আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিসেম্বরে শেষ হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়কের নির্মাণকাজ ৪৪ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ১৯২ দশমিক তিন কিলোমিটার সড়কের ৫০ কিলোমিটারের কাজ পুরোপুরিই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। গঠন করা হয়েছে তদারকি কমিটি।

বন্দর নগরীর সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে।

প্রথমে দুই হাজার ৩৮২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরে বেড়ে যায়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ১৯০ কোটি টাকা। কাজ শেষের মেয়াদ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ১২টি প্যাকেজে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে সড়কে ১০টি প্যাকেজ ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের জন্য দুটি প্যাকেজ।

সড়কের ১০টি প্যাকেজের মধ্যে সাতটির কাজ পায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে কাজের অগ্রগতি ছিল নগণ্য। সূত্র জানায়, সড়ক নির্মাণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় শুষ্ক মৌসুম। কিন্তু গত বছর অক্টোবর থেকে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানটি কাজ গুটিয়ে রাখে। ফলে ওই সাত প্যাকেজের কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি।

এ অবস্থায় সিনো হাইড্রোকে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। কাজ তদারকির জন্য সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে গত ১০ মার্চ চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করলে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সিনো হাইড্রোর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ১৯২ দশমিক তিন কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাটির কাজ শেষ প্রায় ৯৫ ভাগের।

বিটুমিনাস কার্পেটিং বা পিচঢালা সম্পূর্ণ হয়েছে ৫০ কিলোমিটার সড়কের। অন্যদিকে, দুটি প্যাকেজের আওতায় মোট ২৩টি ব্রিজের মধ্যে ১৫টির কাজ শেষ। ২৪৪টি কালভার্টের মধ্যে ২৩২টির কাজ শেষ। তিনটি রেলওয়ে ওভারপাসের ৪০ ভাগ কাজ শেষ। ১৪টি সড়ক বাইপাসের মধ্যে দুটির কাজ সম্পূর্ণ এবং বাকিগুলোর ৫০ ভাগ কাজ শেষ।

প্রকল্পের পরিচালক ইবনে আলম হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ৪৪ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'নানা প্রতিকূলতার কারণে চীনের প্রতিষ্ঠানের সাতটি প্যাকেজের কাজ কয়েক মাস ধরে মারাত্দকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। ' তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহৎ এ প্রকল্পের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা বেশ কঠিন হবে।

আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.