আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঙ্গল গ্রহের ইঁদুর!

ইন্টারনেটজুড়ে শোরগোল ফেলেছে ‘মঙ্গল গ্রহের ইঁদুর’ নামের একটি ছবি। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোতে মঙ্গলে পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা একটি ইঁদুরসদৃশ প্রাণীর ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবিটি ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো কিউরিওসিটির তোলা। আসলেই কি মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠে এ ধরনের ইঁদুরের অস্তিত্ব রয়েছে? গবেষকেরা এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
স্পেস ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মার্স র্যাট’ নামের কাল্পনিক এ ইঁদুর নিয়ে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে।

এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ ও ডিসকভারি নিউজ।
মঙ্গল গ্রহে পাঠানো নাসার রোবট-যান কিউরিওসিটি ২০১২ সালে মঙ্গলপৃষ্ঠের নান্দনিক কিছু ছবি তুলেছিল। এ ছবিগুলো ঘেঁটে আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও উত্সাহীরা দুটি পাথরের মাঝখানে ইঁদুরসদৃশ একটি প্রাণী দেখতে পান। অনেকে একে নাসা পরিচালিত গোপন কোনো গবেষণার অংশ বলেও ধারণা করছেন। অনেক গবেষক আবার ছবিটা ভুয়া বলেও মনে করছেন।

তবে বর্তমানে ‘মঙ্গল গ্রহের ইঁদুর’ ছবিটি ইন্টারনেটজুড়ে ব্যাপক শোরগোল তুলেছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
লালরঙা মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে এ ধরনের প্রাণী রয়েছে বলে খবর রটানোর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১২ সালের এপ্রিলে মঙ্গলপৃষ্ঠে হাতিসদৃশ একটি নকশা শনাক্ত করেছিলেন গবেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা তখন জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহে লাভার স্রোতের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে হাতির এই আকৃতি, যা মঙ্গলের কোটি কোটি বছরের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।
মঙ্গলের পৃষ্ঠে এ রকম ভূপৃষ্ঠের আদল দেখতে পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য একেবারে নতুন নয়।

এর আগে ইতালির একজন মহাকাশ গবেষক মার্স এক্সপ্রেস থেকে মঙ্গল গ্রহের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে মহাত্মা গান্ধীর মুখাবয়ব-সদৃশ একটি নকশা খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৭৬ সালে আমেরিকান ভাইকিং-১ অরবিটার থেকে তোলা এক ছবিতে মঙ্গলের বড় এক পাহাড়কে মানুষের মুখের আদলের মতোই মনে হতো। এ ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য আরেকটি ধারণাও কাজ করে। অনেকেই মহাকাশের ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন প্রাণীর আদলের ছবি ফুটিয়ে তোলার কাজটি এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীর কাজ বলেও মনে করেন।
গবেষকেরা কোনো কিছুর মধ্যে মানুষের মুখের আদল খুঁজে পাওয়ার এ ঘটনার একটি নামও দিয়েছেন।

এর নাম ‘প্যারেইডোলিয়া’। এ ঘটনার ফলে প্রকৃতি কিংবা মেঘের মধ্যে অতি-উত্তেজনার ফলে কোনো অবয়ব বা মুখ দেখা যায়। গবেষকেরা এ প্রসঙ্গে বলেন, মানুষ টিকে থাকার জন্যই কোনো পরিচিত কিছুর সঙ্গে তুলনা করে, যা তাদের স্বভাবের মধ্যে পড়ে।
কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে মঙ্গল গ্রহে নুড়ি ও প্রাচীন নদীর প্রবাহের প্রমাণ দিতে পারলেও ইঁদুর বা অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্ব থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনো দিতে পারেননি গবেষকেরা। অবশ্য গবেষকেরা আশাবাদী, কিউরিওসিটি হয়তো ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে অণুজীবের প্রমাণ বের করতে সক্ষম হবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।