আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জনশক্তি বাড়ছে

দেশে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দুই লাখ ফ্রিল্যান্সার (সুনির্দিষ্টভাবে কোনো চাকরি না করে স্বাধীনভাবে যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন) আছেন। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে এখন বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে।

সরকার ইতিমধ্যে নতুন করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আরও ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩৫ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সরকার আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের পরবর্তী গন্তব্য এখন বাংলাদেশ।


এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসার উদ্যোগের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী। রাজধানীতে ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গতকাল এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল যেখানে ৬ শতাংশ, বর্তমানে তা ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
জুনাইদ আহেমদ বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে নিতে হলে দুটি কাজ করতে হবে।

প্রথমত, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার যথেষ্ট কাজ করেছে।
মন্ত্রী জানান, ১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১৯৭টি উপজেলায় ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় এ সংযোগ দেওয়া হবে।

এ জন্য চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছানোর জন্য সরকার কোনো টাকাই খরচ করেনি। ব্যবসায়ীরাও সেখানে যাচ্ছেন না। কারণ, সেখানে ব্যবসা নেই। গ্রাম পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।


বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষায়িত কাজের উদ্যোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সফটওয়্যার নিয়ে অনেকেই কাজ করেন। কিন্তু অ্যামাজন ডটকম শুরু করেছিল শুধু বই নিয়ে। তাতেই তারা সাফল্য পেয়েছিল।
সেমিনারে প্রিয় ডটকমের প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া স্বপন একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তাতে বলা হয়, দেশে এখন বিজ্ঞাপনের বাজার ৩৫ কোটি ডলারের। এর মধ্যে বিলবোর্ড ও সিনেমায় ২৯ শতাংশ, টেলিভিশনে ৩৭ শতাংশ, সংবাদপত্রে ৩৩ শতাংশ এবং ইন্টারনেটে যায় ১ শতাংশ। সংবাদপত্রে এখন যে বিজ্ঞাপনটা আসছে, এর পুরোটাই ইন্টারনেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। টাকার অঙ্কে এর বাজার ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার। তিনি জানান, বাংলাদেশে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার এখনকার যে অবস্থা, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রেরও সে অবস্থাই ছিল।

এখন সে দেশের বিজ্ঞাপনের একটি বড় অংশই চলে যায় ইন্টারনেটে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. ইহসানুল করীম বলেন, ‘নতুন উদ্যোক্তা খোঁজার জন্য আমাদের কর্মসূচি রয়েছে। তাঁদের আমরা সব ধরনের সহায়তা করে থাকি। যেন তাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন। ’
ফাউন্ডেশনের পরিচালক লুনা সামসুদ্দোহা বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক স্মার্ট হওয়ার পরও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ পাওয়া যায় না।

এ জন্য পাঠ্যক্রমে কিছু সংস্কার আনা প্রয়োজন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.