আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেরেও শেষ চারে রিয়াল মাদ্রিদ

ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিতে হলো ডর্টমুন্ডকেই। গতবার এই বরুসিয়ার মাঠেই ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত  হয়ে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল রিয়াল। সেবার গ্রুপ পর্যায়েও সিগনাল ইদুনা পার্কে হেরেছিল তারা।
প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে সেমি-ফাইনালের পথে এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

মঙ্গলবার প্রথম ১৫ মিনিটের খেলায় বোঝা যায়নি কতটা রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে সিগনাল ইদুনা পার্কে। ষোড়শ মিনিটে ফাবিও কোয়েনত্রাওযের জোরালো শট বরুসিয়া ডিফেন্ডার উকাস পিসচেকের হাতে লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি।
পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি আনহেল ডি মারিয়া। তার বাঁ পায়ের দুর্বল শট বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকাতে কোনো সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক ভাইডেনফেলারের।
সুযোগ হাতছাড়া করার পর বেশিক্ষণ নির্ভার থাকতে পারেনি রিয়াল।

দুই মিনিট পরই ম্যাচের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে বরুসিয়া। সেবার হেনরিখ মেখিতারিয়ানের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় অতিথিরা।
পাঁচ মিনিট পর আর পার পায়নি ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। বিপদ ডেকে আনেন ডিফেন্ডার পেপে। ‘নিরীহ’ একটি বল পেছন দিকে হেড করে গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের হাতে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।

যথেষ্ট জোর না থাকায় বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মার্কো রিওস।

রিয়াল মাদ্রিদের জালে গোল করছেন বরুসিয়ার মার্কো রয়েস। রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদের জালে গোল করে বরুসিয়ার মার্কো রয়েসের উদযাপন। রয়টার্স

এগিয়ে এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন ক্যাসিয়াস। এক ঝটকায় তাকে ফাঁকি দিয়ে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে যান রিওস।

সেখান থেকে জোরালো শটে জাল খুঁজে পেতে কোনো সমস্যা হয়নি তার।
রিয়াল মাদ্রিদের জালে গোল করছেন বরুসিয়ার মার্কো রয়েস। রয়টার্স
রিয়াল মাদ্রিদের জালে গোল করে বরুসিয়ার মার্কো রয়েসের উদযাপন। রয়টার্স
৩৭তম মিনিটে আবার রিওসের গোল। এবার ইলারামেন্দির ভুল পাস থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে যান তিনি।

চোট কাটিয়ে ফেরা রবার্ত লেভানদোভস্কির শটে কোনোমতে হাত লাগান ক্যাসিয়াস। বল তাই জালে যায়নি, বারে লেগে ফিরেছিল। কিন্তু ফিরতি বলে সুযোগসন্ধানী রিওসের জোরালো শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না ক্যাসিয়াসের।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর চুপ থাকতে পারেননি বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদোও। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় তাকে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নেননি কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

মাঠের বাইরে থেকেই সতীর্থদের জেগে উঠার ইশারা দিচ্ছিলেন রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই ছন্দ ফিরে পায় রিয়াল। ৫১ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন গ্যারেথ বেল। ওয়ালেস উইঙ্গারের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান কমানো হয়নি রিয়ালের।
৬২ মিনিটে আবার সুযোগ আসে অতিথিদের সামনে।

লুকা মদ্রিচের পাস করিম বেনজেমাকে খুঁজে পেলেও ফরাসি স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়।

স্বস্তি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের। হতাশায় ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা।

হতাশ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড লেভানদোভস্কি।

এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

রিওসের পাস থেকে মাখিতারিয়ানের শট বারে লাগে। চার মিনিট পর আবার তাকে হতাশ করেন ক্যাসিয়াস। স্পেন গোলরক্ষকের অসাধারণ দক্ষতায় পরের মিনিটেই আবার বেঁচে যায় রিয়াল।
স্বস্তি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের। হতাশায় ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা।


হতাশ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড লেভানদোভস্কি।

মাথা উচু করেই মাঠ ছেড়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা।

ম্যাচ শেষে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ সান্ত্বনা দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে ইসকো আর ৮১ মিনিটে বেনজেমা দুটি সুযোগ হাতছাড়া করায় আশা টিকে ছিল গত আসরের রানার্সআপদের। শেষ সময়ে গোলের জন্য বেশি মরিয়া হয়ে খেলতে গিয়ে প্রতি-আক্রমণ থেকে গোয় হজম করার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল স্বাগতিকরা।

এ সময় তিনটি সুযোগ হাতছাড়া করলেও শেষে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
মাথা উচু করেই মাঠ ছেড়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচ শেষে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ সান্ত্বনা দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।