আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তর ও ধর্ষণ করেছে কিছু জানোয়ার আর তা নিয়ে ব্লগে ও অনলাইনে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে আরো কিছু জানোয়ার।

বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন গাজীপুরের টঙ্গীর এক মেধাবী ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে কিছু জগন্য অপরাধী। পুলিশের ভাষ্য মতে, এই অপহরণ ঘটনায় জড়িত ছিল চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ছয় মাদক ব্যবসায়ীর একটি চক্র। এটিকে প্রচার করা হচ্ছে "ধর্মের নামে এক দুঃসহ বর্বরতার শিকার হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতভাগ্য"। লিংক..... এখানে কি করে ধর্মের নামে ধর্ষণ হলো বুজলাম না!!! অপরাধীর সাজা না চেয়ে ধর্ষকদের এই জগন্য অপরাধের সাথে কি করে ধর্মের বা ইসলামের যোগসূত্র খোঁজা হল বুজলাম না। বাংলাদেশে ধর্ষণের গত বছরের পরিসংখ্যাণ বাংলাদেশে ২০১২ সালে ৬০০০ নারী শিকার হয়েছে ভয়াবহ নির্যাতনের।

ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ১৬০০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১০৬ নারীকে। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৫৭টি। ধর্ষিতার মধ্যে ৩ বছরের শিশু থেকে ৫৫ বছরের বৃদ্ধাও আছে। যদিও প্রকৃত চিত্র আরো ভয়াবহ।

জাতীয় দৈনিকে সাম্প্রতিক ধর্ষণের কিছু শিরোনাম 'চলন্ত বাসে তরুণী ধর্ষিত (প্রথম আলো ২৪-০১-২০১৩)'। 'সাভারে ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, বান্ধবীসহ গ্রেপ্তার ৪'। 'শিশু ধর্ষণের শিকার, চিকিৎসায় গাফিলতি (প্রথম আলো ০১-০৬-২০১৩)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ (প্রথম আলো ০৩-০৬-২০১৩)'। 'গোয়াইনঘাটে শিশু ধর্ষণের শিকার (প্রথম আলো ২৮-০৫-২০১৩)'।

কিশোরগঞ্জে ছাত্রী ধর্ষণের শিকার (প্রথম আলো ২৭-০৫-২০১৩)'। ‘রাঙামাটিতে আদিবাসী ছাত্রী ধর্ষণ’ (সমকাল ২০১৩)। ‘এবার কক্সবাজারে তরুণীকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০১৩)। ‘সাভারে ধর্ষিতার জবানবন্দি’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। ‘ঝিনাইদহে আড়াই বছরের শিশুকে ধর্ষণ’ (আমার দেশ ২০১৩)।

‘মুসলিম কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতন : হিন্দু যুবক গ্রেফতার’ (সেপ্টেম্বর ২০১১)। ‘ভিকারুননিসার ছাত্রী ধর্ষণ : আসামি শুধুই পরিমল’ (আগস্ট ২০১১)। আপনারা খুজলে আরো বহু খবর পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এইসব গুলি ধর্মের কারণে ধর্ষণ হয়েছে? ধর্ষণ এখন সবচেয়ে বেশী ভারতে এবং ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী দীল্লীতে। ভারতের পুলিশের তদন্তেই এর প্রধান কারণ বের হয়েছে অশালীন পোষাক ও চলাফেরা, মিডিয়া, আইনের ব্যার্থতা, পরিবারের উদাসীনতা, প্রেমের নামে অবৈধ সম্পর্ক্য ইত্যাদি।

