আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুভূতিরা পালিয়েছে, সহানুভূতিই ঢের !

উড়ে যাই, উড়ে যাই, উড়ে উড়ে যাই. . . একটি ক্ষোভ, প্রতিবাদের, ঘৃণার শব্দ সমষ্টি লেপ্টে দিতে চাই নিরীহ প্রাণগুলোর হন্তারকদের গালে, গায়ে, পিঠে, হাতে, পায়ে সর্বত্র। দায় এড়ানো বুলি চাপড়ানো রাষ্ট্রের সেসব বলদ কর্তাদেরও কষে হাজার কয়েক চপেটাঘাত বিলিয়ে দিতে চাই। বৈদেশিক মুদ্রার লোভ দেখিয়ে নিজেদের আইনের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া মৃত্যুপুরী পোশাকের কারখানাগুলোর পুঁজিপতিদের বিচার চাই। বসে বসে এসব বলে লাভ কি! স্পেকট্রাম, তাজরীনের মতো ঘটনা ঘটতেই থাকবে। লাশের খবর শুনতে শুনতে ক্লান্ত যেন সব! লাশ এখন আমাদের কাছে কিছুই না! মানুষ আজ এত মূল্যহীন পণ্য হয়েছে পুঁজিপতি ও রাষ্ট্রের কাছে! লজ্জায় মাথা তুলতে পারি না। পত্রিকায়, টিভিতে খবর দেখে মর্মাহত ও ব্যথিত হয়ে থাকি, কিন্তু আমরা স্বার্থপর, তাই সেই মানুষগুলোও আমাদের জন্য তেমন কিছু না! রাষ্ট্রের কোলে এত মানুষ! কিছু আগুণে পুড়ে কঙ্কাল হলেও সে আর এমন কী! আমরা অনুভূতিপ্রবণ হয়ে ক্ষনিক বাদে ভুলি সব! এখন আমাদের সহানুভূতিও হয়ে পড়েছে লোকদেখানো! পুড়ে যাওয়া, ক্ষয়ে যাওয়া মানুষগুলোর আত্মা কোনদিন ক্ষমা করবে না আমাদের। দুর্ঘটনার পরপরই (..) টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষনা হত্যাকারী সম্প্রদায়ের! নিম্ন মজুরি, মানবেতর জীবনযাপন করে যারা জীবনের দাম দিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে তাদের জন্য আরো কিছু ক্ষতি! পূরণের ব্যবস্থা করবে চেয়ে দেখা ও বুলি আওড়ানো রাষ্ট্র! কিছু মানুষ কঙ্কালগুলো নিয়ে শব্দ লিখে পাতা ভরিয়ে দেবে, টিভির পর্দায় ঝড় তুলবে, বক্তৃতায় মঞ্চ কাঁপাবে! এতেই তৃপ্ত অ!মানুষ আমরা ভুলে যাবো আবারো!.............. রাষ্ট্রের তদন্ত তদন্ত খেলা! শোক প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র, পুড়ে মরে যেন ধন্য হবে তারা! প্রতিবারই এমন বুলি আওড়ানো মন্ত্রী-আমলা বলদ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।