আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়ের বয় ফ্রেন্ড বনাম আমি।

মেঘবালক আমার এক চাচাতো ভাই ফারুক ভাই বিয়ে করবেন,অনেক দিন থেকেই মেয়ে দেখছেন। প্রায় সব মেয়ে দেখার সময় আমি থাকি। কেন জানি ভাইয়া আমাকে অনেক পছন্দ করেন তাই উনি আমাকে সাথে করে নিয়ে যান। কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে ফারুক ভাইয়ার আব্বা ফোন দিয়ে জানালেন যে তাদের একটা মেয়ে পছন্দ হয়েছে এখন ফারুক ভাই গ্রামে গিয়ে যেন মেয়েটাকে দেখে আসে। ফারুক ভাইয়ার বেস্ততার কারনে গ্রামে যেতে একটু দেরি হচ্ছিল।

এর মধ্যে আমাদের ভাগ্য ভালো যে মেয়েটা ইউনিভার্সিটি ভর্তির জন্য কিছুদিন আগেই ঢাকায় আসলো এবং তার এক আত্মীয়ের বাসায় উঠলো। আমারা মেয়ের আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বাসায় গেলাম মেয়েকে দেখার জন্য। মেয়ে দেখে ফারুক ভাই টোটালি বিয়ে তখনি করার অবস্তা। এর মধ্যেই ফারুক ভাই ফোনে ভালই চুটিয়ে প্রেম করা শুরু করলেন এবং মেয়ে ও মাজে মাজে আমাকে ফোন দেয় ইউনিভার্সিটি ভর্তির বেপারে জানার জন্য। যেহেতু সব কিছু ঠিকঠাক আছে তাই ভাবলাম গ্রামে আমাদের সব মুরুব্বী থাকেন তাদেরকে একদিন মেয়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে বিয়ের দিন তারিখ এবং অন্যান্য যেসব আনুস্থানকিতা আছে সেগুলা সারা যাবে।

আমি এবং ফারুক ভাইয়া ও গ্রামের বাড়ী যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম । আমাদের মুরুব্বী রা মেয়েদের গ্রামের বাড়ী যাওয়ার ঠিক সাত দিন আগে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে একটা ছেলে ওই মেয়ের বয় ফ্রেন্ড পরিচয় দিয়ে কথা বলা শুরু করল। আমি প্রথম তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। পরে ছেলের কান্না কাটি শুনে বললাম তুমি যা বলতে চাও আমাকে বল। তারপর ছেলে বলা শুরু করল যে ভাইয়া আপনার ভাই যে মেয়েকে বিয়ে করতে জাসছেন সেই মেয়ের সাথে আমার সাত বছরের সম্পর্ক।

ক্লাস সেভেন ত্থেকেই নাকি তাদের মন দেওয়া নেওয়া চলছে। তারপর ছেলে টা বলল ভাইয়া আপনি যদি প্রমান চান তাহলে আমি অনেক প্রমান দিতে পারব। আমি অনেক টা জানার বশে বললাম দেখি তুমি কি প্রমান দেখাতে পার। দুই দিন আগে ছেলে টা আমাকে একটা মেমোরি কার্ড এবং ২৮টা ফটো কপি করা কাগজ কুরিয়ারে পাঠায়। মেমোরি কার্ডে তাদের মাজে কথা বলার অনেক রেকর্ডিং আর কাগজে তাদের মাজে আদান প্রদান করা অনেক প্রেম পত্র ছিল।

ভাইয়া আর আমি যেদিন মেয়ের সাথে দেখা করি সেদিনের পর থেকেই মেয়ে এবং মেয়ের বয় ফ্রেন্ড এর মাজে যেসব কথা হয়েছিল জাস্ট সেটার কিছু রেকর্ডিং ফাইল ছেলে টা আমাকে দিয়ে ছিল। আমি সব রেকর্ডিং শুনলাম। সেখানে এই সাত বছর তাদের মাজে কি কি হয়েছিল সেটা নিয়ে এবং আমাকে আর আমার ফারুক ভাইকে নিয়ে তাদের মাজে কথা হল। তাদের কথা বলার রেকর্ডিং থেকে আমি যেটুকু বুজছি তা হলঃ ০১। তাদের মাজে সাত বছর থেকেই সম্পর্ক চলছে।

০২। তাদের মাজে অনেক বার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। ০৩। মেয়েটা একবার গর্ব পাত করিয়েছে কোন এক ডাক্তার এর মাধ্যমে। ০৪।

তাদের গ্রামের বাড়ীর উভয় পক্ষের পরিবার ব্যাপারটা জানে। অতছ মেয়েটা ফারুক ভাই কিংবা আমাকে এক বারের জন্য ও বলেন নি যে তার আগে একটা সম্পর্ক ছিল। ফারুক ভাইয়া এই বেপারে তাকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করছেন। আমিও বেপার টা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত কালকে আমি মেয়ের আম্মাকে ফোন দেই। আমি উনাকে উনার মেয়ের বয় ফ্রেন্ড এর খুব কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বললাম যে আমার বন্ধুটা সব খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে খুব অসুস্থ ,এখন আমরা তাকে saline দিয়ে রাখছি।

আমি উনাকে আরও বললাম যে আপনারা একটু দেখেন না যদি আপনার মেয়ে টাকে আমার বন্ধুর কাছে বিয়ে দেন তাহলে হয়তো একটা জীবন বাছানো যাবে। কিন্তু মেয়ের আম্মু আমাকে অনেক কড়া কথা শুনালেন এবং বললেন তোমার বন্ধু মারা গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। আপনারা হয়তো এখন আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন মেয়ের বয় ফ্রেন্ড আমার নাম্বার কীভাবে পেল? কিংবা কীভাবে জানল যে আমি ফারুক ভাইয়ার খুব কাছের মানুষ। সেটা আমার ও প্রশ্ন যেখানে মেয়ে কিংবা মেয়ের বয় ফ্রেন্ড এর বাড়ী আমাদের জেলার সাথের জেলায় এবং আমাদের গ্রাম থেকে অনেক দূরে। তাদের কে আমি বা আমাদের কেউই কখনো চিনতাম না বা দেখিনি।

এখন আমার হাতে সময় আছে মাত্র তিন দিন। ব্যাপারটা কি ফারুক ভাইয়াকে জানাব নাকি সব কিছু চেপে যাব? নাকি মেয়ে টাকে এই বেপারে জিজ্ঞাসা করবো? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.