আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এই পোস্টটিকে যদি কেউ আপত্তিকর মনে করেন তবে মুছে দেয়া হবে । এই পোস্ট যদিও কোন অশ্লীলতা বহন করেনা । তবে কেউ কুরুচিকর মন্ত্যব্য করবেন না শুধু আপত্তিকর হলে বলবেন আমি মুছে দিব ।

আমার জন্য বেদনারা দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকে; আমি ভেতরে ধুকতেই ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমাকে নিয়ে খেলা করে,আদর করে,চুমু খায়, আর আমি নীরবে কেঁদে উঠি; আজ কোথায় তুমি,ও আমার সুখ গৃহিণী। বস্ত্র বলতে শরীরের বিভিন্ন অংশের কৃত্রিম আচ্ছাদনকে বোঝায়। পৃথিবীর সব সমাজেই বস্ত্রের প্রচলন আছে। মানুষেরা কাজের সুবিধার জন্য, আবহাওয়ার বৈরিতা থেকে রক্ষা পেতে, এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে বিভিন্ন ধরণের বস্ত্র পরিধান করে থাকে। ল্যানজারি ল্যানজারি (ইংরেজি: Lingerie) নারীদের জন্য নির্মিত এক প্রকার ফ্যাশনেবল ও পরিচিত অন্তর্বাসের নাম।

এটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘ল্যাঞ্জ ’ (linge) থেকে, যার অর্থ ‘ধৌত করা যায় এমন’। যেমন: ফরাসি faire le linge অর্থ ‘ধৌত করো’। লিন (lin) দ্বারা ধৌত করার উপযোগী লিনেন জাতীয় কাপড়কে বোঝানো হয়। প্রথমত মিশর ও পরবর্তীতে ভারত থেকে তুলা আমদানীর আগ পর্যন্ত ইউরোপে লিনেন জাতীয় কাপড় দ্বারাই অন্তর্বাস তৈরি করা হতো। ল্যানজারির ধারণা ব্যপ্ত হতে শুরু করে ঊনিশ শতকের শেষ দিকে।

লুসিলের লেডি ডাফ-গর্ডন হচ্ছে ল্যানজারি শিল্পের অন্যতম একজন অগ্রদূত। তিনি নারীদের রক্ষণশীল কর্সেট থেকে বেরিয়ে এসে অন্যান্য ল্যানজারি পরিধানে ভূমিকা রেখেছেন। বিশ শতকের প্রথম অর্ধাংশ পর্যন্ত নারীরা অন্তর্বাস পরিধান করার চলকে গ্রহণ করেছেন মূলত তিনটি কারণে: • দেহাকৃতি পরিবর্তনের জন্য (প্রথমে কর্সেটের সাহায্যে, পরবর্তী গার্ডল বা বক্ষবন্ধনীর মাধ্যমে)। • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আনয়নে। • শালীনতাবোধ চর্চা করার সুবিধার্থে।

ক্রিনোলিন আবিস্কারের আগে নারীদের অন্তর্বাস ছিলো অনেক বড়সড় ও স্থুলাকায়। বিশ শতকের পোষাক শিল্পের উন্নতির ছোঁয়ায় অন্তর্বাস আরো ছোট ও আরো সহজে পরিধেয় হয়ে ওঠে। ১৯৬০-এর দশকে কিছু বিতর্কিত ল্যানজারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের (যেমন: ফ্রিডরিক’স অফ হলিউড) ল্যানজারিকে গ্ল্যামারাইজ করার কারণে আস্তে আস্তে ল্যানজারির ডিজাইন ও প্রকারে যৌন আবেদনের ছোঁয়া আসতে থাকে। একুশ শতকে এসে ল্যানজারি শিল্প বেশখানিকটা বিস্তৃত হয়। • বাজারের গঠন একুশ শতকের ল্যানজারির বাজারে প্রযুক্তির একটি বড় স্পর্শ রয়েছে।

যেমন: বিভিন্ন ধরণের সূতা বিভিন্ন ডিজাইনের ল্যানজারি নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে আছে লেসার-কাট সিমলেস ব্রা, মল্ডেড টি-শার্ট ব্রা। ডিজাইনাররা সমৃদ্ধ ও আরামদায়ক কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন। লেস এমব্রয়ডারি ও বিভিন্ন রংয়ের বিন্যাস ঘটানোর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনের ল্যানজারি তৈরি করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী ল্যানজারির বাজারের অর্থমূল্য ছিলো প্রায় ২,৯০০ কোটি মার্কিন ডলার।

২০০৫ সালে মোট বাজারের মধ্যে বক্ষবন্ধনীর (ব্রেসিয়ার বা ব্রা) অংশ ছিলো প্রায় ৫৬%, ও ব্রিফের অংশ ছিলো প্রায় ২৯%। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ল্যানজারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট উত্তর আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করে। এদিকে ইউরোপীয় বাজারে রাজত্ব করে ট্রায়াম্ফ ইন্টারন্যাশনাল ও ডিবি অ্যাপারেলের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান। বক্ষবন্ধনী বক্ষবন্ধনী বা কাঁচুলি (ইংরেজি: Brassiere) যা সংক্ষেপে ব্রা (Bra) নামেই বেশি পরিচিত, হচ্ছে নারীদের ব্যবহৃত এক প্রকার অভ্যন্তরীণ পোশাক যা স্তনকে আবৃত ও সঠিক স্থানে থাকতে সহায়তা করে। উনিশ শতকের শেষের এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বক্ষবন্ধনী প্রচলিত হয়।

