আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সপ্নে বাদলও কদম্ফুল



খুব সকাল হালকা আলো পর্দা দিয়ে আসা শুরু করেছে। ঘুমটা এই ভোর বেলায় না ভাঙলে কি ক্ষতি হত??? ঘুম ভাঙার একটা যুক্তিযুক্ত কারন অবশ্য আসে। মেজাজ একটু খারাপ হয়ে গেল। তারপরেও বালিশের নিচে মাথা ঠুকে দিয়ে ঘুমানোর বার্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে রবিন।

রবিন মেসে থাকে.মফস্বলের ছেলে ঢাকাতে পড়তে এসে এই মেসে উঠা।

মেসে সবকিছুই ভাল শুধু সকালে এর ওর গেস্ট এসে ঘুমটা নষ্ট করে দেয়। যাক খুব ঘুম আসছে রবিনের। মুহূর্তেই রবিন কোথায় যেন হারিয়ে গেল।

-এই রবিন উঠ, আর কত ঘুমাবা। কি বেপার উঠ না, একটা মেয়ের কণ্ঠ শুনতে পেল।


রবিন প্রথমে বিশ্বাস করে নাই এই সকালে এই মেসে কোন মেয়ে আসবে??!!

-আজিব উঠবা না??? খুব পরিচিত গলা। কিন্তু এই পরিচিত গলা তো রবিনের শুনবার কথা ছিল না কখনও।

-শ্নেহা তুমি??? রবিন উঠে বলল। কিন্তু তুমি এখানে কিভাবে?? আর আমি যে এখানে থাকি তুমি যানলাই বা কিভাবে??

-এত প্রশ্ন করলে কোনটার উত্তর দেওয়া উচিত।
-আচ্ছা তুমি একটু বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।



-আমি কেমন আসি কিছুই আস্ক করলা না??

-করব একটু চোখে পানি দিয়ে আসি। আসলেই তুমি কিনা এখনও বুঝছিনা???!! আর এই সকালে ঘুম ভাঙছে মেজাজটাও একটু তিরিক্ষি আসে।

-আমি আসলেই তোমার মেজাজ তিরিক্ষি না কি জানি হয়?!

-ঝগড়া করতে এসেছ??

-ঝগড়া ছাড়া কি কিছু আর আসে আমাদের???

-ওয়েট আসতেছি
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
-হুম বল কি জানি বলতে চাইছিলা।
-আজকের তারিখটা মনে আসে তোমার??
-না
-এই দিন তুমি আমাকে একটা কদম্ফুল দিয়ে প্রপোস করছিলা!!!

-অহ তাই তো।
-কিন্তু ওইটা মনে রাখার মত কিছু কি আর আসে?

-কই আমি তো ভুলি নাই।


-পুরো বছর তুমি তো মনে রাখতেই চাইতা না আর এখন??

-রবিন তুমি কি আমার অবস্থা একবারও চিন্তা করস?? আমি ঠিক কি পার করেছি? আমার শুধু ভুলটাই দেখছ।

-আমি কি চেষ্টা করি নাই বল। সব কিছুই করসি, শুধু মুখে বলতাম না। তুমি হুট করে বিয়ে করে আরেকজনের হয়ে জাবা। সব কিছু মিথ্যা বলে চলে যাবা।

আমি আর কিই বা করতে পারতাম। খুব কষ্টে পার হইসে সময় গুলা। যাইহোক ভালই তো আস মনে হয়।

-দেখে কি তাই মনে হচ্ছে?মনে হলেই ভাল।

-তা আমার এখানের ঠিকানা কই পেলা তুমি?

-বলতে পারব না।



-হুম

-আজকে তুমি আর আমি বের হব, রিকশা তে চরে অনেক ঘুরবো। চল রেডি হয়ে নাও!!

-আকাশ কি মেঘলা দেখছ??
-তাতে কি??

-হুম


খুব বৃষ্টি বাহিরে।

রিকশা ড্রাইভার গুলা পুরা নবাব্জাদা হয়ে গেছে। কেউ যাবে না। একটা দুইটা যাবে তাও ভারা ডাবল চায়।



-অই মামা যাবেন, কলাভবন???
-৫০ টাকা
-কলা ভবন ৫০ টাকা কবে থেকে??
-ভাইজান আজকে কি বৃষ্টি দেখসেন???

- তো বৃষ্টিতে কি রাস্তা বড় হয়ে যায় নাকি??

শ্নেহা বললঃ আচ্ছা চলই না, তোমার স্বভাব পালটালও না।

- অকে চল। অই যে আরেকটা রিক্সা । অই মামা ?? কলা ভবন??
কত??

-৬০ টাকা

-ধুর!!!

-কতঁয় যাবেন?

-৩০
- কি কন না কন?
- থাক লাগব না !! ঃ@
- হ চলেন মামা ৪০ টাকা।

তারপর রবিন আর স্নেহা রিকশা তে উঠল।

বেশ ভালো বৃষ্টি । সাথে রাস্তায় জ্যাম। কেউ কুনু কথা বলছে না। হুট করে এক পিচ্চি এসে বলে ভাইয়া ফুল লইবেন ফুল কদমফুল। রবিন ৫ টা কদম্ফুল কিনল।

স্নেহা এত খুশি হল তা দেখে রবিন অদ্ভুত একটা আনন্দ পেল।

কলাভবন এসে গেল ওরা,অনেক টাইম লাগল।

- মামা ১০ টাকা বাড়ায়ে দিয়েন??

-কেন?

-জ্যাম দেখসেন???

-৪০ টাকা দিয়ে না পুরায়ে আসলাম?

-আচ্ছা ওই যে মুরুব্বি আসে উনাকে জিজ্ঞাসা করেন এত জ্যাম থাকলে কত ভাড়া হয়??

-মুরুব্বি বলেন তো- পুরা কাহিনি বলল রিক্সাওয়ালা।

হুম ৫০ টাকাই তো ভাড়া হয়- মুরুব্বি আন্সার দেয়।

রবিন ৪০ টাকা বের করে রিক্সা ড্রাইভার কে দিয়ে বলে বাকি ১০ টাকা মুরুব্বি দিবেন, উনার কাছ থেকে নাও!!!

মুরুব্বি তো পুরা অবাক, রিক্সাওয়ালা রে একটু হেল্পাই তে গিয়ে এমন একটা বিব্রতকর অবস্থা তে পড়তে হবে উনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই।

রিক্সাওয়ালাও একটু অপ্রস্তুত।

স্নেহা ১০ টাকা বের করে দিয়ে দিল।

তুমি একটুকুই চেইঞ্জ হও নাই। ।

আসলেই আমি চেইঞ্জ হয় নাই!!!
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;া;;;;;;;
ঘুমটা এবার আসলেই ভাঙল।

বাহিরে আসলেই বৃষ্টি হচ্ছে। স্নেহা এতদিন পর এভাবে সপ্নেই ক্যানও এলে???

তুমি কেমন আছ ??? এটাই তো বল্লা না।

রাতেরআকাশ
০৩০৭২০১৩
 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।