আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরমে ঠাণ্ডা থাকার ১০ উপায়

আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। বর্তমানে আবহাওয়ায় এ তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। চৈত্রের শেষ সমায়টাতে গরমের মাত্রা এমনিতেই একটু বেশি থাকে। তাই এ সময় কেউ যদি নিজের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন তাহলেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া। কিভাবে গরমে ঠাণ্ডা রাখবেন নিজেকে তা নিয়ে রইল কিছু পরামর্শ-

 

কমিয়ে আনুন শারীরিক পরিশ্রম : না, গরমে বেশি ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই।

ব্যায়ামে বাড়বে শরীরের তাপমাত্রা। তবে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে যেটুকু ব্যায়াম করবেন তা যেন সীমিত থাকে। ভোরে হেঁটে আসুন খোলা বাতাসে।

পরিমিত পানি পান করুন : দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই পানি পূরণ করতে আপনাকে বাড়তি পানি পান করতে হবে।

শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখতে হলে চাই পানি।

তরল খাবার বেশি খান : বিভিন্ন মাংস, ডিম ও চর্বিজাতীয় খাবারের কথা ভুলে যান। তরল খাবার, ডাবের পানি, তরমুজ খান বেশি করে।

 

হালকা রংয়ের পোশাক : এ গরমে একেবারেই ভুলে থাকুন গাঢ় রংয়ের পোশাকের কথা। পোশাক পরুন হালকা রংয়ের।

গাঢ় রংয়ের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম অনুভূত হয় বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা রংয়ের পোশাক হলে। কালো রংয়ের পোশাক এড়িয়ে চলা উত্তম। গরমে সিনথেটিক পোশাক পরবেন না। সবসময় সুতি ও ঢিলা পোশাক পড়ার চেষ্টা করুন।

এতে আরাম পাবেন।

 

পারফিউম মাখুন দেখেশুনে : যদি গরম বেশি পড়ে, ভুলেও ভারী ও কড়া গন্ধের পারফিউম মাখবেন না। কড়া পারফিউমে আপনার শরীরে গরম লাগার ভাব বেড়ে যাবে। এ সময় একেবারে হালকা গন্ধের পারফিউম মাখুন।

বিরত রাখুন ধূমপান : সিগারেটের কথা মুখেই আনবেন না এ গরমে।

সিগারেটের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। ধূমপানে শরীর আরও গরম হয়ে যায়।

 

পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও অ্যালকোহল : গরমের অত্যাচারে যখন আপনি অতিষ্ঠ ভুলেও পান করবেন না চা, কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে শরীরে। বাড়িয়ে দেবে বেশি করে পানিশূন্যতা।

এড়িয়ে চলুন সূর্যালোক : চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মাখুন সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন।

গোসল করুন একাধিকবার : সবচেয়ে ভালো যদি ঠাণ্ডা বাথটাবে চুপচাপ শুয়ে থাকুন।

কিন্তু তা সম্ভব না হলে দিনে দুই তিনবার গোসল করুন।

 

শুয়ে পড়ুন মেঝের ওপর : ফোমের বিছানা কিংবা জাজিম-তোশক গুটিয়ে রাখুন। ভালো করে ধুয়ে-মুছে সটান শুয়ে পড়ুন মেঝের ওপর। মেঝের শীতল অনুভূতি শীতল করে তুলবে আপনার শরীরকে। চমৎকার ঘুম হবে আপনার।

দেখবেন গরম কোথায় পালায়!

লেখক : আবাসিক সার্জন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফোন :০১৯২৯-২০০৫৩১

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।