আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নদীপথে নামছে যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি বাঙালি ও মধুমতি

বদলে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন-বিআইডব্লিউটিসির চেহারা। ৭৫ বছর পর সংস্থার বহরে যোগ হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত আরও দুটি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি বাঙালি ও মধুমতি। এ নিয়ে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে আট-এ। যাত্রীবাহী জাহাজের মধ্যে এমভি বাঙালি শনিবার চলাচলের জন্য পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল থেকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে সদরঘাটের ঢাকা নদীবন্দর ও নবনির্মিত পানগাঁও নৌবন্দরকে সাজানো হয়েছে।

গতকাল সরেজমিন নদীবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কোথাও ময়লা নেই। জরাজীর্ণ ভবনও চুনকাম করা হয়েছে। ভাঙা চেয়ার ও টুল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। টার্মিনাল ভবনের সামনে থেকে হকার ও অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মাঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের ব্যস্ততা।

উদ্বোধনের পর জাহাজটি ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. মুজিবর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি বাঙালি আগামীকাল ও এমভি মধুমতি জুনে বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহী জাহাজবহরে যুক্ত হবে। ফলে নৌপথে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার যোগাযোগ আরও সহজ হবে। দুটি জাহাজই নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবরে জাহাজ দুটি নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিআইডব্লিউটিসির অর্থায়নে জাহাজ দুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৫১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে এমভি বাঙালির যাত্রীধারণ ক্ষমতা ৭৫০ জন। জাহাজটিতে ভিআইপি ও ফ্যামিলি স্যুট ক্যাবিন চারটি, প্রথম শ্রেণীর ডাবল ক্যাবিন ৩৪টি, সিঙ্গেল ক্যাবিন চারটি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ডাবল ক্যাবিন ১৮টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার ৮৪টি এবং তৃতীয় শ্রেণীর (ডেক) ৫৫০ জনের আসন রয়েছে। এ জাহাজ যে কোনো প্রাকৃতিক বিরূপ পরিবেশে চলতে সক্ষম। এসব কারণে নদীপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।

এমভি বাঙালির দৈর্ঘ্য ৭৫.৭৫, প্রস্থ ১২.৫০, উচ্চতা ৩.০০ এবং গভীরতা ১.৬০ মিটার। গতিবেগ ঘণ্টায় ১১.৫০ নটিক্যাল মাইল। ঢাকা থেকে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় জাহাজটি চাঁদপুর হয়ে বরিশাল পৌঁছাতে পারবে। উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিসির জাহাজবহরে রয়েছে অস্ট্রিচ, মাহসুদ, টার্ন, লেপচা, সেলা ও সোনারগাঁও নামের ছয়টি ঐতিহ্যবাহী জাহাজ।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।