আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতের মুখ ও মুখোশ!

কবি হতে চেয়েছিলাম... ধর্মটা জামায়াতের মুখোশ। ধর্মের সিঁড়িকে ব্যবহার করে অর্থ ও ক্ষমতার প্রাসাদে আরোহন যে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা আবার প্রমাণ করলো তারা। মুখোশ খুলে আবার নিজের প্রকৃত রূপ দেখালো জামায়াত। এ নিয়ে না লিখে থাকতে পারলাম না, তাই কিবোর্ড পিষতে বসলাম। এবার জামায়াতের মুখ ও মুখোশের কথায় আসি।

আজকেই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বলেছে, 'নিবন্ধন বাঁচাতে অবশেষে নিজেদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন এনেছে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে। ' তার মানে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের নামে, জামায়াত সরলমনা মানুষদের মগজ-ধোলাই করে তাদের মধ্যে যে জিহাদি জোশ নিয়ে আসে, তার পুরোটাই ভণ্ডামি। ক্ষমতায় যেতে ও প্রচলিত দল হিসেবে টিকে থাকতে তারা যখন 'আল্লাহ' ও 'রসুল' বাদ দিতে পারে, তার মানে তাদের কাছে ধর্ম হচ্ছে 'ক্ষমতা'। 'ইসলাম' কেবল তাদের কাছে মুখোশ।

তাই বলি এ দলটির এখন উচিত নাম থেকে 'ইসলামি' শব্দ বাদ দিয়ে ইংরেজি, বাংলা, আরবি কিংবা অন্য কোনো ভাষার এক বা একাধিক শব্দ দিয়ে (অবশ্য তাদের প্রিয় পাকি ভাষা উর্দুও হতে পারে) নতুন নামকরণ করা। জামায়াতের মুখোশ উন্মোচনের আরও একটি নমুনা পেলাম আজকেই। একমুখী বিশ্বে মুসলমানদের নিপীড়ন-নিগ্রহের পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। বাস্তবসম্মত কারণেই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো পৃথিবী মোড়ল রাষ্ট্রটির সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করে। ধর্মভিত্তিক দল হিসেবে জামায়াতের অবস্থান ভিন্ন হওয়ার কথা।

কিন্তু বাস্তবে তা-তো নয়ই। তারা বরং মার্কিন ভক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে। আজকের হরতালে রাজধানী ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িতে হামলার ঘটনাকে ‘অভূতপূর্ব’ ও ‘দুঃখজনক’ অভিহিত করে এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গণতান্ত্রিক অধিকার হরতাল; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জামায়াতকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করেনি সরকার। তারা পিকেটিং করেছে যথেষ্ট।

বাস-কার-মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে জিহাদি জোশ নিয়েই। জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়ে সাধারণ মানুষ আজ প্রাইভেট কার নিয়ে রাজধানীর রাজপথে নামেনি। কেননা হরতালে পিকেটিং গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবেই ধরা হয় (হরতাল পালন না করাও যে কারো গণতান্ত্রিক অধিকার, হরতালেও তাই যানবাহন চলাচলের অধিকার থাকার কথা, এ অধিকারের প্রয়োগ চাই)। আজ সাধারণ মানুষের যেসব বাস-কার-মোটরসাইকেল জ্বালিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা, তার জন্য তারা ক্ষমা চাইবে না কেন? নাকি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত ছিলো? এমন ঘোষণা তারা হরতালের আগের দিন দেয়নি কেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.