আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংঘাত, মৃত্যুর পর শ্রীপুরে আ. লীগের সমর্থন বদল!

আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচেন আওয়ামী লীগের সমর্থনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন ইকবাল হাসান সবুজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সমর্থক হিসাবে পরিচিত।

কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল জেলা নেতাদের মতের বাইরে গিয়ে থানা আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। তিনি স্থানীয় সাংসদ মো. রহমত আলীর সমর্থক হিসাবে পরিচিত।  

আব্দুল জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আকম মোজাম্মেল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান সোমবার রাতে তাকে টেলিফোন করে ‘দলীয় হাইকমান্ডের’ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজমত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  বলেন, “দলের বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আমাকে সোমবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি জানানো হয়েছে। ”

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

একই পদে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার প্রচারের মধ্যেই গত শুক্রবার র‌্যাবের হাতে আবদুল জলিলের আটক হওয়ার খবরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তার সমর্থকরা।

জলিলকে ছেড়ে দেয়ার পর কর্মী-সমর্থকরা চলে গেলেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শনিবার তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আহত হন অন্তত ৫০জন।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন রোববার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি আব্দুল জলিলের সমর্থক ছিলেন। জলিলের সমর্থকদের অভিযোগ, ইকবাল হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের গুলিতেই আল আমিন নিহত হন।

সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রীপুর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ রোববার দুই অস্ত্রধারীসহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

আবদুল জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে  তাকে ‘ র‌্যাব সদস্যদের দিয়ে’ গাড়িতে করে তুলে নিয়ে ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাপ’ দেয়া হয়। কিন্তু তার সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ‘স্থানীয় সাংসদের ফোন পেয়ে’ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।