বক্ষবন্ধনী সাধারণত স্তনের গড়ন ঠিক রাখতে পরিধান করা হয়। তবে পোশাকী সৌজন্যতা বজায় রাখতে কিংবা নারীসুলভ ব্যাক্তিত্ব প্রদর্শন করতেও বক্ষবন্ধনী পরিধান করা হয়। তবে গর্ভের সময় এবং সন্তানকে স্তনদানের সময় ও বিশেষায়িত বক্ষবন্ধনী পরার চল আছে। ব্যবহারজনিত সমস্যা সঠিক মাপের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, প্রায় ৮০% মহিলাদের দেখা যায় ভুল মাপের বক্ষবন্ধনী পরতে; হয় খুব আটো (টাইট) কিংবা ঢিলেঢালা গড়নের বক্ষবন্ধনী পরে যা কিনা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মেরুদণ্ডে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মানসিক অস্বস্তি খুবই সাধারণ যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, ভুল মাপের বক্ষবন্ধনী ব্যবহারে স্তন ঠিক জায়গায় না থেকে বরং নিচের দিকে ঝুলে পরার প্রবণতাকে বৃদ্ধি করে। বিকল্প ধারার বক্ষবন্ধনী জাপানি মেয়েদের রং-বেরঙের ব্যাগ কেনার বাতিককে নিরুৎসাহিত করতে অন্তর্বাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্রায়াম্প ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে বাজারে আনে ব্যাগ-যুক্ত ব্রা। এজাতীয় বক্ষবন্ধনির কাপের মধ্যে ভাঁজ করা অবস্থায় লুকিয়ে থাকে ব্যাগ, যা প্রয়োজনে শপিংব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, এজাতীয় অন্তর্বাস, পলিথিন ব্যাগ ক্রয়ে নারীকে নিরুৎসাহিত করবে ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া ট্রায়াম্প মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে গরম করে ঘর উষ্ণ রাখা যায় এমনও একটি ব্রা বাজারে ছেড়েছিলো ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে। এতে শীতের সময় ঘর গরম করার বাড়তি খরচ বেঁচে যায়। বিকিনি বিকিনি মূলত মেয়েদের ব্যবহৃত একপ্রকার সাঁতারের পোষাক। দুই প্রস্থ কাপড় দ্বারা এটি তৈরি, যা শরীরকে স্বল্পভাবে ঢেকে রাখে। এর একটি অংশ স্তন ও অপর অংশটি উরুসন্ধি এবং নিতম্বকে ঢেকে রাখে।

যদিও নিতম্ব ঢেকে রাখার শর্তটি ঐচ্ছিক। এর দুইটি অংশের মধ্যবর্তী অংশ সাধারণত অনাবৃত থাকলেও ট্যানকিনি ধরনের বিকিনির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। সাধারণত গরম আবহাওয়ায় এবং সাঁতার কাটার সময় বিকিনি পরিধান করা হয়। বিকিনির দুইটি অংশ মেয়েদের পৃথক দুটি অন্তর্বাস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। নিচের অংশটি সীমা থং বা জি-স্ট্রিং থেকে শুরু করে তুলনামূলক আবৃত চৌকোণা শর্টস পর্যন্ত হতে পারে।

মারিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে (১১তম সংস্করণ) বিকিনিকে ‘মেয়েদের দুই প্রস্থ বিশিষ্ট গোসলের পোষাক’, ‘ছেলেদের ব্রিফ সাঁতারের পোষাক’, এবং ‘ছেলে বা মেয়েদের লো-কাট ব্রিফ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আধুনিক বিকিনির আবিস্কার হয় ১৯৪৬ সালে, এবং আবিস্কারক ছিলেন ফরাসী অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার লুই রিয়ার্ড। একই বছরের জুলাইয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ বিকিনি অ্যাটলে অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষা অপারেশ ক্রসরোডসের নামানুসারে তিনি তাঁর সদ্য আবিস্কৃত পোষাকের নাম রাখেন বিকিনি। এই নামটি রাখার কারণ সম্ভবত পোষাকটির কারণে জনমানুষের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার বিস্ফোরণ, যা অনেকটা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতোই ব্যাপক ছিলো। ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে ১৯৪৮ সালে মিস আমেরিকা নির্বাচিত হওয়া বেবে শপের উদ্ধৃতি হিয়ে বলা হয়েছে: “বাথিং বিউটি কুইন—সোনালি চুলের অধিকারিনী হপকিন্স, মিনেসোটার ১৮ বছর বয়সী বেবে শপ, প্যারিসে এক আনন্দোচ্ছাসপূর্ণ অভ্যর্থনা পান, কিন্তু ফরাসি সাঁতারের পোষাকের ব্যাপারে তাঁর মনোভাব তিনি পরিবর্তন করেননি।

বেবে তাঁর ফরাসি সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে বলেন, ‘আমি বিকিনিকে আমেরিকান মেয়েদের জন্য উপযোগী মনে করি না, ফরাসি নারীরা চাইলে বিকিনি পরতে পারে, কিন্তু আমি এখনো আমেরিকান মেয়েদের ক্ষেত্রে বিকিনি ব্যবহার গ্রহণযোগ্য মনে করি না। ’” বিকিনি সম্ভবত বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে জনপ্রিয় মেয়েদের বিচওয়্যার। ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার ওলিভিয়ের স্যালিয়ার্ডের মতে, “নারীর শক্তি, ফ্যাশনের নয়”। তিনি এটিকে ব্যখ্যা করেন এভাবে—“নারী স্বাধীনতা সবসময়ই নারীর সাঁতারের পোষাকের সাথে সংশ্লিষ্ট। ” ভোক্তা ও খুচরা বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিকিনি শিল্পে মোট ব্যবসা হয়েছে প্রায় ৮১.১ কোটি মার্কিন ডলার।

