আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই নেত্রীকে এরশাদের ‘চ্যালেঞ্জ’

তার দাবি, রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা এলে দু্ই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রী একজোট হলেও নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবেন না।
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, সংলাপের কথা বাদ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক না দলীয়- কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে।
“কিছুদিন আগেও পথে-ঘাটে, টকশো তে, সবার মুখে মুখে একটাই কথা ছিল- সংলাপ। এখন তা নেই, সংলাপ হারিয়ে গেছে। ”
দেশের রাজনীতি এখন ‘চরম দুর্যোগের মুহূর্ত’ অতিক্রম করছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই সেনাশাসক।


তিনি বলেন, “এবার আমার চ্যালেঞ্জের পালা। সংবিধান পরিবর্তন করুন, রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করুন। তারপর নিজেরা জোট করে আমার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। ”
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হলেও ১৯৭৫ সালে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতি চালু হয়।

এরপর দুই সেনা শাসকের অধীনে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই ব্যবস্থাই বহাল থাকে।
গণঅভ্যুত্থানে এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের পর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আবার সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরে।   
রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা ফেরানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে নোয়াখালীর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এরশাদ বলেন, নয় বছর রাষ্ট্রপতি থাকার সময় তিনি দেশের উন্নয়ন করেছেন এবং অবকাঠামো ঢেলে সাজিয়েছেন।
“এখন মাঝে মাঝে সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে নিজেই বিস্মিত হই। এতো কাজ আমি করতে পেরেছিলাম!”
ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩৭৪ দিন হরতাল না দিলে দেশের আরো উন্নয়ন হতো বলেও দাবি করেন এরশাদ।


দুই দলের নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, “আমার সময়ে দুই জন মারা গিয়েছিল, আর এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। আপনারা এই দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়া ছাড়া আর কি অবদান রেখেছেন?”
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উৎখাত হওয়া সাবেক এই সামরিক শাসক বলেন, “আমরা এই গণতন্ত্র চাইনি, শান্তি চেয়েছিলাম। দেশের মানুষ বলছে- তারা দুই দলই দেখল, কিন্তু এরশাদের সময়ই ভাল ছিল। তারা আবার এরশাদের আমলে ফিরে যেতে চায়। ”
এরশাদ দাবি করেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে জনসমর্থন ছিল, এখন তার প্রতি সমর্থনও তেমনই।


“৭০ এর নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জিজ্ঞেস করত- বঙ্গবন্ধুর ব্যালট বাক্স কোথায়? এবার মানুষ এরশাদের বাক্স খুঁজবে। ”
অন্যদের মধে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু ও জাতীয় পার্টি নোয়াখালী জেলার নেতারা এই মত বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।