আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোনাকি মন - ২



......... কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি। ওই কুত্তিরে বিয়ে করাটাই ছিল আমার জীবনের সবচে বড় বোকামি। আমাদের সংসারটা খান খান হয়ে গেল শুধু মাত্র বড় ভাইয়ার কারনে। যদি তার লাশ না ফেলছি তো আমি শালা বাপের পুত না... এই রকম খিস্তি খেউর করতে করতে গভীর রাতে বাসায় ফিরলাম।
: তারানা, মেরে পেয়ারি প্লিজ প্লিজ।

আজকেই লাস্ট। কসম করছি আর কোনদিন যদি খাই। তুমি আমারে গোবর খাইয়ে দিও.... আল্লার কসম আরে আরে তোমার কসম তো...... এইসব করে করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা।
সকালে ফ্রেশ মুডে ঘুম ভাংলো। সকাল মানে ১২ টার পর আর কি! তারানা হাতের কাজ শেষ করে এসে পাশে বসল।


- নতুন যে কাপড় গুলো পেয়েছি, তা এখনই ইউজ করতে চাইছি না। তুমি তো সুন্দর কাপড় দিয়েছ-ই।
বউ দেখি এঞ্জেল টাইপ কথা কয়।
: কি করতে চাও পরিস্কার কর - গলা খাকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
- অতিরিক্ত কোন কিছুই আর করতে চাই না।

আমি এখন নতুন জামা বানাতে চাইছি না।
আমি আকাশ পাতাল চিন্তা শুরু করলাম। আবার গোপনে বেইচা দিব নাকি এইটা তার নতুন কোন চাল? কাল রাতের রিয়েলাইজেশন তো রাতেই শেষ। সাবধানে এগুতে হবে।
: একটা তুমি নাও।

আর একটা কাউকে উপহার হিসেবে দিয়ে দাও - ভারসাম্য বজায় রেখে বললাম। সে খুশি মনেই রাজি হলো। আমাদের বংশে চার মেয়ে কিন্তু জামার কাপড় একটা। সুতরাং যে সবার বড় সে-ই পাবে। বিকেলেই দুজনে গিয়ে দিয়ে আসলাম।

সাথে তিন হাজার টাকা। হাসি খুশি আনন্দ আর আতঙ্কের ঈদ শেষ হয়ে গেল। গাট্টি বোসকা নিয়ে আবার নিষিদ্ধ শহর ঢাকায় ফিরে এলাম। সব আনন্দ শেষেই একটা করে নিরানন্দের কিছু থাকে। মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এটাক কোন দিক দিয়ে হবে শুধু এটা জানিনা। আনন্দের এই বাসর শেষ হলে পরে বাবুর ( আমার ইমিডিয়েট বড় ) ফোনে ঘুম ভাংলো।
: অই তুই ফাইরুজ রে কি দিছস? ফুটপাত থিক্কা কাপড় কিনার রুচি তোর হইল কেমনে? বড় ভাবি কাকা সহ সবাইকে জনে জনে বিচার দিচ্ছে। তোরে নিয়া কি কি খারাপ কথা চালু হইছে একটু শোন............ খুব সামান্যতেই অসুস্থ হয়ে পড়ার অভ্যাস আমার আছে। আমি দীর্ঘ দিন বিছানায় পড়ে রইলাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।