এছাড়া বিকিনি, বিকিনি ওয়াক্সিং ও স্যান ট্যানিং শিল্পেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ইতিহাস বিকিনির ইতিহাস অত্যন্ত পরিবর্তনশীল একটি ইতিহাস। বিকিনি থাকার সবচেয়ে প্রাচীন প্রমাণটি পাওয়া যায় তাম্র যুগে। সেসময়ের দক্ষিণ আনাতোলিয়ার এক অংশে ক্যাটালাহোইউক নামক এক দেবীর পেছনে দুইপাশে দুইটি চিতা উপবিষ্ট ছিলো যাদের পরনের পোষাক ছিলো বর্তমান কালের বিকিনির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এছাড়া খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ বছর পূর্বের কিছু গ্রিক চিত্রকর্মে অ্যাথলেটিক কাজকর্মে মেয়েদের দুই প্রস্থ বিশিষ্ট পোষাক পরিধান করতে দেখা গেছে।

প্রাচীন গ্রিসের কর্মজীবি মহিলারা ম্যাসটোডেটন বা অ্যাপোডেসমস নামক বুকে ফিতা সদৃশ কাপড় পরিধান করতেন, যাকে মধ্যযুগের অন্তর্বাস হিসেবে ধরা হয়। যখন প্রাচীন গ্রিসের পুরুষের পেরিজোমা (একপ্রকার মোটা প্রান্তভাগ বিশিষ্ট ব্রিফ) পরিধান করা ছেড়ে দেয়, তখন মহিলা কসরৎবাজরা এটি পরা শুরু করে। খ্রিস্টপূর্ব ২৮৬-৩০৫ অব্দে সিসিলির ভিলা রোমানা দেল কাসালের মেঝের মোজাইকের চিত্রকর্মে বিকিনি পরিহিতা মেয়েদের ছবি দেখা যায়। এরকম দশটি বিকিনি পরিহিতার একটি ছবির নাম ছিলো ‘বিকিনি মেয়েরা’। এই মোজাইকের মডেলটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার নকলকৃত মোজাইকের মডেল, যার রঙিন টাইলের প্রায় ৩.৭ কোটি।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা পম্পেইয়ে রোমান দেবী ভেনাসের বিকিনি পরিহিত থাকার প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। ভেনাসের একটি মূর্তিতে এই প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯০৭-এর দিকে পুনরায় আধুনিক বিকিনির প্রচলন ঘটতে শুরু করে, যখন অস্ট্রেলীয় সাঁতারু অ্যানেট কিলারম্যান বোস্টোনে একপ্রস্থ কাপড় বিশিষ্ট সাঁতারের পোষাক পরার অপরাধে গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে ১৯১০ সালে মেয়েদের এ ধরনের সাঁতারের পোষাক জনসম্মুখে পরার স্বীকৃতি পায়। তাঁর সেই বিকিনি পরিহিতা ছবির প্রকাশনা নিয়ে এসকোয়ার ম্যাগাজিন ও ইউনাইটেড স্টেটস পোস্টমাস্টার জেনারেলের মধ্যে আইনি লড়াই চলে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত।

১৯১৩ সালে অলিম্পিকে সাঁতারের ইভেন্টের জন্য ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল জ্যান্টজেন প্রথমবারের মতো সাঁতারের জন্য দুই-প্রস্থ বিশিষ্ট পোষাক তৈরি করেন। এটির নিম্নাংশে ছিলো আটোসাটো একপ্রস্থ শর্টস, এবং উর্দ্ধাঙ্গ আবরণী হিসেবে হাতাকাটা টপ। নতুন ধরনের বস্ত্র তৈরির উপাদান লাস্টেক্স ও নাইলন আবিষ্কৃত হবার পর, ১৯৩৪ সালের দিকে সাঁতারের পোষাক শরীরের সাথে আরো বেশি লেগে থাকতে শরু করে, এবং ট্যানিংয়ের সুবিধার্থে কাঁধে স্ট্যাপের প্রচলন শুরু হয়। বিকিনির প্রকারভেদ বিকিনি অনেক ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে কয়েক ধরনের বিকিনি খুবই স্টাইলিশ।

প্রচলিত বিকিনি হচ্ছে দুই প্রস্থ কাপড় যা নিম্নাঙ্গের উরুসন্ধি ও নিতম্ব, এবং উর্দ্ধ অংশে স্তনকে ঢেকে রাখে। কয়েক ধরনের বিকিনি শরীরের উর্দ্ধাঙ্গের একটি বড় অংশকে ঢেকে রাখে, যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্তনের অংশটুকুই শুধুমাত্র ঢেকে রাখা হয়। এছাড়া উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত থাকে যেগুলোতে, সেগুলোও বিকিনি হিসেবে ধরা হয়, যদিও আক্ষরিক অর্থে এগুলো দুই প্রস্থ বিশিষ্ট সাঁতারের পোষাক নয়। বিভিন্ন ডিজাইনের ভিন্নতার কারণে অনেক ধরনের সংকরণকৃত পোষাকও বিকিনি নামে পরিচিত হয়। যেমন: মনোকিনি , যার উদ্ধাংশ অনুপস্থিত, সি-কিনি অর্থাৎ স্বচ্ছ বা অর্ধস্বচ্ছ কাপড়ের তৈরি বিকিনি, ট্যানকিনি , যা ট্যাঙ্ক টপ-এর সাথে বিকিনি সদৃশ নিম্বভাগ মিলিয়ে তৈরি, ক্যামকিনি যা মূলত ক্যামিসোলের সাথে বিকিনির নিম্বাংশের একীকরণ, এবং হাইকিনি।

শুরু থেকেই বিভিন্ন শতকের বিকিনির ফ্যাশন এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে, এবং সেই সাথে একুশ শতকের নতুন ফ্যাশনের আবির্ভাবও ঘটেছে। যদিও ১৯১০ সালে একজন গোসলের পোষাক পরিহিতার সাথে বর্তমানের বিকিনি পরিহিত একজন নারীকে কল্পনা করা বা মিল খোঁজাটা খুব কষ্টকর কিছু নয়। বিকিনির উর্দ্ধাংশে বিভিন্ন প্রকার ও বৈচিত্রের স্টাইল ও কাটের প্রচলন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফিতা স্টাইলের গলা, যা উর্দ্ধাঙ্গকে আরেকটু বেশি ঢেকে রাখে ও সাপোর্ট প্রদান করে। আবার রয়েছে ফিতাবিহীন উর্দ্ধাংশ বা ফরাসি ধরনের ব্যান্দু , যা অনেকটা টিউব টপের মতো।

