আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ

ইসলামে নারীর মর্যাদা অন্য যে কোনো ধর্মের চেয়ে বেশি। অমুসলিম বিশিষ্ট নারীরাও এ কথা স্বীকার করেছেন। দুনিয়ার সব সমাজেই নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার ক্ষেত্রে অপবাদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইসলামে অপবাদ সৃষ্টি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে জননীর জাতি নারীর প্রতি অপবাদের যে কোনো প্রবণতার বিরুদ্ধে ইসলাম কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছে।

কেউ যাতে তাদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনায় সাহসী না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করতে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন : 'যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ মুমিন নারীদের বিরুদ্ধে অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহলোক ও পরলোকে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য রয়েছে গুরুতর শাস্তি। '

-সূরা আননূর-২৩

উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো সতী-সাধ্বী নারীর ওপর ব্যভিচার ও অশ্লীলতার অপবাদ আরোপকারী ইহলোক ও পরলোকে অভিশপ্ত, তার জন্য গুরুতর শাস্তি অপেক্ষমাণ। দুনিয়াতেও তাকে শাস্তি পেতে হবে। তার জন্য শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি রয়েছে এবং সে সত্যবাদী হলেও পরবর্তীতে আর কখনোই তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।

অপরের নামে অপবাদ দেওয়া সমাজভুক্ত মানুষের সুসম্পর্ক নষ্ট করে।

সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অনৈক্য সৃষ্টির মদদ জোগায় এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রবণতা। জাহেলি যুগের আরব অধিবাসীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অপবাদ সৃষ্টি এবং সংঘাতে মদদ জুগিয়ে আনন্দ পেত। ইসলামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে ভাবা হয়।

সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমরা সাতটি গুরুতর ক্ষতিকর কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাক। উলি্লখিত সাতটি গুনাহর অন্যতম হচ্ছে সতী-সাধ্বী ও নিরীহ মুমিন নারীর ওপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করা।

'

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেও দেখা যায়, সাধারণত অজ্ঞ এবং কুচক্রী লোকজনই অপরের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ায়। অযৌক্তিকভাবে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কারোর চরিত্র সম্পর্ক প্রশ্ন তোলা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিতে তা কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অপবাদ এবং নারী নির্যাতনের পাপ থেকে দূরে থাকার তওফিক দান করুন।

লেখক : খতিব, আল আমিন মসজিদ, খুলনা।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।