আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুনন্দা

আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি! ব্লগে চার বছর পূর্তি হলো। কিন্তু বরাবরের মত নিরামিষ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। ইচ্ছে ছিল চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটা আশার গল্প লিখে পোস্ট দিবো। গত কিছুদিন এমন ব্যস্ততা গেল যে গল্পের গ ও লিখতে পারলাম না। আজকে তো আর এক মহা ব্যস্ততর দিন গেলো।

সকাল থেকে দুই জেলায় ঘুরে কেবলমাত্র বর্তমান নিবাসে ফিরলাম। বাস্তবদৃশ্যে ব্লগ খাওয়ায় পড়ায় না। কিন্তু ব্লগ আমার মনের খাবার জোগায়। আবার রুচি মাফিক পড়াশুনা করায়। নিয়মিত অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারছি এখান থেকে।

শুরু থেকেই সামুতে আছি। অন্য ব্লগে নিক খুললেও তেমন সচল না। সামুর ঋণ কখনো শোধ করার মত নয়। সুখে দুখে সুদিনে দুর্দিনে সামুর পাশে ছিলাম থাকবো। ভাল থেকো সামু।

ভাল থাকবেন সুপ্রিয় ব্লগাররা। ১। সুনন্দা ভুলে গেছি সুনন্দা ভুলে গেছি শব্দ শব্দের অন্তরায় শব্দ বাক্যের অন্তরায় বিন্যাস তাই আমি সন্যাস হয়ে পথে নেমেছি গত রাত্রির তুমুল বৃষ্টি ঠেলে কবিতার খাতায় পাতায় পাতায় বৃষ্টি। সুনন্দা! খাতার কান্না থামানো গেল না কলম থেকে কালি ঝরে অনবরত কান্না রেশ বেশ মোটা দাগে উঠে আসে কবিতার খাতা ফেলে পাপ মোচনে নেমেছি মরণের ওপারে বুঝি সবুজ দ্বীপ অপত্য গাছগাছালি দেবদারুর বন অদূরে ফুলের বাগান ঝাউশাখে পাখির গান। আমি এক প্রকার মরেই আছি সুনন্দা আমার নাও চলছে কয়েক শত দিন রাত্রির জমাট কোটর ঠেলে কুয়াশার আড়ালে।

আমার ভাল থাকা গুলো সব তোমার দান তাই সন্ন্যাস হয়ে পেছনে ফেলে এসেছি তুলে নিও যত্ন করে শিউলী ভোরে শিওরে রেখে দিয়ো হরিদ্রা ঘুম আমি চলছি দ্বীপ মূলে কষ্টের বোঝা কাঁধে তুলে। ২। নির্মল বেঁচেবর্তে আছি। রোদের প্রতাপে আছি। ছায়ায় ছায়ায় আছি।

চিন্তা করিস না নির্মল। তুই থাক হিসেবের পাতা ছিন্ন করে। অশরীরি আত্মা হয়ে। স্নিগ্ধ রাতের তারা হয়ে। আমি আছি।

আমি আছি হাঁড়ি পাতিলে। আমি আছি ভাঙ্গা কুলোয়। আমি আছি দিন ভিখারীর চুলোয়। নির্মল তুই থাক সুখের আকাশে। যেখানে মেঘেরা ভাসে।

কথা বলে খেয়ালে বেখেয়ালে। মেঘের গাঁয়ে হেলান দিয়ে চাঁদ হাসে। নির্মল তুই এক প্রকার সুখেই আছিস। দুখের ঘরে বন্দী ছিলি। সাত কুলে এক মা ছিল তোর আপন।

পরাণের পরাণ। তোর মা তোকে একটা বাই সাইকেল কিনে দিয়েছিল। সাইকেল চালিয়ে তুই পথ থেকে পথে ঘুরতি। সবুজের বুকে হারাতি। তোর স্বপ্ন ছিল একদিন বড় হবি।

এরোপ্লেন কিনবি। সবুজ ছাড়িয়ে নীল আকাশে উড়বি। আকাশে মেঘ কেটে কেটে তুলোর মত ওড়াবি। নির্মল আমি ছিলাম তোর পথের দোসর। তোর পদরেখার পাশে আমার পদরেখা ছিল।

আমরা একদিন সৈকতে বালিয়ারীর বুকে পা রেখে বলেছিলাম দেখ নির্মল আমরা বড় হয়ে যাচ্ছি। আমাদের পা বড় হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পা যেদিন হাতির পদরেখা স্পর্শ করবে আমরা একদম বড় হয়ে যাবো। নির্মল আমি বড় হতে পারিনি। তুই হয়েছিস।

তুই একদম আকাশের ত্রিসীমানা ছুঁয়ে আছিস। নীলের গায়ে হাত বুলিয়ে যখন মেঘেরা থাকে, আমি শ্বেত ভালুক দেখি। গলা উচানো মেঘটা দেখে জিরাফ'ই মনে হয়। ছুটন্ত রঙীন মেঘগুলো দেখে মনে হয় ভীতু চিত্রা হরিণগুলো ছুটে চলছে। পিছনে ধাবমান নেকড়ে মেঘগুলোকে তখন বকে দিতে ইচ্ছে করে।

চিত্রা হরিণের দলটা পালানোর আগেই বুক ফুলিয়ে আর একটা স্তম্ভাকার মেঘ ছুটে আসে। আমার মনে হয় এইতো সৈকতের হাতিটা ফিরে আসলো। তুই পদরেখা ছোঁয়ার বদলে দুরন্ত মাহুতের ন্যায় হাতির পিঠে সওয়ার হয়েছিস। তোর বুকের ছাতি দেখে নেকড়ে মেঘগুলো পালিয়ে বাঁচে। নির্মল তুই চলে গেছিস তোর মত করে।

তোর আশৈশব দোসরটিকে সৈকতে ফেলে। তোর পদরেখা মুছবে বলে সাগর সরে গেছে ক্রমাগত দূরে। আমি পড়ে আছি ভাঙ্গা শঙ্খ বুকে ধরে। ৩। চুরি হয়ে যাচ্ছে চুরি হয়ে যাচ্ছে বেড়ার আড়াল কানের বিশ্বাস শ্রান্তির নি:শ্বাস বালিশে মাথা রেখে কান পাতি ওপাড়ে সিদেল চোর চুরি করবে সাধের মুকুট টিপয়ের ধন গৃহস্থ বুঝেনা চোরের মন চোর চেনেনা মানিক রতন দ্বৈরথে দুই কুশীলব শুধু্ই তঞ্চকতার কুহুরব।

৪। বিষণ্নতার কন্দ আজকের দিনটা যে উপোস গেলো কেউ দেখলো না হাপুস নয়নে বদনের হতচ্ছাড়া দশা কেউ দেখলো না আনমনে। ঘরের চালে বৃষ্টির জল আমি খেয়ে আছি জলের শব্দ শব্দের ছন্দ কপাট বন্ধ আমি খেয়ে আছি বিষণ্নতার কন্দ। শব্দের ভিতর ভীষণ একা আকাশে নেই সূর্যের দেখা আষাঢ়ের দিন কদম ডালে পাতায় পাতায় ফুলে ফুলে দেখার নয়ন রেখেছি দূরে আসবে কি সে এই দুপুরে। ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।