আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নর্দমায় কুরআন শরিফ ছুড়ে ফেলল রাবির ছাত্রলীগ নেতা সূর্য কুমার রায : শাস্তির দাবিতে আন্দোলন

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের দুইতলা থেকে নর্দমায় কুরআন শরিফ ছুড়ে ফেলল এক ছাত্রলীগ নেতা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সূর্য কুমার রায়। সে রাবি শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সম্পাদক ও সমাজকর্ম বিভাগের এমএসএস শেষ বর্ষের ছাত্র। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে হলে পুলিশ তল্লাশি চালানোর পর হলের ২৩১ নম্বর ক থেকে কুরআন শরিফ হলের নিচে ফেলে দেয় ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ দিকে আল কুরআন অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাইলে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। পরে প্রক্টর, হল প্রাধ্যক্ষ অভিযুক্তকে শাস্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষো ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। হলের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই হলে তল্লাশি চালায়।

পুলিশের তল্লাশিতে কিছু পাওয়া না গেলে ঘটনার প্রায় কয়েক ঘণ্টা পর ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সম্পাদক সূর্য কুমার রায় ২৩১ নম্বর কক্ষে আরেক দফা তল্লাশি চালায়। তিন আসনবিশিষ্ট ওই কক্ষে আগে থেকে অবস্থান করা দুই শিক্ষার্থীই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। সূর্য ওই হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে দীর্ঘ দিন থাকলেও ২৩১ নম্বর কক্ষে গিয়ে তার আবাসিকতা এই কক্ষে হয়েছে দাবি করে। তারপর সে কক্ষ পরিষ্কারের নামে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে কুরআন শরিফটি ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করলে তার রুমমেট প্রতাপ কুমার নিষেধ করে।

তা সত্ত্বেও কুরআনটি দুইতলা থেকে নর্দমায় ছুড়ে মারে। বুধবার সকালে ২৩০ নম্বর কক্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রায়হান আলী কুরআনটি দেখতে পেয়ে হলের শিক্ষার্থীদের খবর দেন। পরে তার পাশের কক্ষ (২৩১) থেকে প্রতাপ কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিস্তারিত বলেন বলে রায়হান আলী বুধবার বিক্ষোভের সময় হল প্রাধ্যক্ষ, সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে স্বীকার করেন। এ দিকে কুরআন ছুড়ে ফেলার পর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মঙ্গলবার ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সূর্য কুমার আত্মগোপন করেছে বলে জানা গেছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানাউল হক। এ ঘটনার পরেই হল কর্তৃপক্ষ হলের আবাসিক শিক্ষক সাইদুর রশিদ সুমনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক এ কে এম আরিফুল ইসলাম ও সেলিম রেজা। তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। Click this link...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।