আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিভিউঃ ওয়ালটন স্মার্ট টিভি - W42E68S

প্রযুক্তির সাথে চলতে চলতে অ্যান্টেনাওয়ালা বেঢপ আকারের মোবাইল গুলো বর্তমানে নানা রকম বিস্ময়কর এবং প্রয়োজনীয় ফিচার সমূহ ধারণ করে যেমন স্মার্টফোনে রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছে তেমনি এখন সেই সাদা-কালো টিভিগুলোও কালের বিবর্তনে রঙ্গিন, থিন, আল্ট্রা থিন থেকে বর্তমানে অনেক সুবিধা নিয়ে হয়ে গিয়েছে ‘স্মার্ট টিভি’। বিশ্বের বড় বড় টিভি নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু সময় আগে থেকেই নির্মান করে আসছে এই ‘স্মার্ট টিভি’ তবে এক্ষেত্রে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনও কিন্তু এই প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই। আজকে আমার রিভিউয়ে থাকছে ‘ওয়ালটন স্মার্ট টিভি W42E68S’ মডেলটি। ওয়ালটন আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের বাজারে স্মার্টফোন সহ বেশ কিছু প্রোডাক্টের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবং সময়ের আবদারেই ওয়ালটন বাজারে আনে তাদের প্রথম স্মার্ট টেলিভিশনটি।

টিভি অর্থাৎ টেলিভিশনের সংজ্ঞাতো আমরা সবাই জানি, তাহলে ‘টিভি’ এবং ‘স্মার্ট টিভির’ পার্থক্যটা কী? স্মার্ট টিভি মূলত একটি টেলিভিশনই কিন্তু এর মাধ্যমে টেলিভিশন দেখার পাশাপাশি আপনি অন্যান্য অনেক কাজও করতে পারবেন যেগুলো সাধারণ টেলিভিশনে করা সম্ভব নয়। ওয়ালটনের এই স্মার্ট টেলিভিশনটি চলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ৪.২ (জেলি বিন) এর উপর ভিত্তি করে যে অপারেটিং সিস্টেম কিনা আমরা আমাদের স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান সময়ে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারও বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। যেহেতু, এই স্মার্ট টেলিভিশনটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে এবং এর স্ক্রিন সাইজ ৪২ ইঞ্চি তাই এটিকে একটি বড় ৪২ ইঞ্চির অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব হিসেবেও আপনি ধরতে পারেন। এই স্মার্ট টেলিভিশনটিতে রয়েছে arm cortex A9 Dual Core প্রসেসর, arm mali 400 গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট এবং স্মার্ট 3D ইঞ্জিন।

চলুন, এই স্মার্ট টিভিটির কিছু ফিচার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

সুবিধা সমূহঃ

স্মার্ট টিভিটির ড্যাশ বোর্ড খুবই সাধারণ ধরনের এবং এই ড্যাশবোর্ডটির বামে কিছুটা উপরের দিকে একটি ভিডিও বক্স রয়েছে এবং অন্যান্য সকল প্রকার সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে ড্যাশ বোর্ডটির নিচের অংশ জুড়ে। ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে এই স্মার্ট টেলিভিশনটির ডিসপ্লে খুবই শার্প। আপনি ড্যাশবোর্ড থেকেই বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন, মিউজিক শুনতে পারবেন বা ইন্টারনেট ব্রাউজও করতে পারবেন ঠিক যেমনটি আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর স্মার্টফোন গুলোতে করে থাকি।

স্মার্ট টেলিভিশনটিতে খুব বেশি অ্যাপলিকেশন প্রি-ইন্সটল্ড করা থাকেনা এবং অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম আকর্ষন ‘প্লে-স্টোর’ও এই স্মার্ট টিভিতে নেই তবে আপনি যেকোন ইউএসবি স্টোরেজের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি যে কোন অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক অ্যাপলিকেশন ইন্সটল করতে পারবেন।

এছাড়াও ‘গেম সেন্টার’ নামক একটি ফিচার যুক্ত আছে টিভিটিতে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকম গেম ডাউনলোড এবং ইন্সটল করতে পারবেন। স্মার্ট টিভিটিতে বিভিন্ন কারনে টাইপ করার প্রয়োজন হলে আপনি এই টিভির রিমোটটিকেই ব্যবহার করতে পারবেন অনায়েসে। রিমোটটির একটি সাইডে লেখার সুবিধার্থে যোগ করা হয়েছে কোয়ের্টি কীপ্যাড এবং অন্যপাশে সাধারণ রিমোটের ইন্টারফেইস রাখা হয়েছে। স্মার্ট টিভির কোয়ের্টি কীবোর্ডটি চমৎকার কাজ করে এবং এতে লিখে মজাও পাওয়া যায়। অন্যদিকে রিমোট ব্যবহার করে স্ক্রলিং সুবিধা ব্যবহারও টিভিতে কাজ করেছে বেশ ভালোভাবেই।

কানেক্টিভিটিঃ

ওয়ালটনের এই স্মার্ট টিভিটি ওয়াই ফাই অথবা ইথারনেট এর সাহায্যে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে সক্ষম। টিভিটির পেছন দিকে ৪টি মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট, মাইক্রো এসডি পোর্ট, ল্যান ইন, পিসি পোর্ট রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ টেলিভিশনের মত ক্যাবল টিভি সংযোগ, AV1 ও AV2 পোর্ট এবং HDMI ক্যাবল ব্যবহারের সুবিধাতো রয়েছেই।

শেষ কথাঃ

স্মার্ট টেলিভিশনের উপরে উল্লেখিত সুবিধা ছাড়াও এটি একটি সাধারণ HDTV এর মতই কাজ করে থাকে। আপনি যদি আপনার টিভিটি দিয়ে ক্যাবল সংযোগের বাইরেও বিভিন্ন রকম সুবিধা পেতে চান তবে একটি স্মার্ট টিভি আপনার সেই চাহিদা পূরনের সঠিক পণ্য হতে পারে।

স্মার্ট টিভির পাশাপাশি ওয়ালটন সম্প্রতি ফেইসবুক এবং তাদের অফিশিয়াল ওয়েব সাইটে 4K টেলিভিশনের ঘোষণা দিয়েছে যা খুব শীঘ্রই বাজারে পাওয়া যাবে।

বর্তমানে ওয়ালটনের এই W42E685 মডেলের স্মার্ট টেলিভিশনটি ২ বছরের ওয়ারেন্টি সহ প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং আপনি চাইলে ২৪ মাসের কিস্তিতেও আপনি এই স্মার্ট টেলিভিশনটি কিনতে পারেন।


0
No votes yet

সোর্স: http://tech.priyo.com     দেখা হয়েছে ৩০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।