আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তাগাছার মন্ডা

সামহয়ােরেলখহর্িচ্ছা হাজারো ঐতিহ্যের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ । এর আনাচে -কানাচে ছড়িয়ে আছে নানা ঐতিহ্য। কোনো কোনো স্থানে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য বস্তু আছে যার কারণে ঐ স্থানটি বিখ্যাত হয়ে আছে। যেমন কুমিল্লার রসমালাই , পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই , নাটোরের কাঁচা গোল্লা , নেত্রকোনার বালিশ ইত্যাদি। তেমনি মুক্তাগাছার সাথে মিশে আছে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিজাত দ্রব্য মন্ডার নাম ।

মুক্তাগাছার মন্ডার নাম শুনেননি ভোজন রসিকদের মাঝে এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মুক্তাগাছায় বেড়াতে এলে মুক্তাগাছার জমিদারদের বাড়ি দেখে যাওয়া যেমন অপরিহার্য । তেমনি এখান থেকে প্রকৃত মন্ডার স্বাদ না নিয়ে ফিরে গেলে ভ্রমণটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায় । মুক্তাগাছায় বেড়াতে এসেছেন অথচ পরিজনের জন্য মন্ডা নিয়ে যাননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর । মন্ডার অভিনব জন্ম কাহিনী নিয়ে একটি কিংবদন্তী রয়েছে।

আজ থেকে দু"শ বছর আগে মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মন্ডার জনক গোপাল পালকে স্বপ্নে এক ঋষি তাকে মন্ডা বানানোর কৌশল শেখান। দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি করতে হয় মন্ডা । তদানীন্তন মুক্তাগাছার জমিদার সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর রাজদরবারে গোপাল পাল এই মন্ডা খেয়ে মহারাজ পেলেন পরমতৃপ্তি আর বাহবা দিলেন গোপালকে। তখন থেকেই যাত্রা শুরু হলো মন্ডার । মুক্তাগাছার মন্ডা এমনই এক খাদ্য যা একবার খেলে আবার খেতে ইচ্ছে করে।

মুক্তাগাছা ও ময়মনসিংহের বেশ কিছু মিষ্টির দোকানে মন্ডা বিক্রি হয় তবে স্বাদে ও বৈশিষ্টে তা গোপাল পালের মন্ডার মতো নয়। দূর-দুরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা ছুটে আসেন । সারাদিন গ্রাহকদের ভিড় এখানে লেগেই থাকে। কর্মচারীরাও সদাব্যস্ত থাকে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে। অনেক সময় দোকানের সামনে গাড়ির লাইন পড়ে যায়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।