এছাড়া রয়েছে ত্রিকোণাকার কাপড় দ্বারা ঢাকা উর্দ্ধাংশ, যা বড় স্তনকে উপর থেকে ঢেকে রাখে। আরো আছে, ব্রেসিয়ারের স্টাইল পুশ-আপ ব্রা’র মতো কাপযুক্ত টপস, এবং আরো অনেক ধরনের ত্রিকোণাকার কাপ, যা স্তনের আকৃতির সাথে মানিয়ে তাকে ধরে রাখে। বিকিনির নিম্নভাগ স্টাইল, কাট, এবং কতোটুকু অংশ ঢেকে রাখবে, তার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকার, এমন কী সম্পূর্ণ অন্তর্বাসের মতোও হতে পারে। যেমন, খুব শালীন নিম্বাংশের ক্ষেত্রে সচারচর ব্রিফস, শর্টস, বা স্কার্টের ন্যায় সামান্য ঝুলসহ ব্রিফস পরিধান করা হয়, এবং সম্পূর্ণ অবয়ব প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় থং বিকিনি। আটোসাটো স্টাইলের ক্ষেত্রে পার্শ্বভাগ থাকে চিকন, যেমন: ভি-কাট (সম্মুখভাগে), আবার আছে ফ্রেঞ্চ কাট (পার্শ্বীয়ভাগ তুলনামূলক মোটা ও দীর্ঘ), এবং আছে লো-কাট স্ট্রিং (দুই পাশে দড়ি দিয়ে বাঁধা) ধরনের নিম্নাংশ।

১৯৮৫ সালের এক নামকরা ফ্যাশন শোতে আবির্ভূত হয় ক্রপ টপ সদৃশ উর্দ্ধাংশ, যার নামকরণ হয় ক্রপড ট্যাঙ টপস। এটি ছিলো প্রচলিত শরীরের সাথে মিশে থাকা ব্যান্দুক্সের একটি নতুন সংস্করণ। মূলত বিকিনির সর্বাধিক প্রচলিত স্টাইল ও ধরনগুলোর মধ্যে আছে, মনোকিনি, ট্যানকিনি, স্ট্রিং বিকিনি, থং, স্লিংশট, মিনিমিনি, টিয়ারড্রপ, এবং মাইক্রোকিনি। বিকিনি অন্তর্বাস নারী-পুরুষ উভয়েরই পরিহিত বিকিনি ধরনের অন্তর্বাসগুলোই বিকিনি অন্তর্বাস নামে পরিচিত। আকৃতি ও প্রকৃতিতে অল্প কাপড় দ্বারা তৈরি, অনেকটা বিকিনি সদৃশ গোসলের পোষাকের মতো।

মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি আটোসাটো, স্বল্প কাপড় দ্বারা আবৃত এক ধরনের অন্তর্বাস, যা প্রচলিত অন্তর্বাস প্যান্টি বা নাইকারের তুলনায় পেটের মধ্যাংশের অনেক কম স্থান আবৃত করে রাখে। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের অন্তর্বাসগুলো হয় ছেলেদের ব্যবহৃত প্রচলিত ব্রিফসের থেকে বেশ খানিকটা ছোট। খেলাধূলায় বিকিনি প্রাচীন রোমান নারীদের বিকিনি পরিহিত অবস্থায় এক্সপালসিম লুদেরে নামক খেলা করার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা আমাদের বর্তমান কালের হ্যান্ডবল খেলারই পূর্বরূপ। পেশাদার নারী বিচ ভলিবল খেলোয়াড়গণ খেলার সময় সচারচর দুই প্রস্থ বিশিষ্ট বিকিনি পরিধান করেন। খেলাধূলায় ব্যবহৃত বিকিনির ক্ষেত্রে স্টাইলের চেয়ে খেলার ব্যাপারটিই বেশি প্রাধান্য পায়।

বিচ ভলিবল ১৯৯৬ সাল থেকে অলিম্পিকে মেয়েদের বিচ ভলিবলের অফিসিয়াল ইউনিফর্ম হিসেবে বিকিনি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা নারীর যৌনতার সাথে অ্যাথলেটিক গড়নের ছোঁয়া এনে দিয়েছে, সেই সাথে টিকিটের বিক্রি বৃদ্ধি করতেও এর বড় একটি ভূমিকা আছে। পুরুষের বিকিনি পুরুষের বিকিনি বলতে ছেলেদের ব্যবহৃত সাঁতারের পোষাক, অন্তর্বাস, বা এধরনের পোষাককে বোঝানো হয়। বিকিনির প্রকারভেদ যেহেতু বিকিনির অনেক ধরনের গ্রহণযোগ্য সংস্করণ রয়েছে, তাই স্বল্প আবৃত জি-স্ট্রিংয়ের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে অনেক রক্ষণশীল বয়শর্টস ও বন্দু টপসও একই সাথে প্রচলিত। বিকিনির বিভিন্ন রকম স্টাইলিশ প্রকারভেদ রয়েছে।

