আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"মজার মজার দম ফাটানো কিছু হাঁসির জোকস!

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। নতুন নতুন "গল্প" লিখতে বেশী ভালো লাগে। ।


১.
আমেরিকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ঘেরা জায়গা ‘এরিয়া ৫১’র মধ্যে এক সকালে হঠাৎ এক ছোট্ বিমান ল্যান্ড করলো ।

সিকিউরিটির লোকেরা পাগলের মতো দৌড়ে এসে ঘেরাও করলো বিমানটিকে । দেখা গেলো ভিতরে শুধু পাইলট । তাকে গোয়েন্দা সন্দেহে বন্দী করে সারারাত ইন্টারোগেশন চালালো সি.আই.এ । কিন্তু লোকটা কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে লাগলো তার বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়ায় বাধ্য হয়ে এখানে ল্যান্ড করেছে । অবশেষে সকালবেলা সি.আই.এ সন্দেহ ত্যাগ করে লোকটাকে মুক্ত করে দিলো…বিমানের মেরামতও করে দেয়া হলো ।


লোকটাকে হুমকি দেওয়া হলো-“আবার এরিয়া ৫১-এ তোমাকে দেখা গেলে সোজা গুলি করে মারা হবে । ”
লোকটা বিমান নিয়ে উড়ে চলে গেলো । কিন্তু বিকালের মধ্যেই হঠাৎ আবার বিমানটি এসে হাজির…আবার ল্যান্ড করলো সবার নাকের ডগায় । এবার দেখা গেলো পাইলটের সাথে একজন যাত্রীও আছে । সিকিউরিটির লোকেরা রাগে কিড়মিড় করতে করতে ছুটে এসে পাইলটকে বললো-“মনে হয় গুলি খেয়ে মরার খুব শখ হয়েছে তোমার ।



পাইলট বললো-“ভাই! ওসব পরে দেখা যাবে, তার আগে আমার বউ’কে একটু বুঝিয়ে বলে দেন কাল সারারাত আমি কোথায় ছিলাম !”


দুই.

পরান নামে এক
থুরথুরে বুড়ো মারা গেছে,
তাকে শ্মশানে এনে পোড়ানো হচ্ছে। এদিকে,
শ্মশানের পাশে এক
বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে।
বিয়ে বাড়িতে হৈ-চৈ, প্রচন্ড
জোরে সাউন্ড-বক্সে গান বাজছে।
শ্মশানে বুড়োকে পোড়াতে আসা লোকজন
খুব কান্নাকাটি করছিল। হঠাৎ
সবাই চুপ হয়ে গেল! কারণ,
তারা কাঁদবে, না হাসবে,
বুঝতে পারছেনা! .
.
.
.
. বিয়ে বাড়িতে গান বাজছে . . . .
.
.
.
. পরাণ যায় জলিয়া রেএএএ... পরাণ
যায় জলিয়া রে . . . !!!



তিন.

থানায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট
লেখাতে গেছে এক মহিলা,
মহিলাঃ 'কাল রাতে টেলিভিশনটা
ছাড়া আমার বাসার
সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।

'
পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
'যেনতেন চোর নয় দেখছি।
তা চোর ব্যাটা সব নিল কিন্তু
টেলিভিশনটা নিল না কেন?'
\
\
\
\
\
\
\
মহিলাঃ, 'আমি তখন টেলিভিশনে
স্টার জলসা দেখতেছিলাম'!



চার.

হাবলু-তরুণী
চমত্কার এক বিকালে ততোধিক চমত্কার একটা ঘটনা ঘটল।
এক সুন্দরী তরুণী হাবলুকে বিয়ের প্রস্তাব
দিয়ে বসল ধুম করে!
কিন্তু হাবলুর মুখ কালো। ঘটনা কী?
জিজ্ঞেস করল সেই তরুণী। হাবলু মুখ বেজার করে বলল,
না রে ভাই, আমার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেবে না!
কারণ আমাদের পরিবারে কেবল আত্মীয়দের মধ্যেই বিয়ে হয়।



যেমনঃ

আমার বাবা বিয়ে করেছেন আমার মাকে। ভাই ভাবীকে। আপা দুলাভাইকে।


পাঁচ.

টিচার ও স্টুডেন্ট এর মধ্যেকথা হচ্ছে
টিচার : H.S.C এর পূর্ণরুপ কিজানো ?
স্টুডেন্ট :"Headmaster Sendel Chor "
টিচার : "Haramjada Soytan Chele"
স্টুডেন্ট : আপনার টা ও মোটামোটি ঠিক আছে।


ছয়.

