আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ষবরণে চারদিকে সাজসাজ

প্রকৃতিতে বাজছে বসন্তের বিদায়ধ্বনি। বছর ঘুরে আবার আসছে পহেলা বৈশাখ। বিদায় নিতে চলেছে ১৪২০ বঙ্গাব্দ। নতুন বছরের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে কড়া নাড়ছে ১৪২১ বঙ্গাব্দ। উৎসবপ্রিয় বাঙালি এখন নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রাণের উৎসবকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ঘরে-বাইরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ ও ঢাকার বাইরে পড়ে গেছে সাজসাজ রব। নববর্ষের দিন এবারও ভোরে রাজধানী ঢাকায় বর্ষবরণের মূল আয়োজন শুরু হবে রমনা বটমূলের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজনের মধ্য দিয়ে। প্রভাতি সংগীত আয়োজনের জন্য এখন ছায়ানটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এ উপলক্ষে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মহড়া চলছে।

নববর্ষের সকালে সোয়া ৬টায় যন্ত্রসংগীতের পর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। এতে দেশপ্রেম, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত এবং পাঁচ কবির গান পরিবেশিত হবে। জানা যায়, এবার যন্ত্রসংগীতে সকালের রাগ ভৈরবী তোলা হবে বেহালায়। এর পরই শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। 'উদ্ধত কর, জাগ্রত কর, নির্ভয় কর হে' এ প্রতিপাদ্যে এবারের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজে বর্তমানে নিরলস পরিশ্রম করছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।

এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাঁসকে প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি। চারুকলার শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম মিঠু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাঙালি ঐতিহ্যের যেসব খেলনা বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেসব খেলনা এবারের বৈশাখে নতুন করে তুলে ধরার পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি নতুন করে উজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। সে কারণেই এবারের শোভাযাত্রায় হাঁসকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো বাংলা সংস্কৃতির অন্য সব উপাদানও থাকছে শোভাযাত্রার আয়োজনে। এর মধ্যে সরাচিত্র, খেলনা, পুতুল, মা ও শিশু, বাঘ, হরিণ, মাছ, মাছের ঝাঁক, মুখোশ, হাতপাখা, শখের হাঁড়ি, বিড়াল, লক্ষ্মীপেঁচাসহ আরও নানা ধরনের শিল্পকর্ম পহেলা বৈশাখ ১৪২১-কে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করে তুলবে বলে জানান মিঠু।

অন্যদিকে নগরীর শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনে এখন চলছে নববর্ষের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও বিসিক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর বাইরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। নববর্ষ উপলক্ষে আরও আয়োজন থাকছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সুরের ধারা, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের।

অন্যদিকে নববর্ষ উপলক্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজধানীর সব পাঁচ তারকা হোটেলে নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।