একটি প্রচলিত বিকিনি বলতে বোঝায় দুই প্রস্থ সাঁতারের পোষাক, যা নিচের দিকে উরুসন্ধি ও নিতম্বকে, এবং ওপরের দিকে স্তনযুগলকে ঢেকে রাখে। কিছু বিকিনি শরীরের আরো বেশি অংশ ঢেকে রাখতে পারে, আবার কিছু বিকিনি শরীরের নুন্যতম অংশে আচ্ছাদন প্রদান করে। সাঁতারের পোষাকের উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত সংস্করণগুলোও বিকিনি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যদি সেগুলো প্রকৃত অর্থে দুই প্রস্থ বিশিষ্ট নয়। বিকিনি বিভিন্ন প্রকারের থাকায় এটির বেশকিছু হাস্যকর সংস্করণ তৈরি হয়েছে, যেমন: নিউমোকিনি (ওপরাংশ নেই), সিকিনি (স্বচ্ছ কাপড় দ্বারা প্রস্তুত বিকিনি), ট্যানকিনি (বিকিনির ওপরাংশ ট্যাংক টপের মতো), ক্যামকিনি (ওপরাংশ ক্যামিসোলের মতো, নিচের অংশ বিকিনি), এবং হাইকিনি। ২১ শতকের শুরু থেকেই বিভিন্ন দেশে উদ্ভূত বিভিন্ন ফ্যাশনের বিভিন্ন রকমের বিকিনি প্রচলিত ছিলো।

তাই বিকিনি পরিহিত অবস্থায় একজন নারী ও ১৯১০ সালের গোসলের পোষাক পরিহিত একজন নারীর মধ্যে সাদৃশ্যও ছিলো। বিকিনির টপসের বিভিন্ন রকমে কাট ও স্টাইল রয়েছে। যেমন: হল্টারনেক ধরনের টপ। এগুলো ওপরাংশকে আরো বেশি আবৃত করে রাখে ও সাপোর্ট প্রদান করে। আবার আছে ফিতাবিহীন (স্ট্র্যাপলেস) বন্দু টপস।

আরো আছে, ত্রিকোণাকৃতি কাপড় ও ফিতা যা স্তনযুগলকে ওপর থেকে ঢেকে রাখে। বক্ষবন্ধীর ডিজাইন পুশ-আপ ব্রা-এর মতো টপ রয়েছে। এছাড়া আরো আছে ঐতিহ্যবাহী ত্রিকোণাকৃতি কাপ, যা স্তনকে ঘিরে রাখে ও একটু ওপরে উঠিয়ে রাখতে সাপোর্ট দেয়। বিকিনির নিম্নভাগে ডিজাইন কতোটুকু অংশ ঢেকে রাখবে ও কী কাট হবে, তার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এর সবচেয়ে শালীন প্রকারভেদগুলোর মধ্যে আছে ব্রিফ, শর্ট, বা প্রান্তভাগে সামান্য স্কার্ট সদৃশ ঝুলযুক্ত ব্রিফ।

নিতম্বের একটি বড় অংশকে প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয় থং বিকিনি। স্কিমপায়ার স্টাইলের বিকিনিগুলো পাশ থেকে চিকন হয় ও সামনে ভি (V) থাকে, এবং পার্শ্বভাগ ফ্রেঞ্চ কাট (চওড়া পার্শ্বভাগ), ও ছোট কাটের ফিতা দ্বারা তৈরি করা হয়। ১৯৮৫ সালের বড় বড় ফ্যাশন শোগুলোতে দুই প্রস্থের বিকিনির ক্ষেত্রে প্রচলিত বন্দুক্স টপের স্টাইলের বদলে ক্রপড ট্যাংক টপ ধরনের বিকিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিকিনির আরো কতোগুলো প্রচলিত প্রকারভেদের মধ্যে আছে, মনোকিনি, ট্যানকিনি, স্ট্রিং বিকিন, থং, স্লিংশট, মিনিমিনি, টিয়ারড্রপ, ও মাইক্রোকিনি। খুব দ্রুত ক্রেতার মনমতো বিভিন্ন স্টাইলের বিকিনি তৈরি করতে কিছু বিকিনি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে চাহিদা মাফিক বিকিনি তৈরির ব্যবস্থা আছে।

সেখানে তারা সাত মিনিটের মতো সময়ে একটি বিকিনি তৈরি করে দেন। জনপ্রিয় ব্রাজিলীয় সৈকতের বাজারগুলো বিভিন্ন রকমের বিকিনির বিকিকিনির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রকারভেদ বিকিনির প্রচলিত ও মূল প্রকারভেদগুলো নিম্নরূপ: স্ট্রিং বিকিনি স্ট্রি বিকিনি, নিম্নভাগে নুন্যতম অংশ আবৃত। এ ধরনের স্ট্রিং বিকিনি জি-স্ট্রিং নামে পরিচিত। বিকিনির প্রচলিত মডেলের চেয়ে স্ট্রিং বিকিনি বেশ অপ্রতুল ও শরীরের অনেক খানি অংশ প্রকাশ করে।

একটা আকৃতিতে অনেকটা রশির মতো হওয়ায় এর নাম হয়েছে স্ট্রিং। ইংরেজি স্ট্রিং শব্দের অর্থ দড়ি বা রশি। এ ধরনের বিকিনিতে দুই প্রস্থ ত্রিকোণাকার কাপড় উরুসন্ধির স্থল জুড়ে থাকে, কিন্তু পাশের স্থানটিতে কোনো কাপড় থাকে না। কোমর ঘিরে রশির মতো ফিতা দ্বারা ত্রিকোণাকৃতি কাপড় দুটো জুড়ে দেওয়া হয়। স্ট্রিং বিকিনির উর্দ্ধভাগ বা টপও অনেকটা এ ধরনের।

এখানেও ত্রিকোণাকৃতি কাপড় দ্বারা উর্দ্ধাঙ্গ আবৃত করা হয়, যা ফিতা দিয়ে যুক্ত করা হয়। স্ট্রিং বিকিনির ফিতা গেঁরো দেওয়া বা গেঁরো ছাড়া হতে পারে। এটি দাবি করা হয় যে, ব্রাজিলীয় ফ্যাশন মডেল রোজ দে প্রিমালিও প্রথম স্ট্রিং বিকিনিটি তৈরি করেন। ফটোশুটের আগে তাড়াতাড়ি অল্প একটু কাপড় সেঁলাই করে বিকিনি প্রস্তুত করতে গিয়ে তিনি এ ধরনের বিকিনি তৈরি করেন। ১৯৭৪ সালে স্ট্রিং বিকিনির প্রথম আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনাটি করেন গ্লেন টরারিচ নামক একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী ফ্যাশন মডেল ব্র্যান্ডি পেরেট-দুজঁ।