Girl: নিউ ফিল্ম ? আছে?
দোকানদার: আই লাভ ইউ!
Girl: স্টুপিড।


দোকানদার: এটা আসেনি!
Girl: ইডিয়ট।
দোকানদার: এটা বিক্রি হয়ে গেছে!
Girl: বোকা নাকি?
দোকানদার: এটার শুটিং চলতেছে....


সাত.

বাবা ছেলেকে নতুন
জুতা কিনে দিয়ে বলল :

সিড়ি দিয়ে উঠার সময়
দুইটা করে উঠবি। এতে জুতার উপর চাপ কমবে।
জুতা বেশি দিন টিকবে !!

কিন্তু ছেলে বাবার চেয়ে আরো এক
ডিগ্রী উপরে। সে বাবাকে খুশি করার জন্য
তিনটা সিড়ি করে উঠছে।


উপরে উঠার পর বাবা মারলো ছেলের
গালে জোরে এক চড় !!

ছেলের চিৎকারের শব্দে পাশের বাসার
মহিলা এসে বলল: এতটুকু বাচ্চাকে কেউ
এভাবে মারে? কেন মেরেছেন?

বাবা বলল: ওকে বলেছি দুইটা সিড়ি করে উঠবি তাহলে
জুতা বেশীদিন টিকবে আর ও উঠলো তিনটা করে।

মহিলা: ও তো ঠিকই করেছে। দুইটার জায়গায়
তিনটা করে উঠেছে। আপনার তো খুশি হওয়ার কথা।

বাবা: খুশি হবো কিভাবে বলেন, ও ২০০ টাকার জুতার
তলা বাচাতে গিয়ে ৮০০ টাকার প্যান্টের
তলা ছিড়ে ফেলেছে!



আট.

গ্রাম থেকে প্রথম বার ঢাকা এসেছেন
রফিক ও তাঁর পরিবার।



এক সকালে রফিক তাঁর বউ বিউটি
আর ছেলে বল্টুকে নিয়ে বের
হলেন ঢাকা শহর ঘুরতে।
এটাই তাঁদের প্রথম রাজধানীতে যাত্রা।
গিয়েই তাঁরা পঁচিশ তলার এক
মার্কেটে ঢুকেছেন। সব দেখে তো
তাঁদের চোখ ছানাবড়া।

রফিকের বউ বিউটি গেলেন
এটা-সেটা কিনতে।

সেই ফাঁকে বাপ-বেটা
মিলে মার্কেটটা ঘুরে দেখতে লাগলেন।
হঠাৎ একটা লিফটের সামনে
পড়তেই ব্যাপক চমৎকৃত তাঁরা, বল্টু
তো চেঁচিয়েই উঠল প্রায়,
আরে বাবা, এটা কী জিনিস! কেমন দেয়াল
ফেটে দরজা খুলে যায়, আবার
দেখি ওপরেও উঠতে পারে!

রফিক নিজেও বাপের জন্মে এমন জিনিস
দেখেননি, তাই তাঁরও একই প্রশ্ন,
জিনিসটা কী! ঠিক সেই সময় কালোমতো
এক নারী লিফটের ভেতরে ঢুকে
গেলেন, ভেতরে সুইচ টিপে ওপরেও
উঠে গেলেন। খানিক বাদে নেমে এল লিফটটা।
দরজাটা খুলে যেতেই বাপ-বেটার
চোখ রীতিমতো কমলালেবু।
অল্প বয়সী এক সুন্দরী নারী বেরিয়ে আসছেন
সেখান থেকে।

দেখে তো রফিক
লাফিয়ে উঠলো সঙ্গে সঙ্গে, বল্টুকে বলল,

ওরে বল্টু, এ তো দুর্দান্ত জিনিস!
শিগগির যা, তোর মাকে নিয়ে আয়,
ওই যন্ত্রের ভেতরে ঢুকিয়ে দিই!



নয়,

সেলুনে চুল কাটাতে গেছেন এক নেতা। নাপিত কাঁচি চালাতে চালাতে বলছেন,

‘স্যার, শুনলাম জনগণ নাকি আপনার ওপর খুব খ্যাপা।
যেকোনো দিন আপনার বাড়িতে হামলা চালাইবে!
আপনি নাকি ঘুষের টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় বানাইছেন…। ’

নেতা ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই ব্যাটা, চুপ থাক। ’

পরদিন নাপিতের কাছে চুল কাটাতে এলেন এক সরকারি কর্মকর্তা।



নাপিত তাঁর চুল কাটতে কাটতে বললেন,

‘স্যার, দুদক নাকি আপনারে খুঁজতেছে!
যেকোনো দিন ক্যাক কইরা ধইরা জেলে ঢুকায় দিব!
আপনি নাকি দুর্নীতি করেন!’

