আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কান্দাহারেই কাঁদা-হাসা

৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্লেষকেরা এখন নানা রকম হিসেব-কিতাবে বসে গেছেন। এর মধ্যে নির্বাচনে মোড় ঘোরানোর গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কান্দাহার চলে এসেছে আলোচনায়। এ মোড়টা অবশ্য খারাপ দিকেই বাঁক নিতে পারে।
বলা হচ্ছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহারে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে আফগানদের কাঁদা-হাসা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ পশতুন-অধ্যুষিত কান্দাহার তালেবান জঙ্গিদের উত্স-ভূমি।

কাজেই সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এক বিশেষ তাত্পর্য বহন করে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবারের নির্বাচনে পশ্চিমা-সমর্থিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারজাইয়ের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তাঁরই ঘনিষ্ঠজন জালমাই রসুল। তিনি পশতুন। তাঁর সঙ্গে অগ্রবর্তী প্রার্থী হিসেবে সমান্তরালে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি হলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আশরাফ গণি।

তিনিও পশতুন। এ কারণে ওই প্রদেশে পশতুনদের মধ্যে বিভেদটা জোরালো হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রবল। পরিণামে তা সশস্ত্র সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এর জের ধরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে তালেবান।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনে কারজাই-সমর্থিত প্রার্থী হেরে গেলে রাজধানী কাবুল থেকে কান্দাহারের শাসনব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

আবার অনেকে আশঙ্কা করছেন, জালমাই জিতে গেলেও রাজধানী থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের ওই প্রদেশে একই ফল দেখা দিতে পারে।

কান্দাহার এমন এক জায়গা, যেখানে গোষ্ঠীগত বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সহিংসতা লেগেই আছে। সেখানে পশতুনদের পাশাপাশি তাজিক আর উজবেকদের দৌরাত্ম্যও কম নয়।

কান্দাহারের গভর্নর তুরিয়ালাই ওয়েসা রয়টার্সকে বলেন, ‘কান্দাহারে শান্তি থাকলে আফগানিস্তানে শান্তি বিরাজ করবে। আফগানিস্তানকে শান্ত রাখার চাবিকাঠি এখানে।

আফগানিস্তানের রাজনীতির ইতিহাস রয়েছে এখানে। ’

সাম্প্রতিককালে প্রাদেশিক প্রশাসন তালেবান জঙ্গি দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাদেশিক সেনাসংখ্যা দ্বিগুণ করে তালেবান জঙ্গিদের কোণঠাসা করেছে। কিন্তু এর পরও তালেবান নেতারা ৫ এপ্রিলের নির্বাচনকে ভণ্ডুল ও ক্ষমতা দখলের হুমকি দিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁদের বোমা হামলায় গভর্নরের চিফ অব স্টাফ নিহত ও ডেপুটি গভর্নর আহত হন।

কাজেই একসঙ্গে কয়েকটি সমস্যা এখন কান্দাহারকে ঘিরে। এক হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ ও হানাহানি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা, কাবুল থেকে কান্দাহারের প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা, তার ওপর তালেবান হামলার আশঙ্কা তো আছেই। কে জানে শেষে কান্দাহারকে ঘিরে কী হয়? 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.