আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাণ্ড!

বেসরকারি মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটছে। স্বামী অন্য ব্যাংকে চাকরি নিয়ে চলে যাওয়ার অজুহাতে স্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
স্বামী বা নিকটাত্মীয়ের অন্য ব্যাংকে চলে যাওয়ার অজুহাতে স্বেচ্ছাচারী এ রকম সিদ্ধান্তে গতকাল বুধবার জনা দশেক কর্মকর্তাকে মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এহসানুল হক কিছুটা ক্ষিপ্ত হন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারা তদন্ত করে দেখেন।

’ আবার তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। ’ কিন্তু কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদত্যাগ এগুলো তো এমডির দায়িত্ব—এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি টেলিফোনের সংযোগ কেটে দেন।
সকালেই কয়েকজন ভুক্তভোগী ফোন করেন প্রথম আলোতে। সেই সূত্র ধরে ব্যাংকে খোঁজ নেওয়া হলে জানা যায় বেশ কয়েকজনের পদত্যাগ করতে হয়েছে। বিকেল থেকে কয়েক দফা চেষ্টার পর এমডির সঙ্গে কথা হয়।


সূত্র জানায়, নতুন নয়টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ফলে আগের ব্যাংকগুলোর বেশকিছু কর্মকর্তা বেশি বেতন-ভাতা পেয়ে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছেন। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অন্তত দুজন উদ্যোক্তার কথা জানা যায়, যাঁরা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক। আবার এই ব্যাংকের সাবেক এমডি দেওয়ান মজিবুর রহমান এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। বলা হচ্ছে, এ কারণে অনেক কর্মকর্তা নতুন ওই ব্যাংকে চলে যাচ্ছেন। তবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বাদে অন্য নতুন ব্যাংকেও কেউ কেউ গেছেন।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমানের মনোযোগ আকর্ষণ করা হলে তিনি রাতে বলেন, ‘এটা তো ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, অন্যায়। স্বামী-স্ত্রী কিংবা নিকটাত্মীয় অন্য ব্যাংকে চলে যাবে বলে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, এটা তো সঠিক কাজ হতে পারে না। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।