আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্মম নির্যাতনে বাকরুদ্ধ কিশোর !

বিপ্লব অথবা মৃত্যু গত পহেলা ডিসেম্বর, ২০১২ আমার জিমেইলে এই মেইলটি আসে। নিয়মিত মেইল চেক করি না বিধায় চোখে পড়েনি, পড়লে আরো আগেই শেয়ার করতাম। মোঃ সেলিম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে- ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর গ্রামের নামাপাড়া এলাকায় চোর অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে প্রতিবেশিরা নির্মম ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহত অবস্থায় কিশোরটি বাকরুদ্ধ হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কিশোরের বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশি ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের দিনমজুর সাহেদ আলীর ছেলে রতন মিয়াকে (১৩) প্রতিবেশি ফজলুল হকের বাড়িতে চুরির অপবাদ দিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে গত ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার কিশোর রতন মিয়া এখন বাকরুদ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। রতনের বাবা সাহেদ আলী বলেন, ‘আমার অবুঝ পোলাডারে ফজলু বাড়ি থাইক্যা ডাইকা নিয়া তার বাড়িতে চুরি করছে এই কথা কইয়া কি মাইরডাই না মারল। বস্তার ভিতরে ভইরা লাডি দিয়া, রড দিয়া যে যেবাই পারছে মারছে।

ফিরাইতে গেলে আমারেও মারতো লইছে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন, বস্তা থাইক্যা বার কইরা নাকে মুখে গরম পানি ঢালছে, প্লাস দিয়া হাতের পায়ের নখ গুলা তুইলা ফালাইছে। কেউ কিচ্ছু বলে নাই। এহন আমার পোলাডা মরে মরে। ’ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ডা. লক্ষীণারায়ন মজুমদার জানান, অপ্রাপ্ত বয়সে অতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে কিশোরটি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আসামীরা পলাতক রয়েছে।

তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। আসামীরা হলেন: ফজলুল হক, নয়ন মিয়া, ইমান আলী, বাবুল মিয়া, আলাউদ্দিন, আনারুল ইসলাম, দুলাল মিয়া। মোঃ সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ আমি জানি না, মানুষ কিভাবে এত পশু হয় ! মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ ভাবতে লজ্জা হয়। কতিপয় বর্বরের সাথে আমাদের বসবাস। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।