সে সময় লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার স্থানে অবস্থিত লা পেটি সেন্টার নামক একটি বিপণি বিতানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ধরনের বিকিনি প্রদর্শন করা হয়। উইমেন’স ওয়্যার ডেইলি নামক ম্যাগাজিনে ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুর একজন ফ্যাশন মডেলের বিকিনি পরিহিত ছবি দেখে তাঁরা এ ধরনের বিকিনি তৈরিতে অনুপ্রাণিত হন। পরবর্তীতে তাদের নিজস্ব ডিজাইনার ল্যাপ্টিন, বিপণি বিতানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য এ ধরনের একটি বিকিনির ডিজাইন করেন। বিকিনিটি প্রদর্শনের জন্য মডেল জোগাড় করেন খ্যাতনামা এজেন্ট পিটার ডেজিগনার। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি নিউ অরলিন্সের স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়, এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ ছাপা হয় স্থানীয় পত্রিকা নিউ অরলিন্স টাইমস-পিকাইউনি-এ।

পরবর্তীতে তা তারের মাধ্যমে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল ও ফরাসি সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এও পৌঁছে যায়। স্ট্রিং বিকিনি, বিকিনির সকল প্রচলিত স্টাইলগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্টাইল। এ ধরনের বিকিনির নিচের অংশ শরীরের নিম্নভাগের নূন্যতম বা সর্বোচ্চ, উভয় পরিমাণ অংশ ঢেকে রাখার মতো হতে পারে। মনোকিনি মনোকিনি বিকিনি, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র শরীরের নিম্নাংশে আচ্ছাদন ব্যবহৃত হয়। মনোকিনি হচ্ছে নারীর ব্যবহার্য এক প্রস্থ কাপড় দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বিকিনি।

এটি ইউনিকিনি নামেও পরিচিত। প্রচলিত বিকিনির শুধুমাত্র নিম্নভাগ নিয়ে এ ধরনের বিকিনি তৈরি হয়। এছাড়াও যেকোনো প্রকার উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত সাঁতারের পোষাককেও মনোকিনি হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশেষ করে যে সকল বিকিনি শুধুমাত্র নিম্নভাগে পরিধান করা হয়, ও উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত থাকে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রীয় ফ্যাশন ডিজাইনার রুডি গার্নরাইখ মূলধারার মনোকিনির নকশা করেন।

গার্নরাইখ-ই এ ধরনের বিকিনির জন্য এই মনোকিনি নামটি বাছাই করেন, যা পরবর্তীতে ঐ বছরই ইংরেজি ভাষার একটি শব্দ হিসেবে যুক্ত হয়। গার্নরাইখের নকশা করা মনোকিনিটি ছিলো একটি এক প্রস্থ কাপড়ের সাঁতারের পোষাক। এটিতে বিকিনির শুধুমাত্র প্রান্তভাগটি বর্তমান ছিলো, ও হল্টারনেকটি দুই স্তনের ভাঁজের ভেতর দিয়ে (ক্লিভেজ) প্রসারিত ছিলো যা স্তনকে উন্মুক্ত রাখতো। এটিতে কাঁধের ওপর দিয়ে শুধুমাত্র দুইট স্ট্র্যাপ ছিলো মাত্র। ফ্যাশন সমালোচক ও গির্জার ব্যক্তিত্বদের বিতর্ক ও সমালোচনাকে পেরিয়ে ঐ গ্রীষ্মকালে রেকর্ড পরিমাণ মনোকিনি বিক্রি হয়।

যদিও জনপ্রকাশ্যে মনোকিনি পরিধানের হার ছিলো খুবই কম। এই গ্রীষ্মের শেষভাগে এসে গার্নরাইখ প্রতিটি মনোকিনি ২৪ ডলার দামে মোট ৩,০০০ মনোকিনি বিক্রি করেন। যা ছিলো এ ধরনের অল্প কাপড়ের তৈরি পোষাকে জন্য অনেক বড় ধরনের মুনাফা। কিন্তু পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের বিকিনি খুব একটা সফল হতে পারে নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্গ নির্বিশেষে জনসম্মুখে উর্দ্ধাঙ্গ প্রদর্শন করা বৈধ ছিলো, কিন্তু তবুও সৈকতে এ ধরনের বিকিনি পরিধান করতে খুব বেশি নারী আগ্রহবোধ করেন নি যে সকল নারী উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত রেখে রোদ্রস্নান করতে ইচ্ছুক ছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই সাধারণ বিকিনির নিচের অংশ পরিধান করাকেই গ্রহণ করেন।

ফলে বিকিনি প্রস্তুতকারক ও খুচরা বিক্রেতারাও দ্রুত উর্দ্ধাঙ্গ ও নিম্নাঙ্গের অংশ আলাদাভাবে বিক্রয় করা শুরু করেন। গার্নরাইখ পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত পিউবিকিনি মডেলের বিকিনির নকশা করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে নারীর নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী পোষাক পরার ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মনোকিনি যৌন বিপ্লবের সূচনা করে। অন্যান্য সকল সাঁতারের পোষাকের মতো মনোকিনি বিকিনির নিম্নভাগও বিভিন্ন ডিজাইন ও কাটের হতে পারে। কিছু হয় জি-স্ট্রিংয়ের মতো, আবার কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পেছনভাগই আবৃত থাকে।

