আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘অঘটনে’র শঙ্কায় দক্ষিণ আফ্রিকা

তবে কি দক্ষিণ আফ্রিকার ভূতটাই ভর করল হল্যান্ডের ওপর? না হলে জেতা ম্যাচটা এভাবে কেন হেরে যাবে তারা? ৪৮ বলে মাত্র ৩২ রান দরকার। হাতে ছয় উইকেট। এ অবস্থায় থেকেও শেষ পর্যন্ত অঘটন ঘটানো হলো না ডাচদের। ম্যাচটা হেরে গেল ৬ রানে। অহেতুক মেরে খেলতে গিয়ে আর ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে হল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা আত্মাহুতি না দিলে আরেকটি ডাচ-রূপকথার জন্ম দেখত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে জন্মাননি বলেই হয়তো চাপের মুখেও ম্যাচ বের করে আনতে পারলেন ইমরান তাহির। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন এই স্পিনার।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪৫ রানে আটকে ফেলে ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত এক শুরু পেয়েছিল হল্যান্ড। ওভারে ১০ করে রান তুলে দিচ্ছিল স্টেফান মাইবার্গ ও মাইকেল স্টুয়ার্টের ওপেনিং জুটি। বিনা উইকেটে ৫৮ রানও তুলে ফেলে প্রায় অর্ধেকটা কাজ সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা।

ডু প্লেসিসের অসাধারণ ক্যাচের শিকার হয়ে স্টুয়ার্ট ফিরে গেলেও ফর্মের তুঙ্গে থাকা মাইবার্গ তখনো প্রোটিয়াদের দুশ্চিন্তা কাঁটা হয়ে ছিলেন। মাত্র ২৮ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় মাইবার্গ ৫১ রান করে ফেরার সময়ও অঘটনের ধুকপুকানিই শুনছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ ওভারে হল্যান্ডের স্কোর যে ২ উইকেটে ৮০।

আগের ওভারে আক্রমণে আসা তাহিরই এরপর দৃশ্যপট বদলে দিতে শুরু করেন। টানা দুই ওভারে বারেসি আর বরেনকে ফেরান।

তাহিরের আসল চমক এক ওভার বিরতি দিয়ে আক্রমণে ফিরে এসে জোড়া আঘাতে কুপার আর সিলারকে ফেরানো। মুহূর্তেই ৭ উইকেটে ১১৮ স্কোর হয়ে যায় হল্যান্ডের। এরপর অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয় তাদের। ১৮.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৩৯ রানে।

 



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।