আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবধান!! নামকরা বিদেশী কোম্পানীর মাল কিন্যা ধরা খাইয়েন না!! তার চেয়ে দেশের মাল ব্যবহার করুন

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। প্রসাধনীতে ইচ্ছামতো উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ! বিখ্যাত ব্র্যান্ডে বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব ধরনের প্রসাধনসামগ্রী বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। সাবান, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, শিশুদের লোশন, লিপস্টিক, পাউডার—কী নেই! আবার এগুলোতে ইচ্ছেমতো উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বসানো হয়েছে। সন্দেহজনক মানের পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর অভিজাত বিপণিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। জোন্স করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই অবৈধ কাজটি করছিল।

ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল সোমবার রাজধানীর কলাবাগানে অবস্থিত তাদের অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার প্রসাধনী উদ্ধার করেন। দুটি বিশাল ঘরে ঠাসা ছিল এসব পণ্য। অবৈধভাবে বাজারজাত করা এবং পণ্যের গুণগত মান বজায় না রাখার অপরাধে আদালত প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। অভিযানে পন্ডস, ডাভ, জিলেট, লরিয়েল, জনসন ইত্যাদি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের নানা পণ্য উদ্ধার হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন।

তিনি জানান, জোন্স তিন বছর ধরে এসব পণ্য বাজারে বিক্রি করছে। জোন্স বাংলাদেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) লোগো ব্যবহার করছিল অবৈধভাবে। এ ছাড়া নিজেরা ইচ্ছেমতো পণ্যের উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বসিয়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এসব পণ্য রাজধানীর অভিজাত দোকান ছাড়াও চকবাজারের পাইকারি বাজারে সরবরাহ করেছে। জোন্সের ব্যবস্থাপক মো. মোরশেদ ইকবাল অবৈধভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘সময়ের অভাবে’ বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিতে পারেননি। অভিজাত বিপণিকেন্দ্রে জোন্সের পণ্য: অভিজাত দোকানগুলোতে পণ্য বিক্রির সময় জোন্সের পক্ষ থেকে বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদন দেখানো হয়। গতকাল সোমবার অভিজাত ‘সুপারস্টোর’ আগোরার মগবাজার শাখায় বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো লাগানো (জোন্সের সরবরাহ করা) ডাভ শ্যাম্পু ও লরিয়েল প্যারিস কোম্পানির চুল রং করার প্রসাধন পাওয়া যায়। শাখাটির সহকারী আউটলেট ইনচার্জ সঞ্চিতা বাউল জানান, জোন্স করপোরেশনের সরবরাহ করা শ্যাম্পু, সাবান ও ক্রিম আগোরায় বিক্রি হয়। বিপণন কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, জোন্স এক বছর ধরে আগোরায় পণ্য সরবরাহ করছে।

তিনি বলেন, ‘জোন্স তাদের পণ্য বিক্রি করার আগে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনপত্র জমা দেয়। মনে হচ্ছে, তারা ভুয়া অনুমোদনপত্র দিয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে আজ থেকেই ওই সব পণ্য তুলে নেব। ’ ভেজালের এই দৌরাত্ম্যের মধ্যে বিএসটিআইয়ের কাছ থেকে সরবরাহকারীর ব্যাপারে খোঁজ না নিয়ে পণ্য বিক্রি করা কতটুকু সংগত—এই প্রশ্নের জবাবে হাসান বলেন, ‘সব সরবরাহকারীর খোঁজ নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। ’ তিনি জানান, জোন্স পণ্য উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যেভাবে দেয়, সে অনুযায়ীই আগোরায় পণ্য বিক্রি হয়।

বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক (সত্যায়ন) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জোন্স একটি পুরোপুরি প্রতারক প্রতিষ্ঠান। ’ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি: মেয়াদহীন পণ্য ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত প্রভাব কী হতে পারে, জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক জাকারিয়া স্বপন বলেন, প্রাথমিকভাবে সংস্পর্শজনিত ত্বকের প্রদাহ এবং পরবর্তী সময়ে আরও জটিল রোগ হতে পারে। শিশুদের জন্য এসবের ব্যবহার ভয়াবহ হতে পারে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানহীন ও ভেজাল প্রসাধন ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুকের মতে, ভেজালের জন্য শুধু জরিমানা নয়, কারাদণ্ডেরও ব্যবস্থা করতে হবে।

এইখানে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.