সরকারি কর্মকর্তাও নাপিতকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন।

কয়দিন বাদেই নাপিতের দোকান ঘেরাও করল পুলিশ।
নাপিতকে আটক করে বলল,

‘এই ব্যাটা, তুই নাকি তোর কাস্টমারদের আজেবাজে কথা বলিস?

তোর উদ্দেশ্য কী?’

নাপিত আমতা আমতা করে বললেন,

‘স্যার! এসব কথা বললে ভয়ে ওনাদের চুল খাড়া হয়ে যায়।
আমার চুল কাটতে সুবিধা হয়। তাই বলি!’



দশ.


চীনা ভাষা জানে, এমন একজনকে খুঁজে বের করলেন নাজমুদ্দিন সাহেব।

বললেন,

আমাকে সাহায্য করুন। অনেক কষ্টে আপনাকে খুঁজে পেয়েছি।

লোকটা বললেন, আমাকে কেন খুঁজছিলেন, বলুন তো?

নাজমুদ্দিন: আমার এক চীনা বন্ধু ছিল, নাম তার চিং হোয়াই। ওর আর আমার

দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হলেও আমি চীনা ভাষা জানি না। চিং হোয়াইও চীনা ভাষা ছাড়া আর

কোনো ভাষা জানে না।

কয়েক মাস আগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে

ভর্তি হয়েছিল চিং। ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি, বেচারার করুণ হাল। নাকে-

মুখে অক্সিজেনের নল লাগানো। আমাকে কাছে পেয়েই ও কাতর হয়ে উঠল, বলল, লি

কায় ওয়াং কি গুয়ান বলতে বলতেই বেচারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। এদিকে আমি

তো চীনা ভাষা জানি না।

বন্ধুর শেষ কথার অর্থ উদ্ধার করতে আমি দিনের পর দিন

ঘুরে বেড়িয়েছি। এখন আপনিই আমাকে এই মনঃকষ্ট থেকে উদ্ধার করতে পারেন।

বলুন, এর অর্থ কী?

কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বললেন চীনা ভাষা অনুবাদকারী, এর অর্থ হলো, অক্সিজেনের

নলটার ওপর থেকে সরে দাঁড়াও!




এগারো.


সৈকত সাহেব দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমাতে চেষ্টা করছেন, মশার জ্বালায় পারছেন না।
যখনই চোখ দুটো ঘুমে একটুখানি লেগে আসে,
তখনই কোথা থেকে যেন একটা পাজি মশা এসে কানের কাছে গুন গুন গুন গুন
করতে থাকে। রেগেমেগে সৈকত দাঁত কিড়মিড় করে বললেন,
একবার যদি ধরতে পারি, দেখাব মজা!
সৈকত এবার ঘুমের ভান করলেন।

যখনই মশাটা কাছে এল, অমনি খপ করে
মশাটাকে ধরে ফেললেন। আলতো করে ধরে মশার
গায়ে হাত বোলাতে লাগলেন আর আয় ঘুম আয় রে বলে বলে মশাটাকে
ঘুমপাড়ানি গান শোনাতে লাগলেন! কিছুক্ষণের মধ্যেই
মশাটা নিস্তেজ হয়ে এল। দেখে মনে হলো, মশাটা প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে!

এবার সৈকত সাহেব মশার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন, গুন গুন গুন গুন....!!




বারো,

ওয়াহেদ স্যার হ কে খ বলতেন।
যেমন_লোহাকে লোখা। একদিন
আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্টু
সাদিকে জিজ্ঞেস করলেন, 'খ্যালোজেন কী?'
প্রশ্ন শুনে সাদি ভেবেছে মনে হয়
আরবের কোনো বিজ্ঞানীর নাম।

তাই সে বলল,
খ্যালোজেন হলো বিখ্যাত আরব বিজ্ঞানী।
উত্তর শুনে স্যার দিলেন বেত
দিয়া সপাসপ দুইটা মাইর। এরপর অন্য
সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু
কেউ আর পারে না।
আমাকে মাইর দিয়া বললেন,
পড়ালেখা না করে সারা দিন কি করিস?
খ্যালোজেন কি পারিস না?
সবাইকে পিটিয়ে স্যার হতাশ।


তিনি বললেন, 'কাদেরকে আমি পড়াতে এলাম,
খ্যালোজেন কি পারে না?
এরাই নাকি কয়েক দিন পরে
এসএসসি পরীক্ষা দেবে!'
একটু পর স্যার নিজেই উত্তর বলে দিলেন,
'ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন এই তিনটি
পদার্থকে খ্যালোজেন বলে।
তখন সাদি বলল, স্যার, এগুলো তো
খ্যালোজেন না, হ্যালোজেন।

স্যার বললেন আমিও তো খ্যালোজেন বলেছি, খ্যালোজেন না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.