আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিক্ষুকের ঝুলিতে ৬ কোটি ৩৫ লাখ!

সৌদি আরবের আইশা বেশ কয়েক দশক কাটিয়েছেন পথের পাশে বসে। মানুষের করুণার ওপর ভরসা করেই বেঁচে ছিলেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি শিখেছিলেন মায়ের কাছ থেকে। মা আর বোনের পাশে বসেই হাত পাতা শুরু৷

ফুটপাথে 'পেশাদার' জীবন কাটিয়ে যখন মারা গেলেন তখন তার বয়স ১০০ বছর। এত দিনের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় অন্তত ৬ কোটি ৩৫ লাখ কোটি টাকা! ভিক্ষার পয়সা জমিয়ে আইশা সৌদি আরবে কিনে ফেলেছিলেন চারটি বড় বাড়ি৷ প্রতি বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন বেশ কয়েকজন করে বাসিন্দা৷ ভাড়া থাকতো ঠিকই, তবে কখনও এক পয়সা ভাড়াও দাবি করেননি বাড়ির মালকিন৷ কেউ জানতেও পারেনি চার চারটি বাড়ির অধিকারিণী আসলে এক পেশাদার ভিক্ষুক৷ 

দীর্ঘ জীবনে একজন বন্ধু পেয়েছিলেন আইশা৷ ছোটবেলা থেকেই তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল আহমেদ আল-সিদির৷ বান্ধবীকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন আল-সিদি, প্রস্তাব দিয়েছিলেন কঠিন এই পেশা ছেড়ে দিয়ে বাকি জীবনটা কিছুটা আরামে কাটাতে৷ কিন্তু সাবধানী আইশা সাহস করেননি৷ তার ভয় ছিল, ভবিষ্যতে যদি ফের খারাপ সময় আসে তাহলে আবার পথে বসতে হবে তাকে৷

মারা যাওয়ার পর যখন জানাজানি হলো তার সম্পত্তির কথা তখন অবাক হলো সৌদি কর্তৃপক্ষ৷ আপাতত তার বাড়িগুলোর মালিকানা নিয়ে বেশ বিভ্রান্ত প্রশাসন৷ মাথা গোঁজার চিন্তায় বাসিন্দারাও৷

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.