আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইজাহারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আব্দুর রশিদ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহার গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি শুনানির দিনে হাজির হননি, আত্মসমর্পণও করেননি।
“অভিযোগপত্র দাখিলের পরও বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ”
তিনি জানান, বিচারক আগামী ৬ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।


আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মুফতি ইজাহারের জামিন ও তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করি। আদালত উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ”
বিস্ফোরক আইনের এ মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইজাহার ও তার ছেলে মুফতি হারুন ইজাহারসহ নয়জনকে আসামি করে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার দারুল ইফতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন।

আহত তিনজন পরে হাসপাতালে মারা যান।

ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহার ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও অধ্যক্ষ। তার ছেলে হারুন ছিলেন ছাত্রবাসের দায়িত্বে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে ওই ঘটনাকে ‘ল্যাপটপ বিস্ফোরণ’ বলে চালাতে চাইলেও সেখানে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা ও অ্যাসিডসহ বিস্ফোরকের মজুদ পায় পুলিশ।
এরপর পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও অ্যাসিড আইনে দুটি এবং একটি হত্যা মামলা করে।


অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশের পরিস্থিতি ‘অস্থিতিশীল’ করতেই মাদ্রাসায় ‘গ্রেনেড’ বানানো হচ্ছিল।  
ইজাহারুলের ছেলে হারুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন-  মাদ্রাসার ডাইনিং সুপার মুনির হোসেন, শিক্ষক তাফসির আহমদ, আবদুল মান্নান, শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান, মো. জুনায়েদ, মো. ইছহাক ও আব্দুল হাই ওরফে সালমান।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।