আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বাড়াবাড়ি করলে শরিয়া আইনে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

রফিকুল ইসলাম ঃঃঃঃঃঃ :----- যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিকল্প পথ আমাদের জানা আছে। কী করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। দরকার হলে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে; কিয়াস তো আছেই।

” পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলকে এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির জোট শরিক জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে গত কয়েকদিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরেও হামলা চালায় ইসলামী ছাত্রশিবির। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন হামলায় এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরাই এসব ঘটনার পেছনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ সকলকে আমি এসব কর্মকা- থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা কোনদিন বরদাস্ত করা হবে না। ” “এগুলো করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না। বিচার হবেই।

যত বাড়াবাড়ি করবে তত দ্রুত বিচার হবে। ” তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা কারা করছে সকলে জানে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যদের ঘায়েল করা কী উদ্দেশ্যে? আমরা বলতে চাই এগুলো করে লাভ হবে না। ” যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে দলটির সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের নির্বাচনী ওয়াদায় ছিল। এই বিচার জাতির দাবি।

নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখতে চায়। ” যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইবুনাল আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানা প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। রামুর ঘটনা উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, “এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবে। কারা করবে এটা সকলের জানা।

” রামুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা ছিলো। ” বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি চীনে গেলেন। উনি ভারত গেলেন। বিশ্ব ভ্রমণ করে ওখানে যাওয়ার সময় হলো। ৪০ দিন পরে ওখানে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে আসলেন।

” ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় থাকার সময়ের বিভিন্ন কর্মকা- তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ওই চার বছর ছিলো- জনগণের জন্য স্বর্ণযুগ। ওই সময় দেশবাসী সরকারের সেবা পেয়েছিলো। আর ২০০১ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো- তারা আতঙ্কের রাজনীতি কায়েম করেছিল। ” শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই এই বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি দেশের বিরাজমান আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে এবং শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.