আমেরিকা, কোরিয়া, ইউরোপেও ধর্ষণের মাত্রা ভয়াবহ। ধর্ষণ অনেক পুরোনো মারাত্নক সামিজিক অপরাধ যা বেড়েই চলছে। একজন ব্লগারের চরম ধর্মীয় উস্কানি নিচের স্ক্রীনশট দেখুন এই ব্লগার কিভাবে "গণিমতের মাল" ও "মালাউন বাচ্চা" এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে পুরো ইসলাম ধর্মকে ঢালাওভাবে দায়ী করছেন এভাবে যে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা সব হিন্দু মেয়েদের গণিমতের মাল মনে করে ধর্ষন করে এবং "ধর্মান্তরিত করে শান্তির পথে আনি" বলে তিনি ধর্মান্তরিত করাকে ইসলামের দায়িত্ব কর্তব্য বলে প্রচার করছেন। এদের উদ্দেশ্য কি? একজন অপরাধী যখন অপরাধ করে তাঁর অপরাধ না খুঁজে তাঁর ধর্ম পরিচয় খুঁজে সেই ধর্মের বিরুদ্ধে লিখার উদ্দেশ্য কি? এটা হল ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টির জন্য নাস্তিকদের একটা নোংরা কৌশল যা ঘৃণ্য রাজনীতিবিদরা প্রায়ই করে থাকেন। যেমন কোন দলের কোন কর্মী বা নেতা কোন অপরাধ করলে তাকে বাদ দিয়ে বিরোধী পার্টি শুধু সেই দলের সমালোচনা করে যাতে মানুষ সেই দলকেই অপরাধী মনে করে।

সবার কাছে কিছু প্রশ্নঃ ১) বাংলাদেশের পত্রিকায় প্রতিদিন প্রায় ২/৩ টা ধর্ষনের খবর ছাপা হয়, পুলিশের রিপোর্টের তথ্য মতে বছরে যে কয়েক হাজার ধর্ষনের ঘটনা ঘটে তার কয়টা হিন্দু আর কয়টা মুসলিম মেয়েদের বেলায় ঘটে? ২) বাংলাদেশে ধর্ষণের প্রধান কারণ কি হিন্দু মুসলিম? ৯০% মুসলিমরা কি শুধু ১০% হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে? ৩) এই ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কি আইনের ব্যার্থতা না ইসলামী ধর্ম বিশ্বাস? ৪) ইসলাম ধর্মের কোন বিশ্বাসে বলা আছে হিন্দু হলেই গনিমতের মাল মনে করে ধর্ষণ করতে হবে আর ধর্মান্তরিত করে ইসলামের দায়িত্ব পালণ করতে হবে? ৫) কোন অপরাধী যদি অস্ত্র ব্যবহার করে খুন করে সেটা কি আস্ত্রের দোষ না খুনির দোষ? অস্ত্র দিয়েতো আর্মিরা, মুক্তিযুদ্ধারা দেশ ও স্বাধীন করেছে। তাহলে কেউ যদি কোন ধর্মেরও হয়ে থাকে এবং ধর্মকে অস্ত্র বানিয়ে অপরাধ করে সেটা কি ধর্মের দোষ না অপরাধীর? ৬) অপরাধীর অপরাধ খোঁজা বাদ দিয়ে তাঁর ধর্ম, দল, গোষ্টী খোঁজা এবং এরপর সেই ধর্ম, দল বা গোষ্টীর বিরুদ্ধে বারবার বলা কি অপরাধীকে আড়াল করা নয়? এতে কি অপরাধ কমে না বাড়ে? আমাদের সমাজে ইসলাম বিরোধী প্রচারণা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে, **মুসলিম ধর্মের কোন মানুষ অপরাধী যেমন মাদক ব্যবসায়ী হোক, খুনি হোক, ধর্ষক হোক এটা পুরো ইসলাম ধর্মের দোষ!! **কোন অপরাধী ভাল মানূষ যেমন টুপি দাড়ি ওয়ালা মোল্লা সেজে অপরাধ করলে এটাও ইসলামের দোষ বা টুপি দাড়ির দোষ!! **কোন বাটপার মসজিদের কোন ইমাম বা মোয়াজ্জিন সেজে চাকরি নিয়ে দান বাক্সের টাকা চুরি করে পালালে এটাও ইসলামের দোষ!! **কোন চোর মসজিদে জুতা চুরির সুবিদার জন্য যদি টুপি পড়ে নামাজের অভিনয়ে মসজিদে যায় তাও মসজিদের দোষ। অপরাধকে ভিন্নভাবে প্রচার করে এর দায় ইসলামের উপর চাপানোর উদ্দেশ্য হল মানুষ যাতে ইসলাম ধর্মকে ঘৃণা করে বা ইসলাম ধর্মকে এড়িয়ে চলে। এগুলি গভীর সুপরিকল্পিত ইসলাম বিরোধী প্রজেক্ট যা ১১০০ সালের দিকে ক্রুসেডের সময় হয়েছিল। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.