মনোকিনির নিম্নাংশ কোমর পর্যন্ত হাই কাটযুক্ত, বা নাভীর নিচ পর্যন্ত লো-কাটযুক্ত উভয়ই হতে পারে। মাইক্রোকিনি মাইক্রোকিনি, নগ্নতাবাদের খুবই কাছাকাছি থাকার উদ্দেশ্য থেকে এ ধরনের বিকিনির সৃষ্টি। মাইক্রোকিনি (Microkini) হচ্ছে বিকিনির খুবই স্বল্পাকৃতি একটি সংস্করণ। এ ধরনের বিকিনির ডিজাইনের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের শরীরের লজ্জাস্থানের নূন্যতম অংশ ঢেকে রাখার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নূন্যতম কাপড়কে পরিধানকারীর শরীরের সাথে লাগিয়ে রাখতে বাড়তি ফিতা ব্যবহৃত হতে পারে।

লজ্জাস্থানের ওপর কাপড়কে যথাযথভাবে রাখতে কিছু কিছু মাইক্রোকিনিতে আঠা বা সরু ফিতা ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে কাপড় নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে পার্শ্বভাগে কোনো বাড়তি ফিতা ব্যবহৃত হয় না। মাইক্রোকিনির কিছু চরম খোলামেলা সংস্করণ আছে, যেখানে পরিধানকারীর শরীরের আবরণ হিসেবে শুধুমাত্র ফিতাই ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে শরীরের নির্দিষ্ট অংশের অল্প কিছুটা আবৃত থাকতে পারে বা সম্পূর্ণ অনাবৃতও থাকতে পারে। ১৯৯৫ সালে বিকিনির মারত্মক খোলামেলা ডিজাইন তৈরিতে উৎসাহী একটি অনলাইন সম্প্রদায়, এ ধরনের বিকিনিকে নির্দেশ করতে মাইক্রোকিনি পরিভাষাটি ব্যবহার করে।

মাইক্রোকিনি পরিধানকারীর শরীর প্রদর্শনের আইনগত সীমার সর্বনিম্ন মাত্রাটিকে বজায় রাখে, এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি তা ছাড়িয়েও যেতে চায়। সেই সাথে এটি নগ্নতাবাদ ও রক্ষণশীল সাঁতারের পোষাকের মধ্যে একটি গাঢ় দাগ টেনে দায়। আধুনিক মাইক্রোকিনির উৎপত্তি ১৯৭০-এর দশকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ভেনিস বিচে। তৎকালীন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রশাসন ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র সৈকতগুলোতে নগ্নতাকে অবৈধ ঘোষণা করে আইন পাশ করেছিলো। ফলে সৈকতে নগ্ন অবস্থায় সূর্যস্নানে আগ্রহীরা নতুন পাশ হওয়া আইনের সাথে সাদৃশ্যতা বজায় রেখে আইনত সীমার মাঝেই স্বল্পাবৃত বিকিনি তৈরি ও ব্যবহার শুরু করে।

বাড়িতে হাতে তৈরি এ ধরনের বিকিনিগুলো ছিলো ছোটর থেকেও ছোট, যেখানে সামান্য একটু কাপড় হালকাভাবে চিকন সুতা (টোয়াইন সুতা, বা মাছ ধরার বড়শিতে ব্যবহৃত সুতা) দ্বারা সেঁলাই করা থাকতো। ১৯৭৫ সালের দিকে স্থানীয় বিকিনি প্রস্তুতকারীরা এই ধারণাটি গ্রহণ করেন, ও আধুনিক দ্রব্যাদি সহযোগীতায় এ ধরনের আরো সহজে ব্যবহারযোগ্য বিকিনি তৈরি করা শুরু করেন। পরবর্তীতে শীঘ্রই কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রীরা এ ধরনের বিকিনি তাদের চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা শুরু করেন। সেই সাথে এই স্টাইলটির প্রচারও দ্রুত ছড়িয়ে যেতে থাকে। ট্যানকিনি ট্যানকিনি (Tankini) হচ্ছে ট্যাংক টপের সাথে মিল রেখে তৈরি এক ধরনের বিকিনি।

সাধারণত স্প্যানডেক্স ও কটন, বা লাইক্রা ও নাইলন মিলিয়ে এ ধরনের বিকিনি তৈরি করা হয়। এ ধরনের বিকিনির উৎপত্তি হয় ১৯৯০-এর দশকে। লেখক উইলিয়াম সাফিরের বক্তব্য অনুসারে, “-কিনি পরিবারের বর্তমানের বৈপ্লবিক ডিজাইনটি হচ্ছে ট্যানকিনি, যা মূলত স্প্যাঘেটি ফিতা দিয়ে তৈরি একটি ট্যাংক টপ। ” ঐতিহ্যবাহী বিকিনির ট্যানকিনির পার্থক্যটি হচ্ছে এর টপসে। ট্যানকিনির উপরাংশ মূলত একটা ট্যাংক টপ।

ওপর থেকে শুরু হয়ে ঠিক নাভীর নিচে এসে ট্যানকিনির টপের প্রান্তদেশ উন্মুক্ত হয়। এ ধরনের বিকিনি প্রচলিত দুই প্রস্থ কাপড়ের তৈরি সাঁতারের পোষাক, বা এক কাপড়ের পোষাকের তুলনায় বেশি শালীন হিসেবে বিবেচিত হয়। ট্যানকিনি ডিজাইনের উৎপত্তি হয় ফ্যাশন ডিজাইনার অ্যানা কোলের কাছ থেকে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাঁতারের পোষাকের ঈশ্বরমাতা হিসেবে বিবেচিত। ১৯৯৮ সালে তিনি ট্যানকিনি বিকিনি প্রচলন করার মাধ্যমে তিনি তার ডিজাইনিং জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য লাভ করে।

