আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগ্নিকান্ডের জন্য দায়ী কে?আমরা গোটাজাতি শোকার্ত

ছবি -ইপিএ এই দেশে মানুষের জীবনের দাম কত?এই দেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কতটুকু?এই যে অগ্নিকান্ড এতে কাদের লাভ?মানুষ পুড়ে ভস্ম বানিয়ে সেই পোড়া ভস্মের উপর দিয়ে কারা ফায়দা রুটতে চায়?মালিক পক্ষ?রাজৈৗনতিক দল?আন্তর্জাতিক চক্র?নাকি এটা নিছক দুর্ঘটনা?অব্যবস্থাপনা কর্তব্যে অবহেলা?অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি নিশ্চুপ। কোন কার্যক্রম নাই। ২০০০০টাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। কাজটি করেছে একজন নারী শ্রমিক। অর্থদাতা প্যাকেজিং ইনচার্জ জাকির হোসেন।

ব্যপারটা এমন হলে কেমন হয়?২০০০০ হাজার টাকায় মালিক পক্ষ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে । আর পুড়ে ছাই ১১১প্রাণ। নিশ্চিন্ত্যপুরে অবস্থিত তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের ৯ তলা ভবনের ৬ তালা অগ্নি দগ্ধ। বিনিময়ে ইন্সুরেন্সের টাকা নিয়ে ক্ষতির উর্ধ্বে। আর দেশের পোষাকশিল্পের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড যারা তাজরিনকে কাজ দিয়েছে তাদের অভিযুক্ত করেছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই চীনের বাজার চলে আসার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা কল্পণার কথা উকিঁ দিচ্ছিল বিভিন্ন পত্রিকায় ঠিক সেই সময় এই ঘটনা। কোটি টাকার সম্ভাবণা নিমিষে মিলিয়ে গেল। বিরাট একটা বাজার হাত ছাড়া হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য ভবিষ্যতে পোষাক শিল্প কারখানায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

এটি পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড। এই ঘটনায় লাভবান কারা?চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে এইরকম সিরিজ অগ্নিকান্ড হয়। পরে ক্ষমতায় আসে মহাজোট সরকার। এবার এই সরকারের শেষ সময়। আবার অগ্নি কান্ড।

ক্ষমতার পালাবদলের নাটক । নাকি বর্তমান সরকার ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকার চক্রান্ত। অগ্নিকান্ডের দায়ভার কিন্তু সরকার এড়াতে পারবে না। ব্যর্থতা তাদের ও। যদি দুর্ঘটনা না হয়ে এটি পরিকল্পিত হয়ে থাকে তাহলে আর কতদিন এই নোংরা খেলা চলবে?দেশের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি ধ্বংস করে দিয়ে ক্ষমতার লড়া্ই।

জয়ামনির মা আর ফিরে আসবে না। শিশুটি তার মায়ের ফেরার অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষার শুরু আছে শেষ নাই। মা ছাড়া পৃথিবী জয়ামনিদের। লাশের পর লাশ।

লাশের মিছিল। শোকার্ত মানুষের আহাজারি। তীব্র আর্তনাদ। ১১১ জন মানুষ অগ্নি দগ্ধ হয়ে মৃত। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি সস্তা শ্রমশক্তি ।

রাষ্ট্র আজ শোকাহত। সারা দেশে আজ শোক। সারা দেশে সব ধর্মশালায় বিশেষ প্রার্থণা হয়েছে। মঙ্গলবার সারাদেশের পোশাক কারখানা ছুটি ছিল। শোক দিবস হিসেবে মঙ্গলবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি সহমর্মিতা থাকলো। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করছি। যদি দুর্ঘটনা না হয়ে পরিকল্পিত হয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত ২১৩ টি ঘটনায় অন্তত ৩৮৬ টি মৃত্যু।

সূত্র -প্রথম আলো। জাতির বিবেকের কাছে আজ জিজ্ঞাসা আর কত প্রাণ পুড়ে ছাই হবে?লাশের মিছিল আর কত দীর্ঘ হবে?জাতি এই শোক কাটিয়ে উঠুক।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।