আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামদা চাপাতি কোথায়????

. . . . . দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে ওরাতো আমার কেউ নয়। তবু কেন এতো যন্ত্রণা হচ্ছে! আমার নিঃশ্বাস নিতে এতো কষ্ট হচ্ছে কেন! তাহলে ওরা কিভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছে বিশাল ভবনের ভার নিয়ে। বিশাল বিশাল ইমারত খণ্ড কারো বুকে কারো পিঠে কারো হাতে কারো পায়ে, আবার কারো পুরো শরীরে!! শুধু চোখে ভাসছে টিভিতে দেখা সেই দৃশ্য,এক ভাই বলছে আমার কেটে বের করে আমাকে বাঁচান, আর এক বোন বলছে আমার হাত কেটে বের করেন। এই দৃশ্য দেখার পর থেকে কিছুতেই স্থির থাকতে পারছি না। মনে হচ্ছে কসাইদের কাছ থেকে হাড় কাটা দা নিয়ে ছুটে যাই।

আজ কোথায় তারা আর তাদের সেই সব ধারালো রামদা চাপাতি, যা দিয়ে শতশত মানুষের মাঝে নির্দোষ মানুষদের কুপিয়ে জীবন নিতে একটুকও হাত কাঁপে নাই। আজ সেই অস্ত্রের দরকার। কিন্তু হায়! আজ কারোই দেখা নাই। আজ কেউ নির্দেশ দেয় না, অস্ত্র নিয়ে যেতে। আজ কেউ বলে না যাও ওদের বাঁচাও।

রাজপথের লোকেরা আজ কই? যারা আমাদের দাবী আদায়ের জন্য আমাদেরকেই লাশ বানায়। হরতাল করতে বা হরতাল মোকাবেলায় সবাইকে নির্দেশ দেন আপনারা, কিন্তু ভুল করেও তো তাদের বললেন না নিজ দলকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করার কথা। কেউ তো এমন কর্মসূচী দিলেন না, উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বসায় ফিরবেন না। শুধু সমবেদনা আর গভীর শোঁক, এর বেশী আজ কোন দলেই কিছু জানেন না। দুঃখিত, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে এটা তাদের কাররি দলীয় বেপার না।

কিন্তু মানুষের এই করুন ভিডিও ক্লিপ গুলো, ছবি নিয়ে হবে রাজনীতি। কে কার থেকে বেশী খারাপ তাই নিয়ে হবে কাদা ছোড়াছুড়ি। দেখা যাবে এই বিষয় ধরেই হরতাল করবে, আরও শত শত জীবন ঝরে যাবে আমাদের দাবী আদায় করতে। দুঃখ লাগে যখন মানুষের চাঁদা তুলে তুলে ওদের পানি খেতে দিতে হয়। অক্সিজেন এর অভাবে বেঁচে থাকা প্রান গুলো শীতল হচ্ছে চোখের সামনে।

বিরোধী দলীয় নেতা সান্তনা দিতে না গিয়ে যদি সেই যেতে যতো টাকা খরচ হয় সেটা দিতেন, আমার মনে হয় না আর পানির জন্য চাঁদা তোলা লাগতো। কেউ তো তাদের দলকে নির্দেশ দেয় পুলিশ এর সাথে থেকে উদ্ধার অভিযান চালাতে। হায়, আমাদের রাজনীতি। এটাকেও রাজনৈতিক ইস্যুতে নিয়ে এসে একে অপরের সমালোচনায় ব্যস্ত। সেদিন পড়লাম আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৮০লাখ টাকারও বেশী খরচ হয়।

ওদের জন্য অসুধ পানি কিনতে কত টাকা লাগবে? নাম পরিবর্তনের জন্য ১২০০ কোটি টাকার যোগার হয়। কিন্তু এদের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা হয় না। ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনা সম্ভব কিন্তু সিভিল ডিফেন্স এর জন্য আধুনিক কোন সরঞ্জাম কেনার চিন্তা মাথাও আসে না। সংসদ সদস্যদের জন্য লাখ লাখ টাকার গাড়ি কেনার টাকার অভাব নাই, কিন্তু উন্নত মানের এ্যাম্বুলেন্সের অভাব। আমাদের দাবী আদায়ের লড়বার মানুষের অভাব নাই, কিন্তু আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ অনেক অভাব।

স্যালুট তাদের যারা নিজেদের তাগিদে কোন কিছুর প্রত্যাশা ছাড়া পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আজকাল কারো মুরগী মারলে বা গাছের আম চুরি করলেও বিচার হয়, কিন্তু এই মানুষগুলোর জন্য কোন বিচার হবে না। শুধুই হবে রাজনৈতিক খেলা। রাজনীতির এই মরণ খেলা কত দিন চলবে?? আর কত তাজা রক্তে দেশ ভাসবে? কবে নিজেকে মানুষ ভাবতে পারবো। কবে মানুষগুলোর মৃত্যু শুধু সংখ্যা হবে না।

কবে আমাদের দেশে এই মানুষ গুলো মানুষ হয়ে মরবে। আর কতদিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কথা বলেবে? আর কত? আর কত?? আর কত??? "আমি চিৎকার করিয়া কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারি নাই চিৎকার, বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার . . . . . " ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.