আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদের ৭০ শতাংশ ধান্ধাবাজ শ্রেণির লোক



বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস’র পরিচালক ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেছেন, দেশে ধান্ধার অর্থনীতি সৃষ্টি হয়েছে। ধান্ধাবাজরা দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। ধান্ধাবাজরা বিভিন্ন দলের। কিন্তু যখন ধান্ধা করে তখন এক। এদের প্রকৃত লক্ষ্য হচ্ছে আরো আরো চাই।

সংসদের ৭০ শতাংশ ধান্ধাবাজ শ্রেণির লোক। এ ধান্ধাবাজদের বিচ্ছিন্ন ও দেশ থেকে দূর করতে হবে। এটা বন্ধ করতে না পারলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশ দারিদ্র-বৈষম্য-অসমতা: একীভূত রাজনৈতিক অর্থনীতির তত্ত্বের সন্ধানে’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও অধ্যাপক ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, দেশের রেনস্যকারদের (লুটপাটকারীদের) সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র রয়েছে। রেনস্যাকাররা অন্যের সম্পদ গ্রহণ, অধিগ্রহণ, হরণ, দখল, বেদখল, জবরদখল, আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে থাকে। আর এই কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে সরকার ও দেশের রাজনীতি।



আবুল বারকাত বলেন, সরকার ও রাজনীতি রেনস্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রেনস্যাকিং প্রক্রিয়ার কারণে দেশে বৈষম্য-অসমতা হ্রাস পায়নি, বরং বেড়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক উগ্রতাসহ বিভিন্ন মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিকাশ লাভ করেছে। রেনস্যাকারদের সঙ্গে রাজনীতি ও সরকারের অশুভ স্বার্থ মেলার ফলে দেশে শ্রেণি কাঠামোর পরিবর্তন ঘটেছে।

তিনি বলেন, দেশে দারিদ্রের সংখ্যা হ্রাস পায়নি।

দারিদ্রতা আরো বেড়েছে। ৩০ বছর আগে ৭০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করলেও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি। ২০১০ সালে সরকারি হিসাবে ৩২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করলেও দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। এই বিবেচনায় দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৮৩ ভাগ।

বারকাত বলেন, এই কাঠামো চলতে থাকলে দেশে দারিদ্র্য-বৈষম্য-অসমতা কখনোই দূর হবে না।

এটা দূরীভূত করতে হলে সংবিধানের থেকে ৪৩ পর্যন্ত অনুচ্ছেদের আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া রেনস্যাকারদের সরকার ও রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশ রেনস্যাকারদের কবলে পড়েছে। এই রেনস্যাকারদের দেশ থেকে দূর করতে হবে। এদের সংখ্যা ৫ শতাংশের বেশি নয়।

ইচ্ছা থাকলেই এটা করা সম্ভব হবে।

http://www.sheershanews.com/2014/03/22/30240

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.