আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসিড বৃষ্টি হতে পারে। আতংকিত না হয়ে নিজে সাবধান হোন, অন্যদেরকেও সাবধান করুন।



জাপানে ঘটে যাওয়া পরমানু চুল্লী বিস্ফোরণের জের ধরে আশেপাশের অঞ্চলে এমনকি ভারতীয় উপমহাদেশেও এর প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত তেজষ্ক্রিয়তার ফলে মেঘের পানিকনার সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এসিড এবং সাধারণ মেঘের চেয়ে এই এসিড মেঘ অত্যন্ত দ্রুত আশপোশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। চেরনোবিল বিস্ফোরণের সময় ইউরোপের আশপাশের দেশগুলোতে এর ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল। পুর্ব ইউরোপে বেশকিছু পার্বত্য অঞ্চল থাকায় এর প্রকোপ আমাদের ওপর পড়েনি। কিন্তু এখনও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে ওই অঞ্চলের অনেক কিছু মানুষ।

এবার জাপানের ঘটনায় আমরাও সেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। মাঝখানে উল্লেখযোগ্য উঁচু পর্বতমালা না থাকা এবং সমুদ্র উপকূলের নৈকট্যের কারণে এ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যেই এসিড বৃষ্টি হতে পারে চীন জাপান, তাইওয়ান কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এমনকি অস্ট্রেলিয়াও এই ঝুঁকির বাইরে নয়। এই ঝুঁকির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগামী আজসহ দু'দিন বৃষ্টি হলে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতে হবে।

যারা বৃষ্টির পানি ধরে রেখে খাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন আপাতত তারা পানি ধরবেন না। এই বৃষ্টির মধ্যে এসিডের বাইরেও তেজষ্ক্রিয় অন্যান্য উপাদান মেশানো থাকতে পারে। এই বৃষ্টির বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকের পাশপাশি প্রধান টার্গেট হল থাইরয়েড। থাইরয়েডে আক্রমণ করে ক্ষত সৃষ্টির পাশপাশি ক্যান্সারও আমদানি করতে পারে এই তেজষ্ক্রিয় বৃষ্টি। তাই বৃষ্টির সময় এবং এর পরের কিছু সময় গলায় মাফলার বা কাপড় জড়িয়ে রাখা উচিত।

শাকসবজি বা অন্যান্য ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো হয়তো সম্ভব না তবে যতটুকু মিনিমাইজ করা যায় ততটুকুই লাভ। সবজি বা ফল বাগান তেরপল দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়ে লাভ নেই। তবে পরিপক্ক বা তোলার যোগ্য হয়েছে এমন শাকসবজি বা ফলমূল আহরণ করা যেতে পারে। তবে এ নিয়ে খুব বেশি আতংকিত হবার কারণ নেই। এটি শুধুই ঝুঁকিমাত্র, না হবার সম্ভাবনাও আছে।

তাই একটু সচেতন থেকে মোকাবেলা করলেই খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে না। ভাল থাকুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.