আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুরু নাই তাই শেষও নাই। অগোছালো টাইপের লেখা। এটার নাম দিলাম হিজিবিজি লেখা।

inside you're ugly ugly like me অনেকদিন পর আজকে চন্দ্রোদয় দেখলাম। দেখলাম বললে ভুল হবে, ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। বরাবর পূর্ব দিকে গাঢ় লাল চাঁদ। এই টাইপের চাঁদের কি কোন সাহিত্যিক নাম আছে? থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। এই সময় চাঁদটাকে দেখলেই কেমন জানি কষ্ট লাগে।

মনে হয় অনেক যন্ত্রনায় লাল হয়ে গিয়েছে। সূর্য় ডোবার সময় যেরকম লাল হয় ঠিক একই রকম লাল। আচ্ছা সূর্য ডোবার সময় লাল দেখায় কেন? আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটা ব্যাপার আছে এইখানে। লাল রংয়ের চাঁদের ব্যাপারেও বোধহয় একই কথা। ধুর চাঁদের চিন্তা বাদ।

এই জিনিসের বিষয় সামনে আসলে অবধারিতভাবে রোমান্টিসিজম চলে আসে। ছ্যাক খাওয়া বেকার যুবকদের রোমান্টিক হওয়া নিষেধ। এই অধিকার তাদের দেয়া হয় নাই। সকাল আটটায় ক্লাস। ঘুম থেকে উঠার পর ঘড়ি দেখলাম।

১১টা ৪০। এই সময় অধৈর্য হলে চলে না। বরং ঠান্ডা মাথার চিন্তা করতে হয়। ক্লাস যেহেতু মিস, ঘুম মিস করাটা অন্যায় হবে। বিরাট অন্যায়।

মাঝে মাঝে অন্যায় করা ভাল। যদি বিকালে ক্লাস থাকে তাহলে করা যাবে এই ভেবে ভার্সিটির দিকে রওয়ানা দিলাম। দুপুর দুইটা। ডিপার্টমেন্টে কেউ নাই। স্যারদের রুমে উকিঝুকি মারলাম।

আমার প্রিয় একজন শিক্ষক দেখলাম গভীর মনোযোগ দিয়ে কি যেন পড়ছে। ভার্সিটিতে দুই ধরনের টিচার থাকে ১.দুর্নিতীবাজঃ ইহারা ক্লাসের চেয়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতি বেশী মনোযোগী। যেমন শিক্ষক কমিটি, প্রক্টর প্যানেল ইত্যাদি। ২. যারা দুর্নিতীবাজ না। এই শ্রেনীর টিচাররা শুধু ক্লাস করায়।

ক্লাস না থাকলে বসে বসে বই পড়ে। আর নিতান্তই বোরিং হয়ে গেলে ল্যাপটপ ওপেন করে টম এন্ড জেরী টাইপ কার্টুন দেখে। এই স্যার দ্বিতীয় ক্যাটাগরীর। স্যারের চেহারাটা কেমন যেন বাচ্চাদের মত। কপালের উপর দিকের অল্প কিছু চুল সাদা।

তাও কেমন যেন বাচ্চাদের মত দেখায়। বুড়া বাচ্চা। এই স্যারের সাথে একবার ভয়াবহ রকমের বেয়াদবি করেছিলাম। তখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। স্যার আমাদের স্টুডেন্ট কাউন্সেলর।

একদিন স্যারের রুমের ভিতরে গিয়ে দাড়িয়ে থাকলাম। স্যার নাম ধাম ব্যাচ জিজ্ঞেস করল। এরপর জানতে চাইল কেন এসেছ? আমি কিছু বলতে গিয়েও বললাম না। আরেকদিন বলব বলে বের হয়ে আসলাম। তার পরের দিন একগাদা টপিক্স ঠিক করে নিয়ে গেলাম।

আমি কোন কথা গুছিয়ে বলতে পারিনা। আমি প্রচুর মিথ্যা বলি। আমি রিসেন্ট ছ্যাকা খাইছি এই টাইপ কথাবার্তা। স্যার বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনার পর বললেন পরেরদিন দেখা করতে। তার পরেরদিন গেলাম।

যাওয়ার পরে স্যার বললেন গতকালকে তুমি বেশীরভাগ কথাই মিথ্যা বলেছ। -জ্বি স্যার। -আর কখনো এমন করবে না। -আচ্ছা। -যাও।

ভাবলাম স্যারের সাথে কিছুক্ষন খোশগল্প করে আসি। আসল উদ্দেশ্য চা। স্যারের রুমে ঢুকা মানেই এককাপ চা বরাদ্দ। এই স্যার ক্লাসে অনেক সুন্দর সুন্দর জোকস বলে কিন্তু কেউ হাসে না। একদিন একটা জোকস বলল এইরকম, "অফিসের এক পিয়ন তার স্যারকে প্রায়ই তেল মারে।

তো একদিন তেল মারতে গিয়ে বসকে বলে বসল, স্যার আপনে আমার মা বাপ আর আমি হৈলাম কুত্তার বাচ্চা" জোকস শেষ। কিন্তু কেউ হাসল না। স্যার ঐদিকে মোটেও ভ্রুক্ষেপ করলেন না, নিজেই হাসতে থাকলেন। ততক্ষনে সবাই বুঝতে পারছে যে ঐটা একটা জোকস ছিল আর হালকা করে হাসি দিল হা হা হা। আজকে আর স্যারের চা খেতে ইচ্ছে করছে না।

ক্লাস হবে কি না খোজ নেয়া দরকার। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.