুষ্টি রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট রক্তের সুগারের মাত্রাকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট। খাবার হজমের সময়, কার্বোহাইড্রেট প্রথমে সুগার, তার পর গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্ত প্রবেশ করে।

গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে অগ্ন্যাশয় (পান্ক্রিয়াস) ইনসুলিন উৎপাদন শুরু করে। শরীরের টিসুতে সুগার (শরীরের প্রধান শক্তি সরবরাহকারী) প্রবেশ করতে ইনসুলিন সাহায্য করে। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ লিভারের কাজকে প্রভাবিত করে, যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যদি লিভার সঠিক ভাবে কাজ করে, তা হলে খাবার গ্রহণের পর ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত সুগারকে গ্লাইকোজেন আকারে সংরক্ষণ করে। দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে এবং খালি পেটে ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকে।

এর কারণ হচ্ছে, লিভার ঐ সময় রক্তে অতিরিক্ত সুগার/গ্লাইকোজেন নিঃসরণ করে। এই ভাবে রক্তে সুগারের মাত্রা কম এবং স্বাভাবিক থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহার করে রক্তে সুগারের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং ডায়াবেটিস থেকে উদ্ভূত রোগ সমূহ যেমন-অন্ধত্ব, হৃদরোগ, ওবেসিটি , কিডনির অসুখ, নেউরপ্যাথি , নেফ্রপ্যাথি, এবং পায়ের ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।