আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেছতা !

মেছতা হলো কালো বা বাদামি রঙের দাগ, যা সাধারণত মুখমণ্ডলে হয়। এর মেডিকেল নাম হলো মেলাজমা। মেলানোসাইট নামে একধরণের কোষ ত্বকের রঙ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এরা কখনো অতিরিক্ত কর্মক্ষম হয়ে অতিরিক্ত রঙ তৈরী করে যা ত্বকের একজায়গায় জমাট বেধে মেচতা তৈরী করে। মেচতা ৩ ধরনের হয়ে থাকে।

১. এপিডারমাল যা চামড়ার একদম ওপরের স্তরে থাকে। ২. ডারমাল যা থাকে চামড়ার একটু গভীর স্তরে। ৩. মিশ্রিত- ত্বকের ওপর ও নিচ সব স্তরেই থাকে মেলানিনের বিস্তার। উডস ল্যম্প নামক এক ধরণের বাতির সাহায্যে আলো ফেলে ত্বকের কোন স্তরে মেচতা হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়। কেন হয়? মেচতা তুলনামূলক ভাবে নারীদের বেশি হয়।

গর্ভবতী অবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় এটা দেখা যায়। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রন পিল, সূর্যরশ্মি, ইস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণ, কিছু ওষুধ (যেমন Psoralen, Arsenic, Antiepileptiric, Phenothiazine) ও কিছু হরমোন গ্রন্থির রোগ (যেমন¬ Adison's disease, Hyperthroidism) মেচতা তৈরিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। সাবধাণতাঃ ১) সূর্যরশ্মির এড়িয়ে চলতে সবসময় ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ২) প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন (ক্যাফেইন জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হলে তার চেয়েও বেশি পানি পান করুন) ৩) ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। ৪) শাকসবজি তাজা ও কাঁচা-পাকা ফল খেতে চেষ্টা করুন।

৫) মুখমণ্ডল ছাড়াও কারো যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গে মেছতার প্রকোপ বেশি থাকে তবে তাকে আঠালো বা ভুট্টা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। ডাক্তারি চিকিৎসাঃ ১) ক্লিগমেন ফর্মুলাঃ এই ফর্মুলায় তিন ধরনের ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় যা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং মেলানোসাইট সৃষ্টিকারী কোষের কার্যকারিতা থামিয়ে রাখে। এই ওষুধ কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস ব্যবহার করা লাগে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে সুতরাং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত। ২) লেজার চিকিৎসাঃ লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে মেচতা সারানো হলেও খুব দ্রুতই আবার মেচতা দেখা দিতে পারে।

৩) ক্রায়োসার্জারি- তরল নাইট্রোজেন দিয়ে করা একধরণের অপারেশন। এতে এটি ক্রায়ো এজেন্ট যা অতি হিমাঙ্কে প্রয়োগ করা হয়। যাতে প্রথমে ফোস্কা পড়ে এবং কিছুদিন পর চল্টা ধরে শুকনো ফোস্কাযুক্ত ত্বক ঝরে পড়ে যায় এবং সেখানে ভেতর থেকে নতুন ত্বক গজাতে থাকে। তবে এতে মেছতার দাগ পুরোপুরি দূর হয় না। ৪) মাইক্রোডার্মাব্রেশন বা এমসিডিঃ ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের সাহায্যে দাগযুক্ত স্থানের ত্বকের সবচেয়ে উপরের স্তর ব্যথাহীন ও রক্তপাতহীনভাবে তুলে নেয়া হয়।

এরপর ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। এক-দুই মাসের মধ্যেই মেচতা নির্মুল হয়। এর কোন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি শুধু এপিডারমাল যা চামড়ার একদম ওপরের স্তরের মেচতার জন্য কার্যকরী ভেষজ চিকিতসাঃ ১) মধু ও দই এর মিশ্রণ মেছতার অংশে ব্যবহার করুন ২) এক টুকরো লাউ পুড়িয়ে নিয়ে রোজ একবার মেচতায় ঘসুন। ৩) অর্জুন ছালের মিহি গুরা মধুর সাথে মিশিয়ে রোজ একবার লাগিয়ে কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৪) এক চিমটি দারুচিনি গুড়া দুধের সরের সাথে মিশিয়ে মেচতায় লাগাতে হবে। ৫) অর্গানিক/গ্যালভানিক ফেসিয়াল বা স্পা নিয়মিত করলে দাগ হালকা করতে সহায়তা করে (সংগৃহীত)  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.