এটি দুই প্রস্থের বিকিনি হওয়া সত্ত্বেও এর টপ (উপরাংশ) সাধারণ বিকিনি টপেরে তুলনায় একজন নারীর বুকের কবন্ধের অনেক বেশি স্থান আবৃত করে। এ ধরনের বিকিনি সেই সময় ক্রেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়া ট্যানকিনির বিভিন্ন সংস্করণও বের হতে থাকে। স্প্যানডেক্স ও কটন, এবং লাইক্রা ও নাইলন নির্মিত ট্যানকিনির নাম হয় ক্যামকিনি। এক্ষেত্রে টপস ছিলো ট্যাংক আকৃতির ও এর সাথে স্প্যাঘেটি ফিতার সংমিশ্রণ ছিলো।

এছাড়াও ওপরাংশ ফরাসি বন্দু টপের মতো হলে তার নাম হয় বন্দুকিনি। ট্যানকিনি বিভিন্ন রংয়ের, আকৃতির, ও স্টাইলের হতে পারে। কিছু ট্যানকিনি টপে পুশ-আপ ব্রা’র সুবিধাযুক্ত ছিলো, যা বিশেষ করে শিশুদের সৈকতের পোষাক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভোগ ম্যাগাজিনের ফ্যাশন সংবাদ পরিচালক ক্যাথরিন বেটসের মতে, এই উভচরী পোষাক, বালু ও সমুদ্র উভয় স্থানেই পরিহিতাকে টপস খুলে পড়ার ঝুঁকি এড়িয়ে ইচ্ছেমতো র্যা ফটিং, ভলিভল খেলার ও সাঁতার কাটার সুযোগ করে দেবে। স্লিং বিকিনি স্লিং বিকিনি (Sling bikini), যা সাসপেন্ডার বিকিনি (Suspender bikini), সাসপেন্ডার থং (Suspender thong), স্লিংশটন বিকিনি (Slingshot bikini), বা শুধু স্লিংশট (Slingshot) নামেও পরিচিত।

এটি হচ্ছে এক কাপড়ের তৈরি একপ্রকার বিকিনি, যা শরীরের অনেক কম অংশকে আবৃত করে। স্লিংশট বিকিনির নিচের অংশ থেকে চওড়া ফিতা হিপ ও কোমর পেরিয়ে, স্তনকে ঢেকে রেখে একেবারে কাঁধ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়; এবং বুকের আশপাশ ও বাকি শরীর সম্পূর্ণ অনাবৃত রাখে। এটি শরীরের উপরাংশে শুধুমাত্র স্তনবৃন্ত, ও নিম্নাংশে শুধুমাত্র শ্রোণীর (পিউবিস) অংশটুকু আবৃত করে। এছাড়া শরীরের পেছনভাগ সম্পূর্ণ অনাবৃত থাকে। পেছনভাগে ঘাড় থেকে ফিতা নিচের দেকে হাল্কা ভি আকৃতিতে নিতম্বের ভাঁজের ভেতর দিয়ে প্রসারিত হয়, যা থং স্টাইলের নিম্নভাগের সৃষ্টি করে।

এ ধরনের বিকিনির ভিন্ন সংস্করণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রেটজেল বিকিনি। এক্ষেত্রে দেহের সামনের ভাগে নিচ থেকে দুটি ফিতা এসে ঘাড়কে পেচিয়ে শেষ হয়। এরপর ঘাড় থেকে একটি চিকন ফিতা শরীরের মাঝ বরাবর পেছন দিয়ে নিতম্বের ভাঁজের ভেতর দিয়ে প্রসারিত হয়। লাইক্রার বদৌলতে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে এ ধরনের বিকিনি তৈরি হয়। আস্তে আস্তে ইউরোপে বিভিন্ন সকৈতে এ ধরনের বিকিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে আছে, সেইন্ট ট্রোপেজ, মারাবেল্লা, মাইকোনোস, এবং ইবিজা। পিউবিকিনি ১৯৮৫ সালে ডিজাইনার রুডি গার্নরাইখ পিউবিকিনি (Pubikini) মডেলের বিকিনির নকশা করেন। এ ধরনের বিকিনিতে যৌনকেশ প্রদর্শন করা হয়। পিউবিকিনি হচ্ছে এক প্রস্থ ছোট কাপড় যা জঘন (হিপ) ও নিতম্বকে ঘিরে রাখে কিন্তু শ্রোণী (পিউবিক) অঞ্চলকে উন্মুক্ত রাখে। এটিকে বর্ণনা করা হয়, ভি (V) আকৃতির ফিতা যুক্ত একটি হাল্কা ধরনের বিকিনি হিসেবে যা শরীরকে মুক্ত রাখার অনুভূতি এনে দেয়।

প্রচলিত শালীনতার দিকে লক্ষ্য করে ভেলকিনি (Veilkini) ধরনের সাঁতারের পোশাক তৈরি করা হয়েছে। এটি মূলত নকশা করা হয়েছে মুসলিম নারীদের পরিধানের জন্য, তাঁদের চর্চাকৃত ঐতিহ্যগত শালীনতার প্রতি লক্ষ্য রেখে। ধর্মীয় ও অন্যান্য কিছু কারণে অনেক মুসলিম নারী তাঁদের শরীরকে আবৃত রাখতে আগ্রহী। ভেলকিনি অনেকটা হাঁটা বা দৌড়ানোর পোষাকের (ট্র্যাকস্যুট) মতো। যদিও এখানে বাড়তি হিসেবে একটি মস্তকবন্ধনী থাকে।

ভেলকিনি পোষাক হিসেবে ঢিলেঢালা ধরনের এবং এখানে প্যান্ট, শার্টের সাথে যুক্ত থাকে। যদিও শালীন, তবুও কিছু সুইমিং পুলে এ ধরনের বিকিনি বা সাঁতারের পোষাক পরিধান করা গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে লৈঙ্গিক ও স্বাস্থ্যগত কারণকে উল্লেখ করা হয়। তৈরির উপাদান অনেক সময় স্বচ্ছ কাপড়ের দ্বারাও বিকিনি তৈরি হয়, যেগ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৫১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.