আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবিএম মুসা আমরা আপনার এসব জানতাম কিন্তু প্রকাশ করি নাই আজ প্রকাশ করলো অন্যে,

এবিএম মুসা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিসত্মানের পাসপোর্ট, পাকিসত্মান সরকারের র্নিদেশ মোতাবেক প্রথমে হংকং এ যান। হংকং এ তিনি তখন যে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন সেটা ছিল সম্পূর্ণ সন্দেহজনক বিষয়। তৎকালীন মুজিব নগরের বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি ফকির শাহাবুদ্দিন (পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রথম এর্টনী জেনারেল) হংকং গিয়ে তার জীবনযাত্রা দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে তাজউদ্দীন সরকারকে রিপোর্ট করেন। যে রিপোর্ট মুজিব নগর সরকারের নথিতে আছে। হংকং এ গিয়ে জনাব মুসা তৎকালীন এপির সংবাদদাতা হিসেবে হংকংস' সাংবাদিকদের জানান বাংলাদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না।

যা কিছু ঘটছে সেটা ভারতীয় কিছু তৎপরতা মাত্র। যা ওই সময়ের বিভিণ্ন আনর্ত্মজাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছিল। এরপরে তিনি ভারতে যান। ভারতে গিয়ে ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস পত্রিকায় একটি লেখা লিখেন। সেখানে তিনি লেখেন যেহেতু শেখ মুজিব এখন পাকিসত্মানে কারাগারে বন্দী তাই বাংলাদেশের মানুষের নেতা এখন মৌলানা ভাসানী।

এর ভিতর দিয়ে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যারা মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরা বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। এভাবে মুজিব নগর সরকারকে বর্হিবিশ্বে ছোট করার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি কলকাতায় বাসা ভাড়া নেন। এবং সেখান থেকে নিয়মিত তিনি পাকিসত্মান কর্তপড়্গকে টেলেক্সে মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে গোপনে সংবাদ পাঠাতেন। যার প্রমাণ ইন্ডিয়ান গোয়েন্দো নথিতে মিলবে।

পাকিসত্মান সামরিক বাহিনীর নির্দেশে তিনি শেখ কামাল কবে কোথায় যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন বা যুদ্ধে যাবেন বা সী্মান্ত এলাকায় যাবেন এই সংবাদ পাঠানোর দ্বায়িত্ব ছিল এ বি এম মুসার। পাকিসত্মানী কর্তৃপক্ষ্যের উদ্দেশ্য ছিল শেখ কামালের অবস্থান জানতে পারলে সেখানে তারা বোম্বিং করে শেখ কামালকে হত্যা করবেন যাতে এই খবর প্রকাশিত হলে বঙ্গবন্ধু মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এ বি মুসা শেখ কামাল এর অবস্থান জানানোর চেষ্টা করেছিলেন টেলেক্স এর মাধ্যমে। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তার বাসা সার্চ করে এবং টেলেক্স নিয়ে নেয় ও তাকে নজরবন্দী করে এবং যাবতীয় বিষয় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে জানান। তবে গ্রেফতার করলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভুল সিগন্যাল যাবে।

যার ফলে অনেক সাংবাদিক ও সরকারী কর্মকর্তা মুজিব নগরে আসা থেকে বিরত থাকবে। এ কারণে তিনি বাকি সময় মুজিব নগরে গোয়েন্দা নজরদারীতে ছিলেন। এই ছিলো এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ১৯৭১ সময়কালীন এবিএম মুসা'র কার্যক্রমের পরিধি। ইতোমধ্যেই আপনারা হয়তো জানেন যে, ল্যাব এইডের মালিক বিএনপিপন্থী। মুসা সাহেব তাকে নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের জন্য এপ্লাই করেছিলেন।

সরকার তাকে তা দেয়নি। পক্ষান্তের সে আরও অভিযোগ করে বেড়ায় তার টিভির নাম দিয়েছিলেন তিনি একাত্তর যে নামের চ্যানেল মোজাম্মেল বাবুকে দেয়া হয়। http://www.amarblog.com/sushanta/posts/156419 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।