আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগে হামলায় জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত : আইনমন্ত্রী

তবে মঞ্চের কর্মীরা ‘আইনের মধ্যে ছিলেন কিনা’- তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার রাজধানী বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলা সংলাপ অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, “জামায়াতে ইসলামী বলেছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত রাখলে তারা দেশে সিভিল ওয়ার ঘটাবে। তখন জামায়াতের এই হুমকির প্রতিবাদে প্রথম উদ্যোগ নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করেছে, এগিয়ে এসেছে। ”
সে ক্ষেত্রে এখন কেন সরকার সমর্থিত লোকজন বাধা দিচ্ছে- এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “তারা (গণজাগরণ মঞ্চ কর্মী) আইনের মধ্যে ছিল কি না ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা উচিত।

যতক্ষণ কেউ আইনের মধ্যে থাকবে ততোক্ষণ সে প্রটেক্টেড। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
“ওইদিন তাদের (গণজাগরণ মঞ্চ) সমাবেশের অনুমতি ছিল কি না সেটা বিবেচনা করতে হবে। তবে হামলার ব্যাপারে যদি সত্যতা এবং যথাযথ প্রমাণ বেরিয়ে আসে, আমি চাই যারা হামলা করেছে কিংবা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক। ”
ইসলামী ব্যাংক থেকে আর্থিক অনুদান নেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে পুলিশি হামলায় ১০ জন কর্মী আহত হওয়ার পর মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করেন, পুলিশের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজনও হামলায় জড়িত ছিল।


এর আগে বৃহস্পতিবার মঞ্চের কর্মীদের ওপর দুই দফা হামলা হয়।
অনুষ্ঠানের অন্য বক্তা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক বলেন, “সরকার অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে। বিরোধী কোনো মতামত এই সরকার সহ্য করতে পারে না। ”
গণজাগরণ মঞ্চকে সরকারের জন্য ‘বিষবৃক্ষ’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সমালোচনা সহ্য করার ঘাটতি এবং সবকিছুকে দলীয়করণ করা বাংলাদেশের রাজনীতির এই দুই প্রবণতার কারণেই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।