আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন এর ২৩তম মৃত্যুৃবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি


প্রখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন। ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে সাহিত্যিকের স্বীকৃতি তাকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। আধুনিক বিশ্বের নৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সাদৃশ্য ও বৈপরীত্বের প্রতিচ্ছবি তার রচনায় ফুটে ওঠে। রোমান ক্যাথলিক ঔপন্যাসিক পরিচয়টি পছন্দ না হলেও তার অসংখ্য লেখার বিষয়বস্তুই ছিল ক্যাথলিক ধর্মীয় বিষয়বস্তু। এগুলোর মধ্যে ব্রাইটন রক, দ্য পাওয়ার অ্যান্ড দ্য গ্লোরি, দ্য হার্ট অব দ্য ম্যাটার এবং দি এন্ড অব দি অ্যাফেয়ার উল্লেখযোগ্য।

ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর গ্রিন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। দি টাইমস পত্রিকায় তিনি সহ-সম্পাদক ছিলেন। একটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে গ্রিন ১৯৬৬ সালে দেশ ত্যাগ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি জেরুজালেম পুরস্কারে ভূষিত হন গ্রাহাম গ্রিন। ১৯৯১ সালের আজকের দিনে সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে পরলোকগমন করেন গ্রাহাম গ্রিন।

আজ এই লেখকের ২৩তম মৃত্যুৃবার্ষিকী। ঔপন্যাসিক গ্রাহাম গ্রিন এর মৃত্যুৃবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

গ্রাহাম গ্রিন ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে (Berkhamsted, Hertfordshire, England, United Kingdom) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চার্লস হেনরি গ্রিন এবং মাতা মেরিওন রেমন গ্রিন। ছোট বেলায় মানসিক ব্যাধি বাইপোলার ডিজঅর্ডারেও ভুগেছেন তিনি যার প্রভাব তার লেখায় বেশ স্পষ্ট।

স্কুলে থাকতেই বেশ কবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। ১৯২২ সালে গ্রিন ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে সাময়িকভাবে সম্পৃক্ত হন। ১৯২৭ সালে তিনি ভিভিয়েন নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই সন্তান ছিলো। কিন্তু এক সময় তিনি ভিভিয়েনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতেন।

তবে ক্যাথলিক ধর্মানুসারী হওয়ায় তিনি বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাননি বা আবার বিয়ে করেননি।

(ভারতীয় ঔপন্যাসিক রসিপুরম কৃষ্ণসোয়ামি আয়ার নারায়ণস্বামীর সাথে ১৯৫৭ সালে বিবিসি স্টুডিওতে গ্রাহাম গ্রিন)
বিশ্বখ্যাত কবি-সাহিত্যিক কিংবা বড়লেখক হয়েও গুপ্তচরের ভুবনে বিচরণ করেছেন অনেকেই। গ্রাহাম গ্রিনও গুপ্তরচরবৃত্তির সাথে যুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে গ্রিন লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এমআই-৬ তাকে রিক্রুট করে। অতঃপর গ্রিনকে সিয়েরালিওনে পাঠানো হয়।

সেখানে গুপ্তরচরবৃত্তির ফাঁকে তিনি মিনিস্ট্রি আর কিয়ার এবং দ্যা হার্ট অব দ্যা ম্যাস্টার নামে দু’টি গ্রন্থ লেখেন। দ্য কনফিডেনশিয়াল এজেন্ট, দ্য থার্ড ম্যান, দ্য হিউম্যান ফ্যাক্টর, আওয়ার ম্যান ইন হাভানা, দ্য কোয়াইট আমেরিকান প্রভৃতি রচনায় তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।

গ্রাহাম গ্রিন তার বন্ধু কিম ফিলবির আত্মজীবনী মাই সাইলেন্ট ওয়ার-এর মুখবন্ধে লিখেছিলেন, আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে দেশের চেয়ে বড় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। পরে এমআই-৫ এর পক্ষ থেকে এমআই-৬ কে বলা হয়, আওয়ার ম্যান ইন হ্যাভানা বাইটির মধ্যে কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে গ্রাহাম গ্রিনের বিচার হওয়া উচিত।

সুখ্যাতিমান লেখক হিসেবে যশ কুড়ানে গ্রাহাম গ্রিন ১৯৯১ সালের ৩ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে পরলোকগমন করেন।

মৃত্যুৃকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর। আজ এই লেখকের ২৩তম মৃত্যুৃবার্ষিকী। ঔপন্যাসিক গ্রাহাম গ্রিন এর মৃত্যুৃবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বিঃদ্রঃ আজ স্থাপত্যশিল্পের আইনস্টাইন ড.এফ আর খানের ৮৪তম জন্মদিন।

স্থাপত্যশিল্পের আইনস্টাইন ড.এফ আর খানের ৮৪তম জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.