আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটন্ত পানি ঢেলে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ঝলসে দিল স্বামী

অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর গায়ে ফুটন্ত পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দিয়েছে তার স্বামী। চাহিদা মত যৌতুক না পেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ভাত রান্নার ফুটন্ত পানি শরীরে ঢেলে দিয়েছে স্বামী সোহাগ হাওলাদার।

এরপর গুরুতর আহত আসমাকে চিকিৎসা না দিয়ে ৮ দিন ঘরে আটকে রাখে। ৮দিন পরে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে গৃহবধূর পরিবার তাকে উদ্ধার করে রবিবার রাতে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার।

গৃহবধূর নাম আসমা আক্তার (২০)। আসমা উপজেলার আমতলা গ্রামের দরিদ্র আতাহার আলী মোল্লার কন্যা ।

জানাগেছে, আসমা আক্তারের সাথে ৩ বছর আগে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (২৭) এর সাথে বিয়ে হয়।

আসমার পিতা আতাহার আলী জানান, বিয়ের সময় তিনি জামাই সোহাগকে মালামালের সাথে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু বিয়ের  পর থেকেই সোহাগ যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় আসমাকে চাপ দিয়ে আসছিলো।

তিনি আরো বলেন, গত শনিবার সোহাগ হাওলাদারের প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার তাদের সহায়তায় আসমা কে উদ্ধার করে নাজিরপুরে এনে হাসপাতালে ভর্তিকরি।  

গৃহবধূ আসমা জানান, সে এখন ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা। গত ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ঘরে ভাত রান্না করার সময় স্বামী সোহাগ তাকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়ার জন্য বলে। এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ তাকে  মারধর করে চুলার উপরে থাকা ভাত রান্না করার ফুটন্ত পানি গায়ে ঢেলে দেয়।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ এ  আঃ  মতিন সরদার বলেন, আসমার ডান হাতের বগলের অংশের ঘা মারাত্মক।

এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলশে গেছে। তিনি বলেন আসমার উন্নত চিকিৎসা না হলে বগল ও হাতের বাহুর অংশ আটকে যেতে পারে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খালেক হাওলাদার জানান, ঘটনাটি জানার পর আামি আসমার বাবা আতাহার আলী মোল্লার সাথে যোগাযোগ করি এবং পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার ও বরিশাল পুলিশের ডিআইজির সাথে আলাপ করে তাকে পুলিশের সহায়তায় বানারীপাড়া থানায় পাঠানো হয়েছে মামলা করার জন্য।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।