আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া প্রলম্বিত, নাকি বিলম্বিত !

নিজেকে জানার চেষ্টা চলছে । কখনো জানতে পারলে বলবো । যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড (সর্বোচ্চ শাস্তি) উপযোগী কয়েকটা অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার সাথে সাথেই শাস্তি কার্যকর করে ফেলা উচিত। কিন্তু আমাদের মহান আইন ব্যাবস্থা কি করছে ?! সকল অপরাধের প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত শুনানি চলতে থাকবে ! তার মানে কি এই, যে ৫ টা খুনের প্রমাণ সাপেক্ষে যে ব্যাক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে, যদি পরবর্তীতে তার আরো ২৫ টা খুনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে সসন্মানে মুক্তি দেয়া হবে? আমাদের বিচার ব্যাবস্থা কি মহৎ উদ্দেশ্য কায়েমের স্বার্থে বিভিন্ন হাস্যকর বিধিমালার চক্রে জড়িয়ে পড়ে অপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করছে না? আর এই প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়া মানেই বিলম্বিত হওয়া। সারা দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের দাবী আজ একটাই, যুদ্ধাপরাধীদের প্রকৃত শাস্তি প্রদান।

একটি দেশের আইন ও বিচার ব্যাবস্থার বিভিন্ন ধারার মূল্যায়ন কখনো সারা দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক দাবীর সমান হতে পারেনা। দেশের মানুষের কল্যাণে (!) নিবেদিত কর্তাব্যাক্তিদের এই সাধারণ কথাটি মনে রাখা উচিত। আরও মনে রাখা উচিত, ১৯৭১ সালে শক্তিশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিল বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। এই আইন ব্যাবস্থা, এই সংসদ, এই ঐতিহ্য তৈরি হয়েছে এই সাধারণ জনগনের ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে। মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও যোদ্ধাদের রক্তের সাগর তাদেরই দেহ দিয়ে ভরাট করে তার উপর স্মৃতিসৌধ বানিয়ে ফুল দেয়ার কোন অর্থ হয়না।

তাঁদের সন্মান জানাতে চাইলে তাঁদের ইচ্ছাকে সন্মান জানাতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে আইনের ধারা সংশোধন করুন। কারণ এই ধারা বেহেশত থেকে দুনিয়াতে নাজিল হয়নি। সদিচ্ছা থাকলেই মানুষ যে কোন কিছু করতে পারে।

বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে, তার অপব্যাবহার করবেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.