আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারুণ্যের এপিঠ ওপিঠ।

জীবনকে ভালোবাসি, তার চেয়েও বেশী ভালোবাসি মেয়েকে। ব্লগে যারা আছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ এখন রুশানকে চেনেন বলে আমার ধারণা, গতকাল থেকে রুশানের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের জন্য দিবা আপু ও দেশ বরেণ্য ভাস্কর ও চিত্র শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, চিত্র শিল্পী আইভি জামান, চিত্র শিল্পী নাজমুল আলমের আঁকা ছবি নিয়ে ছবির প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের জুম গ্যালারীতে। বিস্তারিত এখানে সকাল থেকে অফিসে আমাদের ব্লগীয় ভাষায় কামলা দেয়ার কারনে অনেক ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও যেতে পারিনি। অফিস থেকে বের হতে হতে ৪টা বেজে গেলো, বের হয়েই গেলাম আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে সহব্লগারদের এমন একটা ভালো কাজে সাধুবাদ ও অনুপ্রেরণা দেবো বলে। গিয়ে পৌঁছালাম এমন একটা সময়ে যখন প্রদর্শনীর বিরতি চলছিলো।

অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলাম যে দিবা আপু ও অন্যান্য যারা সকাল থেকে ছিলো তাদের সাথে দেখা হবে, কিন্তু গিয়ে কাউকে পেলামনা বলে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। ভাবছিলাম ফিরে আসি, কি মনে করে গ্যালারির জায়গাটাতে উঁকি মারলাম, দেখি আমাদের প্রিয় পাইলট ভাই আমাকে হাতের ইশারায় ডাকছেন। কি যে ভালো লাগলো!!! মনে হচ্ছিলো অনেক দিন পর যেন পুরনো মানুষের দেখা পেয়েছি। তখন সেখানে সাগর ভাইকেও দেখতে পেলাম। তিনজন মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলাম।

এর আগে শুধু ব্লগডেতে ওনাদের সাথে আমার দেখা হয়েছিলো, ভালো করে কথাও হয়নি, তবুও আমরা এতো স্বতঃস্ফুর্তভাবে গল্প করলাম যেন আমরা অনেক আগের পরিচিত। সাগর ভাই ও পাইলট ভাই এই প্রদর্শনীর সাথে জড়িত এক একজনের কষ্টের কথা বলছিলেন, তখন নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিলো আমার। মনে হচ্ছিলো এরা একটা ভালো কাজের জন্য কতটা কষ্টই না করছে!!! আর আমি শুধু কিছুটা আর্থিক সহায়তা করে আর কিছুই করতে পারছিনা। ফিরে আসার সময় আরো অনেকের সাথে দেখা হলো, কথা হলো । এদের মধ্যে ছিলেন শিপু ভাই, পথের পাঁচ, লক্ষী পেঁচা, আরমান, কান্ডারি অথর্ব, তামিম, বাবুরাম সাপুড়ে (আর কাউকে মনে পড়ছেনা দুঃখিত)।

সবার কাছে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরে গেলাম। ফেরার পথে ভাবছিলাম তারুণ্যের শক্তি আমরা কতভাবে কাজে লাগাতে পারি। কিছু রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের তরুনেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনে ব্যাস্ত থাকে গাড়ী ভাংচুর বা অনেকের হাত পা ভাংচুরের মাধ্যমে। কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও এমন ক্ষমতা প্রদর্শনের রেওয়াজ দেখা যায়। অথচ এরা চাইলেই জনগনের কল্যাণে কাজ করতে পারে, যেমন করে দেখাচ্ছে আমাদের সামুর কিছু নিবেদিতপ্রাণ ব্লগার।

এদের মধ্যে কয়জনই বা রুশানকে ব্যাক্তিগতভাবে চেনেন, খুব কম বা হয়তো কেউইনা। কিন্তু এদের সবার মধ্যেই একটা ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ তৈরী হয়েছে রুশানের জন্য। যে দায়ীত্ববোধ থেকে তাদের মনে হয়েছে যে কোন উপায়ে রুশানকে বাঁচাতেই হবে আর তার জন্য তাদের যা কিছু করার দরকার করবে, তাইতো দিবা আপু রাত জেগে রুশানের জন্য ছবি আঁকেন, আরমান না খেয়ে না ঘুমিয়ে নিরলস এই প্রদর্শনীর যাবতীয় কাজ করে যায়, আমিনুর ভাই, কান্ডারি অথর্ব,রাফাত ভাই, সাগর ভাই, শিপু ভাই, জাদীদ ভাইয়েরা তাদের শত ব্যাস্ততার মাঝেও রুশানের জন্য কাজ করার জন্য সময় বরাদ্দ রাখেন। শ্রদ্ধা সম্মান যাই জানাইনা কেন এদের নিরলস প্রচেষ্টা আর কষ্টের কাছে তা অনেক তুচ্ছ মনে হবে, শুধু দোয়া করছি রুশান সুস্থ হয়ে উঠুক, তাহলেই এদের সব কষ্ট স্বার্থক হবে। *** জানি আরো অনেকেই রুশানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সবার নাম আমি জানিওনা তাই উল্লেখ করা সম্ভব হলোনা।

তবে এটাও জানি কেউ নামের জন্য কাজ করছেননা, তাই তারা কষ্টও পাবেননা। সবার জন্য শুভ কামনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।