আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম গ্রহন করার কোনো প্রয়জন নাই- (কতটুকু যেৌক্তিক?)

প পীর-সূফীদের একাংশের মত হলো : পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম গ্রহন করার কোনো প্রয়োজন নাই। আটরশীর পীর সাহেব বলেন : " হিন্দু , মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টাংন নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে এবং তাহলেই কেবল বিশ্বে শান্তি আসতে পারে। ( আটরশির কাফেলা সংকলনে মাহফুজুল হক, আটরশির দরবার থেকে প্রকাশিত পৃ: ৮৯, সংস্করন ১৯৮৪) । এছারাও দেওয়ানবাগী পীর তার লিখিত " আল্লাহ কোন পথে " নামক বইয়ের ৩য় সংস্করন, ডিসেম্বর,১৯৮৭ খৃষ্টাব্দে,পৃ: ১১৩-১১৪ ও১২৫-১২৬ এ এবং 'মাইজ ভান্ডারীর জীবনী ওকেরামত ' নামক বইতে পন্চদশ প্রকাশ: জুলাই -২০০২, পৃ: ১৫১-১৫২ তে বলা হয়েছে পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহনের আবশ্যকতা আছে বলে মনে করি না। বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান যে কোনো ধর্মের লোক নিজ নিজ ধর্ম থেকে সাধনা করে মুক্তি পেতে পারে।

তাদের এই কথিত তাওহিদে আদইয়ান বা সকল ধর্মের ঐক্য এর স্বপক্ষে কোরআনের নিন্মক্তো আয়াত পেশ করে থাকে :- যারা মু'মিন , যারা ইয়াহুদী, এবং খৃষ্টান ও সাবিঈন ( এদের মধ্য থেকে ) যারাই আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে পুরুস্কার । তাদের কোনো ভয় নেই তারা দুঃখিত হবে না। ( সুরা বাকারা ২:৬২ ) অথচ এই আয়াতে যে কোনো ধর্মের লোকদের লোকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা ইমান আনলে এবং নেক কাজ করলে তারা পরকালে মুক্তি পাবে। আর এ কথা স্পষ্ট যে , ইসলাম ধর্ম আগমনের পর রাসুল (সা: ) আখেরী নবী না মানলে তার ইমান পূর্ন হবে না। আর রাসুল (সা: ) কে আখেরী নবী মানলে অন্য সব ধর্মের বিধানকে রহিত মানতে হয়।

তাহলে অন্য কোনো ধর্মে থেকে মুক্তির অবকাশ রইলো কোথায়? কোরআনে আল্লা (সুব: ) ইরশাদ করেন : - যে লোক ইসলাম ছারা অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহন করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রষ্থ। ( সুরা আল ইমরান ৩: ৮৫ ).। "তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে ? আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক , তারই অনুগত হবে এবং তার দিকেই ফিরে যাবে" । ( সুরা আলইমরান ৩:৮৩)। অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহন না করে যত ভালো কাজই করুক না কেন, পরকালে তারা মুক্তি পাবেনা।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে : " যারা কাফের, তাদের আমলসমুহ মরুভূমির মরিচিকার সমতূল্য, যাকে পিপাসার্ত ব্যাক্তি পানি মনে করে। কিন্তু যখন তারা কাছে যায় তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে , অতপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রয়ত হিসাব গ্রহনকারী। ( সুরা আন-নুর ২৪: ৩৯ ) ইসলাম ছারা পরকালে মুক্তির যে কোনো উপায় নাই তার জলন্ত প্রমান আবু তালেব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম-এর আপন চাচা।

হযরত আলী ( রা: ) এর আব্বাজান। যিনি সারা জীবন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওসাল্লামকে ভাতিজা হিসেবে দেখাশুনা করেছেন, সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। এমন কি ৩বছর অবরুদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলাম গ্রহন না করে মৃত্যু বরন করেন। রাসুল (সা: ) তার চাচার মৃত্যুর পরও তারজন্য দোয়া করতে থাকলেন এবং বললেন ততক্ষন পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকবো যতক্ষন পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাকে নিষেধ করা না হয়।

এর পরই পবিত্র কোরআনের নিন্মোক্ত আয়াতটি নাজিল হয় : নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরিকদের জন্য মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্মীয় হোক একথা সুষ্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা জাহান্নমী। ( তাওবা ৯: ১১৩) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.